নতুন অডিওতে কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সেই থেকে ভারতের মাটিতে রয়েছেন হাসিনা। আওয়ামী লীগের পোস্ট করা নতুন এক অডিও ক্লিপে সেই যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উদ্দেশে এক অডিও বার্তায় কেঁদে শেখ হাসিনা দাবি করেন, তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন। শুক্রবার শেষ রাতের দিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডল থেকে হাসিনার একটি ছোট অডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়।

৪৯ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার সময়ের কথা বর্ণনা করছিলেন তিনি।

সেখানে হাসিনা জানান, ২০ থেকে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। অডিও ক্লিপের শেষাংশে দেশছাড়া হওয়ার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে হাসিনার গলা ধরে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয় গত বছরের আগস্টে। গত ৫ আগস্ট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলে যান ভারতে। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সে দেশে হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চাইছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বার্তাও (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তি স্বীকার করলেও হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো দিল্লির তরফে জানানো হয়নি।

আমার স্বামী পরপারে আমার জন্য অপেক্ষা করবে: তনি

সম্প্রতি আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে চলছিল নানা আলোচনা। এবার নেটিজেনদের উদ্দেশে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তনি।

গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ওই পোস্টের সঙ্গে স্বামীর হাসপাতালের ছবি জুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘মিশন সাকসেসফুল- এই ছবিটা পোস্ট করে যারা এইসব লিখেছেন। আমি জানতে চাই মিশন সাকসেসফুল কি! একটা প্রমাণ দেখাতে পারলে ফেসবুকে আর চেহারা দেখাব না।’

তনিতিনি আরো লেখেন, ‘যারা আমার নেক্সট বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে মরে যাচ্ছেন তাদেরকে বলতে চাই, আমাকে নিয়ে যত ভাবেন যদি নিজেকে নিয়ে যদি এর ৫০% ও ভাবতেন তাহলে আমাকে নিয়ে ভাবার সময় পেতেন না। আমি অনেক ভাগ্যবতী এমন একজন মানুষকে আমার হাসব্যান্ড হিসেবে পেয়েছি যার ভালোবাসা আমাকে সারাজীবন বাঁচিয়ে রাখবে ইনশাল্লাহ। আমার জীবন চলার জন্য আল্লাহর রহমত আর সাহায্য ছাড়া অন্য কারো প্রয়োজন নেই, আমি যথেষ্ট কেপাবল আলহামদুলিল্লাহ।

ছেলে-মেয়ে দুইটাকে আমার হাসব্যান্ডের আদর্শে বড় করতে চাই, আমি বিশ্বাস করি আমার হাসব্যান্ড পরপারে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাদাদ রহমানের ওয়াইফ এই পরিচয়টা প্রাউডলি বহন করতে চাই। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস আর অনেক কন্ট্রোল আছে আমার, তাই আমাকে নিয়ে বেকার চিন্তা করা থামান।

হিংসুটে লোকদের কাজ হচ্ছে অন্যের পেছনে পরে থাকা উল্লেখ করে এই উদ্যোক্তা লেখেন, ‘আমার হাসব্যান্ড ১০১ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল। প্রথমদিকে আমি বেশিরভাগ সময় ব্যাংককে থাকতাম, কিন্তু হাসপাতালে প্রতিদিন ১০-১২ লক্ষ টাকা বিল দিতে গিয়ে আমার অর্থনৈতিক অবস্থান কি হতে পারে এটা যেকোনো শিক্ষিত মানুষকে মনে হয় না বোঝাতে হবে। এর পর হসপিটালে আমার হাসব্যান্ডের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকার জন্য স্পেশাল আইসিইউ নার্স আলাদা করে অ্যাপোয়েন্ট করে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ-ব্যাংকক আসা যাওয়া শুরু করি, কারণ আমাকে সবকিছু ঠিক রাখতে হবে। এ ছাড়া এত বড় অংকের বিল মেটানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মানুষের নানা রকম উপদেশ, ভুয়া নিউজ, ট্রল এইসব কিছু তো আছেই—অনেকে আমাকে ডিরেক্টলি পর্যন্ত বলছে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন! কত বড় অসভ্য হলে এই সব তারা করতে/ বলতে পারছে!’

ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ আমি সানভী এবং সারফারাজকে ব্যাংকক নিয়ে যান জানিয়ে তনি লেখেন, ‘তারা যেন বছরের প্রথম দিনটা তাদের ড্যাডির সঙ্গে কাটাতে পারে।

সকালে উঠে রেডি হয়ে প্রথমে হাসপাতালে তাদের ড্যাডিকে দেখে ওদের ঘুরতে নিয়ে যাই। আমি যখন একা ব্যাংককে একা থাকতাম তখন বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে থাকতাম, কিন্তু বাচ্চাদের তো সারাক্ষণ আইসিইউতে রাখা যায় না, আবার ওদের সামনে কান্নাও করা যায় না। ওরা অনেক ছোট আর সারফারাজ তো কিছুই বুঝে না—ওদেরকে সব কিছু নরমাল বোঝাতে হয়। এ ছাড়া আমি যে প্রফেশনে আছি আমাকে অনেক প্রেজেন্টেবল হয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে হয়, শুধুমাত্র লিপস্টিক দেওয়া একটা ছবি দেখে এত কিছু জাজ করে ফেললেন!’

আলোচিত এই নারী উদ্যোক্তা আরো লেখেন, ‘আপনাদের কোনো ধারণা আছে ব্যাংককে ট্রিটমেন্ট করতে কত টাকা খরচ হয়! আর মেন্টালি ফিজিক্যালি কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে আমাকে! আজকে ঢাকা তো কালকে ব্যাংকক, যেটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো, হাসব্যান্ড, হাসপাতেলের বিল, বাচ্চা, পরিবার, বিজনেস—সব টেনশন আমাকে একা নিতে হয়েছে, আপনাদেরকে নয়। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন তো আপনার হাসব্যান্ড বা ওয়াইফ কোমাতে চলে গেলে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করে কোনো মিরাক্কেলের আশায় আমার মতো এমন স্টেপ নিতে পারবেন তো! তাও আবার ওয়ার্ল্ডের বেস্ট হসপিটাল গুলোর একটাতে!’

অঢেল টাকা থাকলেও অনেকে এত সাহস দেখায় না, মানুষটার ভালোবাসার গভীরতা এত বেশি ছিল প্রয়োজনে নিজের জীবনটাই দিতে পারতাম উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘সেই শুরু থেকেই সামাজিক মাধ্যমে অনেক যুদ্ধ করে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়েছে। আমি লোভী এই কথা বলে হয়ত সারাজীবন কিছু অকর্মা লোক নিজের মনের জ্বালায় নিজেই জ্বলে পুড়ে মরবে, আমাকে আটকাতে পারেনি আর পারবেও না ইনশাল্লাহ। হয়ত আগামী ১/২ দিনের মধ্যে আমাকে কাজ শুরু করতে হবে। কিছু ফালতু মানুষ নিজের মনের বিষ মেটাতে অনেক কথা বলবে অনেক ফতোয়া দেবে, কিন্তু আমার এতে কিছুই আসে যায় না। বিগত বছরে আমি যে পরিমাণ ধাক্কা খেয়েছি, এখন সব সামলে উঠতে হবে, অনেক অনেক রেসপন্সিবিলিটি আমার, শত শত মানুষের দায়িত্ব আমার। আমার ছেলে-মেয়ে, মা, ভাই-বোন সবাইকে ভালো রাখতে হবে, আল্লাহ জানেন আমি কি কি করেছি, আর আমার মনের মধ্যে কি চলছে, আর যারা এইসব বলে তারা আমার সামনে এসে একটা কথা বলার যোগ্যতা রাখে না, অথবা নিজের মনে মনে নিজের থেকে আমাকে অনেক বড় কিছু মনে করে, তাই এত গভীরভাবে আমাকে ফলো করে।

আমার প্রফেশন, আমার পোশাক, আমার লাইফস্টাইল সর্বোপরি আমার কর্মের জবাব আমি আল্লাহকে দেবো, ধর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে মানুষকে হ্যারাসমেন্ট করা বন্ধ করেন, আর আমাকে কিছু বলতে ইচ্ছে করলে সাহস করে আমার সামনে আইসেন হাতে কলমে বুঝিয়ে দেবো। আমি ভণ্ডামি কর‍তে পারি না, আজকে বোরখা, কালকে হিজাব তার পরদিন ওয়েস্টার্ন এইসব আমি পারি না, বাস্তব জীবনে আমি যেমন ক্যামেরার সামনেও তাই। আর সব মানুষকে খুশি করা আমার কাজ না, আমি যেমন অমনি যাদের আমাকে ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ, যাদের লাগে না তারা আমাকে বা আমার পেইজ আনফলো বা ব্লক করে দিতে পারেন, আপনাদের কেউ দাওয়াত দেয়নি আমাকে দেখার জন্য, দেখবেন আবার হিংসাও করবেন, আমার তো কিছু করার নেই।

আমার জীবনটা আয়নার মতো পরিষ্কার, আমি যেমন অমনি থাকব ইনশাল্লাহ। জীবনে আমার খারাপ সময় গুলো আমাকেই পার কর‍তে হয়েছে, তাই আমি মানসিকভাবে অসম্ভব শক্তিশালী একজন মানুষ, সময় সবকিছুর উচিত জবাব দিয়ে দেবে ইনশাল্লাহ। জীবন অনেক ছোট, আল্লার রহমতে ছোট্ট এই জীবনে অনেক ভালোবাসার মানুষ, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি, আপনাদের দোয়ায় আমার জীবন চলে যাবে ইনশাল্লাহ।’

তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে স্বামীর মৃত্যুর কথা জানিয়ে তনি লেখেন, ‘সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।’

মারা গেছেন আসামি ধরতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া সেই পুলিশ সদস্য

বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে ইটভাটার আগুনে দগ্ধ মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারা গেছেন। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মেহেদী হাসান পুলিশের ৩৮তম ব্যাচের সদস্য ছিলেন। চার বছর আগে পুলিশে যোগদান করেন এবং সর্বশেষ বরিশাল বিমানবন্দর থানায় কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার রহমতপুর এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি ধরতে যান। এ সময় অসাবধানতাবশত ইট ভাটায় পড়ে গিয়ে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায় তার।

পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির শিকদার বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যান এসআই মেহেদী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। শুক্রবার তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি বরগুনায় দাফন করা হবে।

টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন পদত্যাগপত্রে!

যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। টিউলিপের পদত্যাগপত্রটি কালবেলা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল –

“প্রিয় প্রধানমন্ত্রী

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা প্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মন্ত্রীদের মানদণ্ডবিষয়ক আপনার স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমার স্বপ্রণোদিত আবেদন দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছেন এবং আমার বর্তমান ও অতীত আর্থিক এবং বাসস্থানসংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার সুযোগ দিয়েছেন।

আপনি অবগত আছেন, আমার অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করার পর, স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন, আমি মন্ত্রিত্ববিধি ভঙ্গ করিনি। তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার মালিকানাধীন বা বসবাসকৃত সম্পত্তি বা আমার কোনো সম্পদ বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

আমার পারিবারিক সম্পর্ক সর্বজনবিদিত এবং যখন আমি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হই, তখন আমি আমার সমস্ত সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের তথ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছিলাম। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের পর আমাকে আমার স্বার্থপত্রে উল্লেখ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, আমার ফুফু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশসংক্রান্ত বিষয় থেকে (আমার) বিরত থাকা উচিত, যাতে স্বার্থের সংঘাতের কোনো সন্দেহ না থাকে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই, এসব বিষয়ে আমি সর্বদা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থেকেছি এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করেছি।

তবে এটি স্পষ্ট, অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার ভূমিকা সরকারি কাজের জন্য একটি বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। আমার আনুগত্য সব সময় এই লেবার সরকার এবং তার জাতীয় পুনর্নবীকরণ ও রূপান্তরের কর্মসূচির প্রতি থাকবে। তাই আমি আমার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আপনার সরকারে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি পেছনে থেকে যে কোনোভাবে সরকারকে সমর্থন করতে থাকব।

শুভেচ্ছান্তে,

টিউলিপ সিদ্দিক এমপি”

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে টিউলিপের ভোগ-দখলে থাকা দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করানোসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভেতরে-বাইরে চাপে পড়েন তিনি।

গার্ডিয়ানের সূত্র বলছে, কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে সমর্থন করছিলেন। অভিযোগ ওঠার পরও তিনি তাকে বরখাস্ত না করায় বিরোধী দলও সমালোচনামুখর হয়। এদিকে টিউলিপও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।

কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোড়ন তোলা এ ঘটনায় শেষমেশ কিয়ার স্টারমার সরাসরি টিউলিপের পক্ষ থেকে সরে আসেন। বাংলাদেশের সাথে শেখ পরিবারের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিউলিপকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন স্টারমার। এদিকে পদত্যাগ করলেও টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি তার সব আর্থিক স্বার্থ এবং সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। তবুও বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। প্রথম ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি টিউলিপ সিদ্দিককে। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য ওঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ বসবাস করতেন। এটি তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া।

তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিভিন্ন দুর্নীতিতে টিউলিপের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতাদের বিচার শুরু হলে এ নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

মন্ত্রীসভা থেকে ‘পদত্যাগ’ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক!

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুুয়ারি) রাতে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য। তার দল এবার সরকার গঠন করলে তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারেরও (ইকোনমিক সেক্রেটারি) দায়িত্ব পান। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে তিনি পদত্যাগ করলেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে টিউলিপের ভোগ-দখলে থাকা দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করানোসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভেতরে-বাইরে চাপে পড়েন তিনি।

গার্ডিয়ানের সূত্র বলছে, কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে সমর্থন করছিলেন। অভিযোগ ওঠার পরও তিনি তাকে বরখাস্ত না করায় বিরোধী দলও সমালোচনামুখর হয়। এদিকে টিউলিপও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোড়ন তোলা এ ঘটনায় শেষমেশ কিয়ার স্টারমার সরাসরি টিউলিপের পক্ষ থেকে সরে আসেন।

বাংলাদেশের সাথে শেখ পরিবারের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিউলিপকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন স্টারমার। এদিকে পদত্যাগ করলেও টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি তার সব আর্থিক স্বার্থ এবং সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। তবুও বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। প্রথম ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি টিউলিপ সিদ্দিককে। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য ওঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ বসবাস করতেন। এটি তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া। তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী।

তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিভিন্ন দুর্নীতিতে টিউলিপের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতাদের বিচার শুরু হলে এ নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

পুলিশের চাকরি হারিয়ে হয়েছেন ছি’নতাইকারী, ছি’নতাই করতে গিয়ে হলেন গ্রে’ফতার

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার রাতে হাতিরঝিলের চৌধুরী পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ইউনিফর্মের ১টি শার্ট, একটি প্যান্ট, একটি জোড়া অক্সফোর্ড স্যু, একটি পুলিশের ট্র্যাকসুট, একটি পুলিশের রিফ্লেকটিং ভেস্ট, ইউনিফর্মের বিভিন্ন উপকরণ, একটি পিস্তল কভার ও সাতটি মোবাইল ফোনসহ ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মো.হাকিম উদ্দিন (৩০), মো. শহিদ (৩৫) ও আল আমিন মাতুব্বর (২২)।

উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তিনজন লোক হাতিরঝিলের চৌধুরী পাড়ার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই এমন খবর পাওয়া যায়।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হাকিম জানায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সদস্য। ২০২২ সালে চাকুরিচ্যুত হন তিনি।

চাকরি চলে যাওয়ার পর গ্রেপ্তারদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতেন। গ্রেপ্তার হাকিমের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র: একদিকে দাবানল, অন্যদিকে তুষারঝড়!

একদিকে দাবানল, অন্যদিকে তুষারঝড়; বিপরীতমুখী দুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। কোনোভাবেই সামাল দেয়া যাচ্ছে না পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ুগত একাধিক পরিবর্তন কাজ করে এমন বিপরীতমুখী চরম ভাবাপন্ন অবস্থার পেছনে।

এই সময়ে দেশটির দুই প্রান্তে আবহাওয়ার চরম ভাবাপন্ন দুই রূপের জন্য বায়ুমন্ডলীয় বিভিন্ন ঘটনাকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আলোচিত জেট স্ট্রীম।

বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর-ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চগতির বায়ুপ্রবাহই জেট স্ট্রীম। একই সাথে একই অঞ্চলে ভিন্ন ধরনের আবহাওয়ার কারণ মূলত এই বায়ুপ্রবাহের ঢেউ খেলানো গড়ন।

এই গড়নের কারণে একদিকে তৈরি হয় উচ্চচাপ; অন্যদিকে নিম্নচাপ। ফলে, একই সাথে অঞ্চলের একদিকে দাবানল ও অন্যদিকে দেখা দেয় তুষারপাতের মতো ঘটনা।

আবহাওয়াবিদ জিম ফোয়েরস্টার বলেন, ঢেউয়ের গড়নের উচু অংশকে বলা হয় রিজ আর নিচু অংশকে বলা হয় ট্রাফ। রিজ অংশে বাতাস উষ্ণ হয়ে দ্রুত গতিতে উঠতে শুরু করে উপরে। ফলে নিচের ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে হয় সংঘর্ষ। কমে যায় বাতাসের আর্দ্রতা।

অন্যদিকে, ঢেউয়ের নিচু অংশে বায়ু উষ্ণতা হারিয়ে হতে শুরু করে আর্দ্র। দ্রুত গতিতে নামতে শুরু করে নীচে। ফলে তৈরি হয় নিম্নচাপ।

জেট স্ট্রীমের কারণেই তৈরি হতে পারে জলবায়ুগত আরেক পরিস্থিতি; যার নাম অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ব্লকিং। জেট স্ট্রীম এর ঢেউ খেলানো গড়ন যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, তখন তাকে বলা হয় অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ব্লকিং।

এর কারণে, একই স্থানে দীর্ঘদিন বিরাজ করে উচ্চচাপ কিংবা নিম্নচাপ। যেকারণে, আরও বেড়ে যায় চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার ঝুঁকি। তাছাড়া, এল নিনো ও লা নিনার প্রভাবেও ঘটে এমন ঘটনা।

প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধিকে ইঙ্গিত করে এলো নিনো- লা নিনা। সর্বোপরি, জলবায়ু পরিবর্তনই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রধান কারণ বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে ভয়াবহ তুষারঝড়ে কুপোকাত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অঞ্চল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক দুর্ঘটনা, শিডিউল বিপর্যয়,

প্রাণহানিসহ সব মিলিয়ে বিপাকে লাখ লাখ মানুষ। অন্যদিকে, পশ্চিমাঞ্চলে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুড়ছে হাজার হাজার একর জমি। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলা হচ্ছে একে।

৫ আগস্টে ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ- ভারতের সেনাপ্রধান!

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে যান। বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “আজকের তারিখে আমাদের কোনো পক্ষেরই আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে।”

তিনি আরো বলেন, “বস্তুত সে দেশে যখন পালাবদল ঘটল, তখনও আমরা নিজেদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলছিলাম। এরপর গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছে।”

৫ অগাস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে বাংলাদেশের একটি মিলিটারি এয়ারক্র্যাফটে করে দিল্লির কাছে হিন্ডন এয়ারবেসে এসে অবতরণ করেন। তখন থেকে আজ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ভারতেই রয়েছেন। ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার এই প্রক্রিয়াটা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই সম্পন্ন হয়েছিল।

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আরো বলেন, “উনি যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি।

আমরা পরস্পরের প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গেই থাকতে হবে ও পরস্পরকে বুঝতে হবে– যে কোনো ধরনের শত্রুতা আমাদের উভয়ের জন্যই হানিকর হবে।” ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাও আগের মতোই অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

তবে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন একটি ‘নির্বাচিত সরকার’ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসবে। উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যদি আপনারা (দুই দেশের) সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা ওখানে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।

হ’ত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ‘কল রেকর্ড’ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের হাতে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে জুলাই ও আগস্টের হ’ত্যাকাণ্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল রেকর্ড আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশ হাতে পেয়েছে।

আজ সোমাবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব কথা জানান প্রসিকিউটররা। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ছাড়াও জুলাই-আগস্ট হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ফোন রেকর্ড হাতে পেয়েছেন। এতে গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

তারা জানান, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিনই ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।

এরপর তার বিরুদ্ধে হ’ত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনেক মামলা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ভারতকে ‘নোট ভারবাল’ (কূটনৈতিক বার্তা) পাঠায় বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেই অনুরোধ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

তবে এ বিষয়ে এ পর্যায়ে আর কিছু বলার নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বল‌ছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এমপিওভুক্ত নিয়ে শিক্ষকদের জন্য আসলো বিশাল ‘সুখবর’

দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন হাজার ২০৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)।

তাদের মধ্যে স্কুলে দুই হাজার ৫৭৯ জন এবং কলেজের ৬২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। একই সঙ্গে ২ হাজার ৮৪২ জনকে উচ্চতর স্কেল ও ১৩০ জন স্কুল শিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশির এমপিও কমিটি। রোববার (১২ জানুয়ারি) মাউশির জানুয়ারি মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পদাধিকার বলে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম। এ সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মাউশি অধিদপ্তরের ৯ আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালক এবং অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোন অঞ্চলের কতজন এমপিওভুক্ত
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, স্কুলের ৩ হাজার ২০৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ১৩০, চট্টগ্রামের ১২৭, কুমিল্লার ১৪৮, ঢাকার ৭২৬, খুলনার ৩৭৭, ময়মনসিংহের ১৬৪, রাজশাহীর ৬৬৮, রংপুরের ১৭৫ এবং সিলেটের ৬৪ জন তালিকায় রয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজের ৬২৭ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৪৫, চট্টগ্রামের ৪৩, কুমিল্লার ৫২, ঢাকার ১০১, খুলনার ৭৭, ময়মনসিংহের ৬৭, রাজশাহীর ৭৬, রংপুরের ১১০ এবং সিলেট অঞ্চলের ৫৬ জন রয়েছেন।

উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২৮৪২ জন
এদিকে বেসরকারি স্কুল-কলেজের ২ হাজার ৮৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিও কমিটি। তাদের মধ্যে স্কুলের ২ হাজার ৩৫৯ জন এবং কলেজের ৪৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, উচ্চতর গ্রেড পাওয়া স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩৩১,

চট্টগ্রামের ১২৩, কুমিল্লার ৯৭, ঢাকার ৫০২, খুলনার ৪২৫, ময়মনসিংহের ১৪৯, রাজশাহীর ৪৬৯, রংপুরের ১৭৩ এবং সিলেটের ৯০ জন রয়েছেন। অন্যদিকে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩৯, চট্টগ্রামের ১৭, কুমিল্লার ৪১, ঢাকার ৪৮, খুলনার ২৬, ময়মনসিংহের ৯, রাজশাহীর ২৪৭, রংপুরের ৩৯ ও সিলেট অঞ্চলের ১৭ জন রয়েছেন।

বিএড স্কেল পাচ্ছেন ১৩০ জন
বেসরকারি স্কুলে কর্মরত ১৩০ জন শিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএড স্কেল পাওয়া স্কুল শিক্ষকের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৬ জন,

চট্টগ্রামের ৫, কুমিল্লার ৯, ঢাকার ৬৪, খুলনার ১৫, ময়মনসিংহের ৫, রাজশাহীর ১৪, রংপুরের ১১ এবং সিলেট অঞ্চলের ১ জন শিক্ষক আছেন।