ভোটারে নেই আস্থা, পুণ্যস্নানেই মোদীর ভরসা?

বুধবার মহাকুম্ভে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গমে পুণ্যস্নান করবেন মোদী। আর বুধবারই রয়েছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের দিন মোদীর পুণ্যস্নান ঘিরে সরগরম রাজনীতির ময়দান। প্রধানমন্ত্রীর পুণ্যস্নানকে ‘ভোটের

রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা। অন্য দিকে, মৌনী অমাবস্যার ভোরে কুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় সোমবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। আজ সংসদে ভাষণ দেওয়ার কথা মোদীর।
কখন পুণ্যস্নান করবেন মোদী?

জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সঙ্গমে পুণ্যস্নান করবেন তিনি। সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তাঁর প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরে নামার কথা। সেখান থেকে রওনা দেবেন আরিয়েল ঘাটের উদ্দেশে। সেখান থেকে নৌকা করে মহাকুম্ভে পৌঁছবেন তিনি।

অন্য দিকে, বুধবারই রয়েছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় রাজনীতির অন্যতম মূলকেন্দ্র দিল্লির ভোটের দিন মোদীর কুম্ভ সফর এবং পুণ্যস্নান রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। সবটাই ‘চমক’ বলে সরব হয়েছে বিরোধীদের একাংশ। দিল্লিতে ভোটের দিনই কেন পুণ্যস্নান, তা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে।

মৌনী অমাবস্যার ভোরে কুম্ভে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় সোমবার উত্তাল হয় সংসদ। কক্ষত্যাগ করেন বিরোধী সাংসদররা। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা

মল্লিকার্জুন খাড়গে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে কক্ষত্যাগ করেন বিরোধী সাংসদরা। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার মোদীর কুম্ভ সফর নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কেঁপে ওঠে ৫ কিমি এলাকা

সকাল সকাল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের অস্ত্র কারখানা ও আশপাশের এলাকা। এতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায় এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে তা পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা গেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার সকালে নাগপুরের কাছে একটি অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলার এই কারখানায়

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এই বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জেলা কালেক্টর সঞ্জয় কোলতে জানিয়েছেন। বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা কর্মীরা জীবিতদের সন্ধান করছেন এবং দমকলকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নাগপুরের কাছে জওহর নগরের ওই অস্ত্র কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা এবং কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এলাকাতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ভান্ডারার জেলা প্রশাসক সঞ্জয় কোলতে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়। পরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজে কাজ শুরু করেন তারা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ধসে পড়েছে কারখানার একটি ছাদ। আর সেটির নিচে চাপা পড়ে যান অন্তত ১২ জন কর্মী।

তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। তবে তাদের মধ্যে কত জন বেঁচে আছেন, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

এনডিটিভি বলছে, বিস্ফোরণটি এতোটাই তীব্র ছিল যে, এর আওয়াজ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা গেছে। দূর থেকে ধারণ করা ভিডিওতে বিস্ফোরণের পর কারখানা থেকে ঘন ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন পদত্যাগপত্রে!

যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। টিউলিপের পদত্যাগপত্রটি কালবেলা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল –

“প্রিয় প্রধানমন্ত্রী

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা প্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মন্ত্রীদের মানদণ্ডবিষয়ক আপনার স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমার স্বপ্রণোদিত আবেদন দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছেন এবং আমার বর্তমান ও অতীত আর্থিক এবং বাসস্থানসংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার সুযোগ দিয়েছেন।

আপনি অবগত আছেন, আমার অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করার পর, স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন, আমি মন্ত্রিত্ববিধি ভঙ্গ করিনি। তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার মালিকানাধীন বা বসবাসকৃত সম্পত্তি বা আমার কোনো সম্পদ বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

আমার পারিবারিক সম্পর্ক সর্বজনবিদিত এবং যখন আমি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হই, তখন আমি আমার সমস্ত সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের তথ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছিলাম। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের পর আমাকে আমার স্বার্থপত্রে উল্লেখ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, আমার ফুফু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশসংক্রান্ত বিষয় থেকে (আমার) বিরত থাকা উচিত, যাতে স্বার্থের সংঘাতের কোনো সন্দেহ না থাকে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই, এসব বিষয়ে আমি সর্বদা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থেকেছি এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করেছি।

তবে এটি স্পষ্ট, অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার ভূমিকা সরকারি কাজের জন্য একটি বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। আমার আনুগত্য সব সময় এই লেবার সরকার এবং তার জাতীয় পুনর্নবীকরণ ও রূপান্তরের কর্মসূচির প্রতি থাকবে। তাই আমি আমার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আপনার সরকারে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি পেছনে থেকে যে কোনোভাবে সরকারকে সমর্থন করতে থাকব।

শুভেচ্ছান্তে,

টিউলিপ সিদ্দিক এমপি”

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে টিউলিপের ভোগ-দখলে থাকা দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করানোসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভেতরে-বাইরে চাপে পড়েন তিনি।

গার্ডিয়ানের সূত্র বলছে, কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে সমর্থন করছিলেন। অভিযোগ ওঠার পরও তিনি তাকে বরখাস্ত না করায় বিরোধী দলও সমালোচনামুখর হয়। এদিকে টিউলিপও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।

কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোড়ন তোলা এ ঘটনায় শেষমেশ কিয়ার স্টারমার সরাসরি টিউলিপের পক্ষ থেকে সরে আসেন। বাংলাদেশের সাথে শেখ পরিবারের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিউলিপকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন স্টারমার। এদিকে পদত্যাগ করলেও টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি তার সব আর্থিক স্বার্থ এবং সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। তবুও বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। প্রথম ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি টিউলিপ সিদ্দিককে। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য ওঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ বসবাস করতেন। এটি তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া।

তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিভিন্ন দুর্নীতিতে টিউলিপের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতাদের বিচার শুরু হলে এ নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

মন্ত্রীসভা থেকে ‘পদত্যাগ’ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক!

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুুয়ারি) রাতে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য। তার দল এবার সরকার গঠন করলে তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারেরও (ইকোনমিক সেক্রেটারি) দায়িত্ব পান। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসার প্রেক্ষাপটে তিনি পদত্যাগ করলেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে টিউলিপের ভোগ-দখলে থাকা দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করানোসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভেতরে-বাইরে চাপে পড়েন তিনি।

গার্ডিয়ানের সূত্র বলছে, কিয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে সমর্থন করছিলেন। অভিযোগ ওঠার পরও তিনি তাকে বরখাস্ত না করায় বিরোধী দলও সমালোচনামুখর হয়। এদিকে টিউলিপও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোড়ন তোলা এ ঘটনায় শেষমেশ কিয়ার স্টারমার সরাসরি টিউলিপের পক্ষ থেকে সরে আসেন।

বাংলাদেশের সাথে শেখ পরিবারের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিউলিপকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন স্টারমার। এদিকে পদত্যাগ করলেও টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি তার সব আর্থিক স্বার্থ এবং সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। তবুও বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। প্রথম ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি টিউলিপ সিদ্দিককে। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য ওঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ বসবাস করতেন। এটি তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া। তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী।

তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিভিন্ন দুর্নীতিতে টিউলিপের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতাদের বিচার শুরু হলে এ নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র: একদিকে দাবানল, অন্যদিকে তুষারঝড়!

একদিকে দাবানল, অন্যদিকে তুষারঝড়; বিপরীতমুখী দুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। কোনোভাবেই সামাল দেয়া যাচ্ছে না পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ুগত একাধিক পরিবর্তন কাজ করে এমন বিপরীতমুখী চরম ভাবাপন্ন অবস্থার পেছনে।

এই সময়ে দেশটির দুই প্রান্তে আবহাওয়ার চরম ভাবাপন্ন দুই রূপের জন্য বায়ুমন্ডলীয় বিভিন্ন ঘটনাকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আলোচিত জেট স্ট্রীম।

বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর-ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চগতির বায়ুপ্রবাহই জেট স্ট্রীম। একই সাথে একই অঞ্চলে ভিন্ন ধরনের আবহাওয়ার কারণ মূলত এই বায়ুপ্রবাহের ঢেউ খেলানো গড়ন।

এই গড়নের কারণে একদিকে তৈরি হয় উচ্চচাপ; অন্যদিকে নিম্নচাপ। ফলে, একই সাথে অঞ্চলের একদিকে দাবানল ও অন্যদিকে দেখা দেয় তুষারপাতের মতো ঘটনা।

আবহাওয়াবিদ জিম ফোয়েরস্টার বলেন, ঢেউয়ের গড়নের উচু অংশকে বলা হয় রিজ আর নিচু অংশকে বলা হয় ট্রাফ। রিজ অংশে বাতাস উষ্ণ হয়ে দ্রুত গতিতে উঠতে শুরু করে উপরে। ফলে নিচের ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে হয় সংঘর্ষ। কমে যায় বাতাসের আর্দ্রতা।

অন্যদিকে, ঢেউয়ের নিচু অংশে বায়ু উষ্ণতা হারিয়ে হতে শুরু করে আর্দ্র। দ্রুত গতিতে নামতে শুরু করে নীচে। ফলে তৈরি হয় নিম্নচাপ।

জেট স্ট্রীমের কারণেই তৈরি হতে পারে জলবায়ুগত আরেক পরিস্থিতি; যার নাম অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ব্লকিং। জেট স্ট্রীম এর ঢেউ খেলানো গড়ন যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, তখন তাকে বলা হয় অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ব্লকিং।

এর কারণে, একই স্থানে দীর্ঘদিন বিরাজ করে উচ্চচাপ কিংবা নিম্নচাপ। যেকারণে, আরও বেড়ে যায় চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার ঝুঁকি। তাছাড়া, এল নিনো ও লা নিনার প্রভাবেও ঘটে এমন ঘটনা।

প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধিকে ইঙ্গিত করে এলো নিনো- লা নিনা। সর্বোপরি, জলবায়ু পরিবর্তনই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রধান কারণ বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে ভয়াবহ তুষারঝড়ে কুপোকাত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অঞ্চল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক দুর্ঘটনা, শিডিউল বিপর্যয়,

প্রাণহানিসহ সব মিলিয়ে বিপাকে লাখ লাখ মানুষ। অন্যদিকে, পশ্চিমাঞ্চলে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুড়ছে হাজার হাজার একর জমি। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলা হচ্ছে একে।

হাসিনার উৎখাতের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলো যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় অনেকেই সামনে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা।

তবে হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ আরও একবার উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও ধরনের ভূমিকা নেই, সেটা ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন।

হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে সাংবাদিকদের একটি নির্বাচিত দলের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

অবশ্য হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা নেই বলে আগেই জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। এমনকি বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ কেবলই মিথ্যা বলেও গত বছরের আগস্টে আখ্যায়িত করে দেশটি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পালাবদল ঘটেছে এই কয়েক মাস আগেই। সস্প্রতি দিল্লি সফর সম্পন্ন করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেছেন, ঢাকায় যা ঘটেছে, তার নেপথ্যে ওয়াশিংটনের হাত থাকতে পারে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং ভুয়া।

তিনি আরও বলেছেন, ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন না যে— বাংলাদেশের ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সংশ্লিষ্টতা আছে।

এর আগে হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গত বছরের আগস্টে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।”

মূলত গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পর ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়।

পত্রিকাটি সেসময় আরও বলেছিল, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।

এবার টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে ‘বিকল্প’ কাউকে খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল লেবার পার্টি। বর্তমানে সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্বরত টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিলে কারা সেই পদে দায়িত্ব নিতে পারেন, সেরকম একটি খসড়া তালিকাও নাকি প্রস্তুত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা একটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছেন, যেখানে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন।

সূত্র বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট নিয়ে ওঠা অভিযোগ ও শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পরই এই আলোচনা শুরু হয়।

তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও বলেছেন— তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন।

তবে সংবাদমাধ্যমটির সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের কেউ কেউ অনানুষ্ঠানিকভাবেই টিউলিপের উত্তরসূরি খোঁজা শুরু করছেন। গত সপ্তাহেই কিছু কর্মকর্তাকে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি নির্ধারণে কাজ করতে দেখা গেছে।

এদিকে সোমবার টিউলিপ নিজেই ঘোষণা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতা পর্যবেক্ষকের কাছে এই বিষয়ে স্বচ্ছতার জন্য নিজেকে উপস্থাপন করবেন। ডাউনিং স্ট্রিটের বিবেচনাধীন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাচেল রিভসের দুই মন্ত্রীর সহকারী এলেস্টেয়ার স্ট্রাথার্ন এবং ইমোজেন ওয়াকার।

অন্য প্রার্থীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব (পিপিএস) ক্যালাম অ্যান্ডারসন, কনিষ্ক নারায়ণ, পরিবেশ দপ্তরের পিপিএস জশ সাইমন্স এবং রেচেল ব্লেক। অ্যাটর্নি জেনারেল লুসি রিগবি এবং একজন মন্ত্রীর সহকারী ও অর্থনীতিবিদ তোরস্টেন বেল-ও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।

সার্বিক প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি— সব মিলিয়ে টিউলিপের রাজনৈতিক ভবিষ্যত ও দলে (লেবার পার্টি) তার অবস্থান সম্পর্কেও তৈরি করেছে নতুন জল্পনা-কল্পনা। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে দুর্নীতিবিরোধী নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষ্মতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে পালাচ্ছেন মানুষ

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ঘরবাড়ি। আর এ থেকে প্রাণে বাঁচতে সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর সেখানে এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।

আলটাডেনার এমন কিছু নেই যা দাবানলের আগুনে পুড়েনি, যা স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১০০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে থাকে। এতে তিনটি বড় দাবানলের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

আগুনে দগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে পালিসাদেস দাবানলটি। এটির আগুনে ১৫ হাজার ৮০০ একর জমি পুড়ে গেছে। এ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি কোনো কিছু বাদ যায়নি।

অপরদিকে, ইটন দাবানলে ১০ একর জায়গা ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। ছাই হয়েছে আলটাডেনা এবং পাসাডেনার বহু ঘরবাড়ি। এ দুটির পাশাপাশি তাণ্ডব চালাচ্ছে সানসেট এবং হার্স্ট দাবানল। এরমধ্যে নতুন করে হলিউড হিলে আগুন ছড়িয়েছে।

ভয়াবহ আগুনে বেশ কয়েকজন হলিউড তারকার ঘর পুড়ে গেছে বলে তারা নিজেরাই বিষয়টি জানিয়েছেন। জানা যায়, আগুনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দাবানলের আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে অনেকে তাদের গাড়ি রেখেই পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এর প্রভাবে অনেকে খাবার পানির অভাবেও পড়েছেন।

সূত্র: সিএনএন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ের সুযোগ ছিল, তবুও কেন নির্বাচনে অংশ নেননি ‘বাইডেন’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যদি তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনী দৌড়ে থাকতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারতেন এবং নভেম্বরের নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হতে পারতেন। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, তিনি নিশ্চিত নন যে আরেকবার পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন কিনা। বুধবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব ছাড়তে যাওয়া ৮২ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট নেতাকে ইউএসএ টুডে প্রশ্ন করেছিল, তিনি কি মনে করেন, গত নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া তার জন্য বাস্তবসম্মত ছিল? বাইডেন এর উত্তরে অজ্ঞাত জরিপের উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি মনে করি, হ্যাঁ।


বাইডেন আরো বলেন, ‘আমি সত্যিই মনে করতাম, তার (ডোনাল্ড ট্রাম্প) বিরুদ্ধে জয়ের সবচেয়ে ভালো সুযোগ আমার ছিল। কিন্তু আমি ৮৫ বা ৮৬ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হতে চাইনি। তাই আমি নেতৃত্বের দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছিলাম। এখন পর্যন্ত ভালো আছি। তবে কে জানে আমি ৮৬ বছর বয়সে কেমন থাকব?’

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার তার মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ ছিল একটি বিতর্ক, যেখানে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার পুনর্নির্বাচনের যুক্তি উপস্থাপনে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন অনেক কম সাক্ষাৎকার ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোনাল্ড রিগানের পর থেকে এত কম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি আর কোনো প্রেসিডেন্ট।

ইউএসএ টুডে ছিল একমাত্র প্রিন্ট মিডিয়া, যারা বিদায়ি প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছে। বাইডেন যখন তার চার বছরের মেয়াদের আফসোস নিয়ে কথা বলেন, তখন তিনি বিতর্কে তার ব্যর্থতা বা এক মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার প্রতিশ্রুতি ভাঙার বিষয়টি উল্লেখ করেননি। বরং তিনি ভুল তথ্য ও ধীরগতির অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি আমরা এসব প্রকল্পে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারতাম, তবে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকতাম।’

এদিকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে তিনি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর যেসব ব্যক্তিকে তার শত্রু মনে হতে পারে, তাদের জন্য আগাম ক্ষমা প্রদানের বিষয়টি। বাইডেন নিশ্চিত করেন, তিনি এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন, তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

বাইডেন জানান, নির্বাচনের পর ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময় তিনি ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেন তিনি প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, ‘এটি তার নিজের স্বার্থের জন্যও বিপরীতমুখী হবে।’ তবে ট্রাম্প এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

নিজের উত্তরাধিকারের বিষয়ে বাইডেন জানান, তিনি চান, তাকে এমন একজন নেতা হিসেবে স্মরণ করা হোক, যিনি মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতির পুনর্গঠন ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন।

বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটাই ছিল আমার আশা। আমি চাই, ইতিহাসে এটি রেকর্ড হোক, আমি সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে (কাজ) করেছি এবং আমার মনের কথা স্পষ্টভাবে বলেছি।’

হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত

দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে দিল্লি চলে যান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে আড়ালে চলে গেছেন হাসিনা। যদিও দিল্লির একটি সেফ হাউজে তাকে রাখা হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে নোট ভার্বাল পাঠায় বাংলাদেশ। তবে সেটির জবাব এখন পর্যন্ত দেয়নি নয়াদিল্লি।

হাসিনা যেন ভারতে আরও সময় অবস্থান করতে পারেন সেজন্য তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে সূত্রটি। এছাড়া তাকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। কারণ ভারতে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই।

হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কাজটি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে লোকাল ফরেনার্স রিজিওনাল অফিস (এফআরআরও)।

এদিকে গুম ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার এমন তথ্য জানানো হয়। এরপরই জানা গেল, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।

এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত সোমবার দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরমধেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস