আ’ত্মসমর্পণ করতে এসে কা’রাগারে তারেক রহমানের…

দুদকের দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আত্মসমর্পণের পর ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক ও প্রদীপ কুমার রায় জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি তুহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত ও পরোয়ানা ফেরতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ সতেরো বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন।

পাক-ভারত উত্তেজনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরানের

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি উভয় দেশকে “ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী” হিসেবে উল্লেখ করে এই সংকটময় সময়ে তেহরানের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান ইরানের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, যাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শতাব্দীপ্রাচীন সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত বন্ধনে গাঁথা। এই জটিল সময়ে আমরা ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।”

তিনি বিখ্যাত ফারসি কবি সাদী শিরাজির ১৩ শতকের কবিতা বানী আদম উদ্ধৃত করেন—
“মানবজাতি এক দেহের অঙ্গ,
একই সত্তা, একই আত্মার সঙ্গ,
একজন যদি ব্যথিত হয়,
অন্যজন থাকে না নির্ভার রয়।”

এই কবিতা আগে ২০০৯ সালে ইরানিদের উদ্দেশে এক নববর্ষ বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও উদ্ধৃত করেছিলেন।

এর পাশাপাশি সৌদি আরবও শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডারের সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনে কথা বলেন।

ভারত পাহেলগাম হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এর সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। হামলার জবাবে ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং ১ মে’র মধ্যে সব পাকিস্তানি নাগরিককে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।

জবাবে পাকিস্তান ভারতের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে এবং সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করেছে।

লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) সামরিক উত্তেজনার খবরের মাঝে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছে।

সূত্র: https://www.ndtv.com/world-news/india-pakistan-tensions-pahalgam-terror-attack-irans-mediation-offer-to-india-pakistan-with-a-13th-century-poem-8259590

কাশ্মীরে হামলা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার তথ্য ফাঁস

ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ভয়াবহ হামলায় নিহত নৌ কর্মকর্তার একটি ছবি ও ভিডিও নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পুরনো এক দম্পতির ছবি ভারতীয় গণমাধ্যমে ওই নৌ কর্মকর্তার ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে বলে

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পেহেলগামে মঙ্গলবারের হামলার পর যে ছবিটি নিহত নৌ কর্মকর্তার বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আসলে ওই দম্পতির নয়।

মূল ছবি যাদের, সেই দম্পতি এক ভিডিওতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা বেঁচে আছি। আমি জানি না কেন আমাদের ছবিগুলো

গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। ভারতীয় ওই দম্পতি তাদের বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের ছবিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বলে দেখানো হচ্ছে, যা বোধগম্য নয়।”

সূত্রঃ https://youtu.be/-h1W1CBvRpE?si=0d9-EcJb74D1kaXJ

বড় সুখবর দেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য, সামনে….

টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আগামী ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবসের ছুটি মিলিয়ে এই ছুটি ভোগ করবেন তারা।

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ অনুযায়ী, আগামী ১ মে ‘মে দিবস’-এর ছুটি। সরকারি তালিকায় এটি সাধারণ ছুটি।

এ বছর মে দিবস বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিত ছুটি। সুতরাং পয়লা মেসহ টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস- যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত।

প্রতিবছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো রাজপথে সংগঠিত হয়ে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন।

পিএসএল অভিষেকে ৩ উইকেটের সঙ্গে ৩ রেকর্ডে নাম লেখালেন রিশাদ

হোবার্টে ডাক পেয়েছিলেন। তবে এনওসি জটিলতায় খেলা হয়নি বিগব্যাশের বড় মঞ্চে। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে না হলেও রিশাদ ১ বছরের মধ্যে ঠিকই সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজ আসরে। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে প্রথমবার স্বাদ পেলেন বিদেশি লিগে খেলার।

আর সেটার শুরুটাও হলো দারুণ। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৭৯ রানে হারিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদানই রেখেছেন বাংলাদেশের এই লেগি। উইকেট পেয়েছেন কোয়েটার সর্বোচ্চ স্কোরার রাইলি রুশোর। সঙ্গে তার শিকার ছিলেন মোহাম্মদ আমির এবং আবরার আহমেদ।

৩ উইকেট শিকারের সুবাদে খুচরো তিনটি রেকর্ডের তালিকায় নিজের নাম উঠিয়েছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। যার দুটো পিএসএলের সাপেক্ষে। আর একটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের তালিকায়।

পিএসএল থেকেই শুরু করা যাক। পাকিস্তানের এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগারের দুইয়ে আছেন রিশাদ হোসেন। পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের লাহোরের বিপক্ষে ১৪ রানে দুই উইকেটের বোলিং ফিগারকে। শীর্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

পিএসএলে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার

৩/২১ – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; প্রতিপক্ষ – করাচি কিংস (২০১৭)
৩/৩১ – রিশাদ হোসেন; প্রতিপক্ষ – কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স (২০২৫)
২/১৪ – সাকিব আল হাসান; প্রতিপক্ষ – লাহোর কালান্দার্স (২০১৭)

৩১ রানে ৩ উইকেট নেয়ার দিনে পিএসএলে বিদেশিদের মধ্যে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারে দুইয়ে চলে এসেছেন রিশাদ। কদিন আগেই লাহোরের বিপক্ষে ইসলামাবাদের পেসার জেসন হোল্ডার পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেটাই সেরার তালিকায়। এরপরেই রিশাদের ৩ উইকেটের এই বোলিং ফিগার।

পিএসএলে বিদেশিদের মধ্যে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগার

৪/২৬ – জেসন হোল্ডার (ইসলামাবাদ ইউনাইটেড), প্রতিপক্ষ – লাহোর কালান্দার্স
৩/৩১ – রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স), প্রতিপক্ষ – কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স

তৃতীয় রেকর্ড বাংলাদেশের সাপেক্ষে। বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে অভিষেক ম্যাচে দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার এতদিন পর্যন্ত ছিল তানজিম হাসান সাকিবের। গেল বছর গ্লোবাল সুপার লিগে করেছিলেন এই কীর্তি। সেটা গতকাল টপকে গেলেন রিশাদ.

ফ্র্যাঞ্চাইজ অভিষেকে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার

৩/৩১ – রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স)। আসর- পিএসএল
২/২০ – তানজিম সাকিব (গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স)। আসর – গ্লোবাল সুপার লিগ
২/২৬ – মুস্তাফিজুর রহমান (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)। আসর – আইপিএল

পালানো আওয়ামী ৬২৬ জনের বিষয়ে যে তথ্য দিলেন ‘জুলকারনাইন’

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ১৯৭১ সালের গণহত্যার সময় আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন।

তার মতে, “যদি সেনাপ্রধান কারো পালিয়ে যেতে সহায়তা করে থাকেন, তাহলে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসা উচিত ছিল।” সায়ের দাবি করেন, “আমাদের হাতে ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি তালিকা আছে,

যেখানে বিভিন্ন এমপি, জজ ও পুলিশ অফিসারের নাম রয়েছে।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, “তৎকালীন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাদের যেতে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে তখন সরকার বলতে কিছু ছিল না,

এটি ছিল একটি উদ্ভট পরিস্থিতি। সায়ের তীক্ষ্ণ প্রশ্ন রাখেন, “বিমান বাহিনী কি সেনাপ্রধান চালান? যে বিমানগুলো উড়ে গেছে, সেগুলো বিমান বাহিনী কেন আটকায়নি?” তিনি আরো যোগ করেন, “সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির নির্দেশ উপেক্ষা করা কি সম্ভব ছিল? বিশেষ করে যখন দেশে কোনো সরকার প্রধানই ছিলেন না।সায়ের জোর দিয়ে বলেন, “এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কারা কীভাবে আশ্রয় নিয়েছিল,

কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো – এসব প্রশ্নের উত্তর জনগণ জানার অধিকার রাখে।” তিনি উল্লেখ করেন, “৬২৬ জন যদি নিজেদের জীবন রক্ষার্থে চলে যায়, তাহলে তাদের আটকানোর দায়িত্ব কার ছিল? এটি একটি অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক প্রশ্ন।”

সূত্র:https://youtu.be/nVYf4ZhnIKU?si=9jmJHkStppoHIB21

সুশান্তের মৃ’ত্যু’র র’হস্য জানা গেল!

হত্যা না আত্মহত্যা— সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে চলছিল নানা গুঞ্জন ও ধোঁয়াশা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে, একাধিক বলিউড তারকার নাম উঠে এসেছিল। অভিনেতার বোনসহ তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা দাবি করেছিলেন,

তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে এবার সিবিআইয়ের তদন্তে রহস্যের জট খুলে গেছে। সিবিআই জানিয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুতকে হত্যা করা হয়নি, বরং তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ মার্চ শনিবার মুম্বাইয়ের আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুশান্তের পরিবারের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সিবিআই জানায়, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন, এবং তারা এ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে।

প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় অভিনেতার বোন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ আগে, অভিনেতা সোমি ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করা হয়েছে,

তিনি আত্মহত্যা করেননি। তার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলে ফেলা হয়েছিল, এবং এতে সহায়তা করেছিলেন এমসের ময়নাতদন্ত বিভাগের সভাপতি সুধীর গুপ্ত।

স্মরণীয়, ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার একটি ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগের পর সিবিআই পুনরায় তদন্ত শুরু করেছিল। তবে সিবিআইয়ের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে যে, অভিনেতা আত্মহত্যা করেছিলেন।

হুমকি দেয়ার পরে তারা নড়ে চড়েবসে এবং রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে: উপদেষ্টা আসিফ

আর্মি যেহেতু পুরোপুরি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো ডিল করে, সেখানে তাদের কথাটা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এক ভিডিও বার্তায় আসিফ বলেন, আমরা সবগুলো নামই প্রায় কেটে দিয়ে শুধু একটা নাম আমরা রেখেছিলাম। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে ওইটা সেনসেটিভ জায়গা এবং দেশে এরকম একটা ট্রানজিশন টাইম সিচুয়েশনে।

যেহেতু আর্মি পুরোপুরি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো ডিল করে, সেখানে তাদের কথাটা রাখা উচিত। সেই জায়গা থেকে ওনার নামটা আমরা রাখি। শুধু আর্মির প্রোপোজাল থেকে বাকিগুলো কেটে দেয়া হয়।

এবং এছাড়াও আরেকটা যে ছয় তারিখে আর্মির সাথে আমাদের একটা বৈঠক হয়, তিন বাহিনী প্রধান, তারপর রাষ্ট্রপতি। প্রায় চার ঘণ্টার একটা বৈঠক হয় যেটার মূল কথাটা ছিল যে, সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটো ছিল যে,

ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস কেন, হোয়াই নট এনি আদার পারসন? আমরা আমাদের অ্যাডামন ছিলাম, বিকজ আমরা তো পাঁচ তারিখ রাতেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি যে, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসউইল উইল বি দ্যা চীফ অ্যাডভাইজার অফ দ্য নেক্সট ইন্টার গভর্নমেন্ট।

এবং সেটা একধরনের বিপ্লবী কায়দায়, আমরা ভিডিও বার্তা দিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি। আমরা কোন নিয়মের কিংবা সংবিধানের তোয়াক্কা করি নাই সেই সময়টায় উল্লেখ করে আসিফ আরো বলেন,

ওনি বারবার বলার চেষ্টা করছিলেন যে ড. ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কমপ্লিকেটেড পারসন হলে কিভাবে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে?

উপদেষ্টা ভিডিওতে আরো বলেন, আমরা তখন বললাম, আওয়ামী লীগের সময়ের পলিটিক্যালি মোটিভেটেড মামলা এই মামলাতেও পাওয়া যাবে, আমাদের নামেও আছে।

এটা বলার পর আবার ওনারা আরেকটা কথা বললেন যে, সোসাইটির একটা বড় অংশ তো ওনাকে হেট করে এবং বড় অংশ বলতে ওনি সরাসরিই বলেছেন যে আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা তো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

এখন আওয়ামী লীগ তো ইউনুসকে দু’চক্ষে দেখতে পারে না, একদম অপছন্দ করে। এখন এই আওয়ামী লীগ একটা লোককে একেবারেই দেখতে পারছে না এবং বাংলাদেশের তো আলটিমেটলি থার্টি ফরটি পার্সেন্ট পিপল আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করে। এই মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত। আমরা তখন বললাম, আওয়ামী লীগ এমন কিছু না যেটা নিয়ে এখন আমাদের কনসার্ন হওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগকে আমরা পরাজিত করেই এই প্ল্যাটফরমে আসছি উল্লেখ করে আসিফ আরো বলেন, এখানে আমরা বসছি, আওয়ামী লীগকে কি চাইল না চাইল এটা এখন আর ম্যাটার করে না। কিন্তু ওনি বারবার এই কথাটা ঘুরে ফিরে বলছিলেন যে, এই সরকার তো একটা নির্বাচন আয়োজন করবে। এজন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগ সবার কাছে এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসকে একেবারেই দেখতে পারে না।

ওনাকে আওয়ামী লীগ মেনে নিবে না, ওনি আসলে। আমাদের কথা ছিল যে আওয়ামী লীগ তো এখন এই মুহূর্তে ডিসিশন মেকিং এ আওয়ামী লীগ ম্যাটার করে না। এই ঘটনার পরে সে কি ভাবলো বা তার কি পজিশন ম্যাটার?

এরপরও ওনারা নানা ধরনের যুক্তি দিতে পারে এবং শেষ চার ঘণ্টা এই বিষয়ের উপরে ডিসকাশন হয়। আধাঘন্টা হয়তো অন্যান্য ইস্যু নিয়ে ডিসকাশন ছিল। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা এই ইস্যু নিয়ে ডিসকাশন ছিলাম আমি, নাহিদ ভাই, মাহফুজ ভাই আর নাসির ভাই। আর বাকি যারা ছিল তারা বাইরে অপেক্ষা করছিল। আসিফ স্যারও ছিল।

তারপরে তাজউদ্দিন স্যারও ছিল। আরও সমন্বয়কারী ছিলেন আরও দশ বারোজন। সবাই বাইরে অপেক্ষা করছিল। এই চার ঘণ্টা দুইবার বিরতি দিয়ে আমাদেরকে আবার ভাবতে বলে আবার চলে যেত। আবার এসে আবারও একই জায়গা থেকে কথা শুরু করত। বুঝতে পারছিলাম যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে এখানে কোনোভাবেই চাচ্ছে না।

আমরা ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছি এবং আমরা এক ধরনের হুমকির সুরে সেখানে বলি যে, যদি এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে না হয়, যদি রাষ্ট্রপতি ঘোষণা না দেয় ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাহলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ আমরা অলরেডি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি, আমরা আমাদের তৈরি করা উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নিব।

হুমকি দেয়ার পরে তারা একটু নড়ে চড়ে বসে এবং তারা গিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে ডিসকাস করে আসে। এবং সেনাপ্রধান লাস্ট আমার মনে পড়ে আমাদেরকে বলেছিল যে আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি। এবং। জায়গাটা ছিল খুবই রিজিড যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে এখানে একটা শক্ত সরকার গঠন করা পসিবল হবে না। এবং আর্মি যেই মোটিভেশন ছিল এটা এক এগারোর মতো একটা সরকার গঠন করার তাদের মোটিভেশন ছিল।
যখন তারা নামগুলো দেয়, ছয়টা সাতটা উপদেষ্টার নাম দেয়, তখন এটা বোঝা যায় এবং ডিক্টেটর করার এক ধরনের তামাশা। যদি এখানে অন্য কাউকে নেই, যার পার্সোনালিটি এত স্ট্রং না, তাহলে আলটিমেটলি আমরা আসলে অন্য কারও দ্বারাই পরিচালিত হব, ড্রিভেন হব। এই সরকারটা আত্মনির্ভরশীল একটা স্বতন্ত্র সরকার হতে পারবে না।
তারপর এ ঘোষণা দেয়, রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয় ডক্টর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে। এবং তারিখ হচ্ছে পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানটা হয় স্যার যখন সার্জারি শেষ করে দেশে আসেন। তারপর ওইদিন সন্ধ্যায় সরকারটা গঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষে নিহত ২ অনেকেই হতাহত

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে দুইজন নিহতের ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)। তারা দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়ার সমর্থক।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান।

এতে বাধা দেন সামসু মেম্বার ও তার লোকজন। পরে দুপক্ষই টেঁটা, বল্লম, দা, ছুরি ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন ও ছুরিকাঘাতে আরও একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।

রায়পুরা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে পুলিশ।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামসু মেম্বার ও সালাম মিয়া এবং তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অফিশিয়ালি দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা, অন্য দেশে পাঠাচ্ছে ভারত?

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর তিনি আশ্রয় নেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে,

দিল্লি সরকার শেখ হাসিনাকে সেখানে রেখে স্বস্তি পাচ্ছে না। কূটনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে তার নতুন অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কোনো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমও বেশ সংযত। কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট না থাকলেও ভারত সরকার সাময়িকভাবে তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত তাকে স্থায়ী রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চাইছে না এবং তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন, তবে সে সময় লন্ডন সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ২৪ এর গণহত্যা,

বিগত ১৭ বছরে ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সহিংসতা।

২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে একটি চিঠি পাঠিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=2DVbZ91X9vo