পিএসএল অভিষেকে ৩ উইকেটের সঙ্গে ৩ রেকর্ডে নাম লেখালেন রিশাদ

হোবার্টে ডাক পেয়েছিলেন। তবে এনওসি জটিলতায় খেলা হয়নি বিগব্যাশের বড় মঞ্চে। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে না হলেও রিশাদ ১ বছরের মধ্যে ঠিকই সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজ আসরে। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে প্রথমবার স্বাদ পেলেন বিদেশি লিগে খেলার।

আর সেটার শুরুটাও হলো দারুণ। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৭৯ রানে হারিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদানই রেখেছেন বাংলাদেশের এই লেগি। উইকেট পেয়েছেন কোয়েটার সর্বোচ্চ স্কোরার রাইলি রুশোর। সঙ্গে তার শিকার ছিলেন মোহাম্মদ আমির এবং আবরার আহমেদ।

৩ উইকেট শিকারের সুবাদে খুচরো তিনটি রেকর্ডের তালিকায় নিজের নাম উঠিয়েছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। যার দুটো পিএসএলের সাপেক্ষে। আর একটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের তালিকায়।

পিএসএল থেকেই শুরু করা যাক। পাকিস্তানের এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগারের দুইয়ে আছেন রিশাদ হোসেন। পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের লাহোরের বিপক্ষে ১৪ রানে দুই উইকেটের বোলিং ফিগারকে। শীর্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

পিএসএলে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার

৩/২১ – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; প্রতিপক্ষ – করাচি কিংস (২০১৭)
৩/৩১ – রিশাদ হোসেন; প্রতিপক্ষ – কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স (২০২৫)
২/১৪ – সাকিব আল হাসান; প্রতিপক্ষ – লাহোর কালান্দার্স (২০১৭)

৩১ রানে ৩ উইকেট নেয়ার দিনে পিএসএলে বিদেশিদের মধ্যে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারে দুইয়ে চলে এসেছেন রিশাদ। কদিন আগেই লাহোরের বিপক্ষে ইসলামাবাদের পেসার জেসন হোল্ডার পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেটাই সেরার তালিকায়। এরপরেই রিশাদের ৩ উইকেটের এই বোলিং ফিগার।

পিএসএলে বিদেশিদের মধ্যে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগার

৪/২৬ – জেসন হোল্ডার (ইসলামাবাদ ইউনাইটেড), প্রতিপক্ষ – লাহোর কালান্দার্স
৩/৩১ – রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স), প্রতিপক্ষ – কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স

তৃতীয় রেকর্ড বাংলাদেশের সাপেক্ষে। বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে অভিষেক ম্যাচে দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার এতদিন পর্যন্ত ছিল তানজিম হাসান সাকিবের। গেল বছর গ্লোবাল সুপার লিগে করেছিলেন এই কীর্তি। সেটা গতকাল টপকে গেলেন রিশাদ.

ফ্র্যাঞ্চাইজ অভিষেকে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার

৩/৩১ – রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স)। আসর- পিএসএল
২/২০ – তানজিম সাকিব (গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স)। আসর – গ্লোবাল সুপার লিগ
২/২৬ – মুস্তাফিজুর রহমান (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)। আসর – আইপিএল

অবশেষে ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়ে যে ‘বার্তা’ দিলেন মুশফিক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে মোটে দুই রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। কথা হচ্ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে তার অবসর নিয়েও।

আলোচনার মাঝেই বুধবার (৫ মার্চ) রাতে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক । নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে অবসরের কথা জানিয়েছেন মুশফিক।

সেখানে তিনি লিখেছেন , ‘আজ থেকে আমি ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলছি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন কম। তারপরও যখনই আমি মাঠে নেমেছি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

গেল কিছুদিন আমার জন্য খুবেই চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং আমি অনুধাবন করেছি যে, এটাই আমার ভাগ্যে লেখা আছে। আমি আমার পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা ১৯ বছর আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।’

দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও ফেল সাকিব, বড় নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা

বোলিং অ্যাকশন ক্রুটিমুক্ত প্রমাণ করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অধীনে চেন্নাইয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার বিসিবির এক পরিচালক সমকালকে জানিয়েছেন, ওই রিপোর্ট সম্পর্কে বোর্ডকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। সেখানেও সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি পাওয়া গেছে।

চেন্নাইয়ের ল্যাব থেকে বিসিবি’কে দু’দিন আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোন চিঠি এখনো বোর্ড পায়নি। যে কারণে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিসিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

এর আগে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি ধরা পড়ে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে ২ ডিসেম্বর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষা দেন সাকিব। ১০ ডিসেম্বর ইসিবি জানায়, বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। তখনই আম্পায়ার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। সেখানে ফেল করায় তাকে আন্তর্জাতিক ও বিদেশি টুর্নামেন্টে সাময়িক বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

বিসিবি জানায়, অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের বাইরে কোন ধরনের টুর্নামেন্টেই বল করতে পারবেন না বাঁ-হাতি এই স্পিনার। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে বাধা ছিল না তার। এমনকি আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য লিগে ব্যাটার হিসেবে খেলতেও বাধা নেই তার।

চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করায় সাকিব এখন স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। ক্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের নিয়মে বলা আছে, প্রথমবার বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি ধরা পড়ার পর দুই বছরের মধ্যে যদি দ্বিতীয়বার ক্রুটি ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। এমনকি ওই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পার না হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন না তিনি।

ক্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন ধারায় অন্যান্য শর্তও আছে। যেমন কোন বোলারের যদি নির্দিষ্ট কোন ডেলিভারির ক্ষেত্রে অ্যাকশন ক্রুটিপূর্ণ হয়, যেমন- দোসরা বোলিং। সেক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট ডেলিভারিই কেবল করতে পারবেন না ওই ক্রিকেটার। বিসিবির কাছে বোলিং অ্যাকশনের আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট আসলেই কেবল সাকিবের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। বিসিবি সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখবে কিনা ওই সিদ্ধান্ত নিতে তার বোলিং অ্যাকশন রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল।

মারমুখি তামিমের ব্যাট, বরিশালের কাছে আবারও হারলো রাজশাহী

বিপিএলের প্রথমদিন মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল। ফরচুন বরিশালের কাছে ওই ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরেছিলো দূর্বার রাজশাহী। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৭ রান তুলেছিলো রাজশাহীর ব্যাটাররা।

সিলেট পর্বের প্রথমদিন আবারও এই দুই দল মুখোমুখি। এবারও ফরচুন বরিশালের কাছে হারলো দূর্বার রাজশাহী। তামিম ইকবাল আজ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজের আসল রূপ প্রকাশ করলেন। ৪৮ বলে খেললেন অপরাজিত ৮৬ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাটেই দূর্বার রাজশাহীকে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর ব্যাটাররা ভলো ব্যাটিং করলেও, আজ এনামুল হক বিজয়দের ব্যাটে খুব রান তুলতে পারলো না। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৬৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল তারা। ফরচুন বরিশাল তামিম ইকবাল, কাইল মায়ার্স এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে ১৭.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয়।

১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই প্রিতম কুমারের (৩) উইকেট হারায় বরিশাল। কিন্তু তামিম আর কাইল মায়ার্স মিলে ৪১ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামলান। ১১ বলে ২৪ রান করে আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপর তাওহিদ হৃদয় ব্যাট করতে নেমে আগের দুই ম্যাচের মত ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ১৪ বলে তিনি করেন ১৩ রান।

৯৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর জুটি গড়েন তামিম এবং মুশফিক। দুই বন্ধুর পুরনো সেই জুটির বন্ধুত্বই বরিশালকে ৭ উইকেটের জয় উপহার দিলো। তারা গড়ে তোলেন ৭৬ রানের অপরাজিত অনবদ্য এক জুটি। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ৪৮ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতলেন তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হারিস ও জিসান আলমের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩০ রানের। ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান পাকিস্তানি ব্যাটার হারিস। জিসান আলম একটু ঝড় তুলেছিলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বিও মাঝারি মানের জুটি গড়েন। ২৩ বলে ৩৭ রান করেন রাব্বি। বিজয় আউট হন ৩৯ রান করে। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ এবং আকবর আলী ৯ বলে ১৫ রান করলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস।

বরিশালের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।

ভারতকে কুপোকাত করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে আসছে আইসিসি। ২০১৯–২১ সালের উদ্বোধনী চক্রে ফাইনাল খেলেছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে কিউইরা ভারতের শিরোপাস্বপ্ন ভেস্তে দিয়েছিল। প্রথম আসরে শিরোপা হারানোর ক্ষত সারাতে ২০২১–২৩ চক্রে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠে রোহিত-কোহলিরা। সেবারও তাদের হারের তিক্ত স্বাদ দেয় অজিরা। একই দলের বিপক্ষে হেরেই এবার ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে ভারত।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দেড়মাসব্যাপী বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ আজ (রোববার) শেষ হয়েছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। দীর্ঘ ১০ বছর পর যেখানে অজিবাহিনী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ভারত লক্ষ্য দিয়েছিল ১৬২ রানের। মাত্র ২৭ ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। ৩-১ ব্যবধানে জিতে ২০১৪–১৫ মৌসুমের পর প্রথম বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ অজিদের পকেটে গেল।

এই জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের চতুর্থ টেস্টে হেরে আগেই লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত, আজ তারা পুরোপুরি ছিটকে গেল। অন্যদিকে, আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকাও পেয়ে গেল শিরোপানির্ধারণী ম্যাচের প্রতিপক্ষ। আগামী ১১–১৫ জুন ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লাল বলের শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

কেবল ভারতই নয়, আজকের জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়েছে শ্রীলঙ্কারও। যাদের বিপক্ষে চলতি মাসের শেষদিকে চলতি চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই সিরিজের আগে ফাইনালের দুটি স্লট পূরণ হয়ে গেছে। ফলে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজটি হয়ে পড়ল কেবলই নিয়মরক্ষার। এর আগে লঙ্কানরা বেশ উড়ন্ত ফর্মেই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ডারবান টেস্টে তাদের নাস্তানাবুদ করে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে টেম্বা বাভুমার দল ফাইনাল নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, ভারত তাদের কাজটা আগেই কঠিন করে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়ে। অথচ এর আগপর্যন্ত রোহিত-বুমরাহরা অন্য দলগুলোর চেয়ে পয়েন্ট হিসাবে বেশ এগিয়ে থেকেই লম্বা সময় চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষে ছিল। এক সিরিজ তাদের সব এলোমেলো করে দেয়। ফলে একপর্যায়ে তাদের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় মেগা টুর্নামেন্টটির ফাইনালে উঠতে হলে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিততে হবে ৩-১ ব্যবধানে।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করলেও, তাদের তাকিয়ে থাকতে হতো অন্য দলগুলোর দিকে। কিন্তু সিরিজ ফসকে ভারতের আর কোনো আশাই টিকল না। অথচ এর আগে ২০১৬–১৭ মৌসুম থেকে শুরু করে ভারতই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রতিটি সিরিজ জিতে আসছে। আজ তাদের সেই আশা কমে যায় জাসপ্রিত বুমরাহ’র অনুপস্থিতিতে, আগের লাঞ্চ বিরতিতে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া এই বোলার আজ মাঠেই নামেননি। একইসঙ্গে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভারতকে বড় মাশুল গুনতে হলো ফাইনালের লক্ষ্য অপূর্ণ রেখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই বিদায় নিচ্ছেন রোহিত শর্মা!

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। চলমান অস্ট্রেলিয়া সফরেই সম্ভবত টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা দেখে ফেলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে, এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিতে পারেন রোহিত। তেমন হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলতে হবে ভারতীয় দলকে।

শোনা যাচ্ছে এই পরিস্থিতিতে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্যও নতুন অধিনায়কের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। টেস্ট দলের নেতৃত্ব জসপ্রীত বুমরাহের হাতেই সম্ভবত থাকবে আপাতত।

একদিনের ক্রিকেটের জন্য অন্য কাউকে অধিনায়ক করা হতে পারে। বিসিসিআই কর্তাদের প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে তিনটি নাম। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমারের সঙ্গে ভাবনায় আছেন শুভমান গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। সূর্যকুমারের বয়স এখন ৩৪। হার্দিকের ৩১। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার

অভিজ্ঞতা রয়েছে হার্দিকের। শুভমান শুধু এক বছর আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বয়স কম হলেও নেতৃত্বের অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। বয়স এবং অভিজ্ঞতা মিলিয়ে তাই হার্দিকই এগিয়ে রয়েছেন ওয়ানডেতে দলের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে। রোহিত দেশে ফিরে অবসর নিলে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হার্দিককে দেখা যেতে পারে অধিনায়ক হিসেবে।

বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘চাপের পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে হার্দিকের। অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ অলরাউন্ডার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় প্রতিযোগিতায় হার্দিককে অধিনায়ক করা যেতেই পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুভমানও অধিনায়ক হতে পারে। তবে ওকে আরও পরিণত এবং

অভিজ্ঞ হতে হবে। সূর্যকুমারও ভাবনায় রয়েছে। কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে ওর পারফরম্যান্স খুব ভালো নয়। রোহিতকে না পাওয়া গেলে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে হার্দিকই যথাযথ বিকল্প হতে পারে। তাতে দলের ভারসাম্যও ভালো হবে।’

ভারত নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল নির্বাচন করতে পারে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশ অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে। তার আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেন অজিত আগারকাররা। তার আগে রোহিতের মতামত জেনে নেবেন বিসিসিআই কর্মকর্তারা।

বোর্ড সূত্রে খবর, রোহিতকে অবসর নেওয়ার জন্য কোনো চাপ দেওয়া হবে না। তবে তিনি নিজে অবসর নিতে চাইলে আটকানোর চেষ্টা করা হবে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্টের পর কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে রোহিতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সিডনি টেস্টের দলে জায়গা হয়নি অধিনায়কের। তাকে খেলানোর জন্য বোর্ডের অনুরোধও মানেননি গম্ভীর। সব মিলিয়ে রোহিতের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাই পরবর্তী অধিনায়ক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে বোর্ডের অন্দরে।

তাসকিনের বিপিএলের ইতিহাসগড়া স্পেলে বিশ্বরেকর্ড

৪-০-১৯-৭। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন দুর্বার। ঢাকার স্কোরবোর্ডে ১৭০ এর বেশি রান উঠলেও দিনশেষে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন তাসকিনই। ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৭ উইকেট।

তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই পেসারের নাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীও এখন তাসকিন।

যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭ উইকেট

নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের। শুরুটা করেছিলেন লিটনকে দিয়ে। ৫ বলে শূন্য রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান তানজিদ হাসান তামিমকে।

জয়সওয়ালকে আউট দিয়ে ভারতে সমালোচিত শরফুদ্দৌলা, ভোট পেলেন স্নিকো আবিষ্কারকের

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট তথা মেলবোর্নে টেস্ট শেষ হলেও এ নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। যশস্বী জয়সওয়ালের এক আউট নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে হচ্ছে নানা আলোচনা। যেখানে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও দেশটির অনেক সমর্থকরা।

অনেক ক্রিকেটারও জয়সওয়ালের সেই আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সব মিলিয়ে কঠিন এক পরিস্থিতির শিকার বাংলাদেশি এই আম্পায়ার। তবে তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেই রায়-ই এবার দিয়েছেন স্নিকো মিটার প্রযুক্তির উদ্ভাবক বিবিজি স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন ব্রেনান।

মেলবোর্নে ভারতের ১৮৪ রানের হারের ম্যাচে ৮৪ রানে বিতর্কিত এক আউটের শিকার হন জয়সওয়াল। কামিন্সের বল মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েন তিনি। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন কামিন্স। পরে রিপ্লেতে স্নিকো মিটারে পরিবর্তন না এলেও তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। যা নিয়েই এখন হচ্ছে তুমুল বিতর্ক।

বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিবের দ্বন্দ্ব; যা জানা গেল

টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত

স্নিকো মূলত শব্দকেন্দ্রিক ফল দেয়। বল যতটা জোরে বা তীব্রতার সঙ্গে ব্যাট বা প্যাড স্পর্শ করে, তরঙ্গ চিহ্ন ততটাই স্পষ্ট ফুটে ওঠে। হটস্পটে ফুটে ওঠে বল ব্যাট বা প্যাডের ঠিক কোন জায়গায় কতটুকু স্পর্শ করেছে। তবে এক্ষেত্রে স্নিকো আসেনি। এমনটির হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্নিকো প্রযুক্তির উদ্ভাবক ব্রেনান। কোড স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছেন বিতর্কিত এই আউট নিয়ে।

সেখানে তিনি বলেছেন, স্নিকো হালকা স্পর্শ বা আলতো আঘাতের বিষয়টি সব সময় ধরতে পারে না, ‘(জয়সওয়ালের) এই শটটাও তেমনই একটা শট, যেটায় কোনো শব্দ হয়নি। স্নিকোও তা–ই কোনো শব্দ (তরঙ্গ চিহ্ন) দেখায়নি। আমি অডিও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন কোনো শব্দ হয়নি। সম্ভবত হট স্পটই এ ক্ষেত্রে সমাধান দিতে পারত।’

উল্লেখ্য, হট-স্পট নিয়ে একাধিক বিতর্কের পর ২০১৩ সালের অ্যাশেজ পরবর্তী সময়ে আর কখনই দেখা যায়নি এই প্রযুক্তি। স্নিকোতেই তাই ভরসা রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জয়সওয়ালের আউটে প্রযুক্তির তোয়াক্কা না করেই চোখের দেখায় বলের দিক পরিবর্তন অনুযায়ী জয়সওয়ালকে আউট দেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত।

অস্ট্রেলিয়ার রোমাঞ্চকর টেস্ট জয়, ভারতের তোপে বাংলাদেশি আম্পায়ার ‘সৈকত’

তখনো ২০ ওভারের মতো খেলা বাকি। টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট। ভারতের লক্ষ্যটা অবশ্য অনেকটা নাগালের বাইরে। ম্যাচ জিততে তখনো করতে হতো আরও ২০০ রান। জয়ের হিসাবটা বাদ দিলে বলা চলে ড্রয়ের জন্যই তখন খেলছিল সফরকারীরা।

সেই ড্র তারা করতে পারবে কি না, সেটিও অনেকটা নির্ভর করছিল ওপেনার জয়সওয়ালের ওপর। বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন তারকা এই ওপেনার। টিকে ছিলেন ব্যক্তিগত ৮৪ রান নিয়ে।

ম্যাচের এমন মুহূর্তে উইকেটের পেছনে বিতর্কিত ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন জয়সওয়াল। ভারতীয় ওপেনারের আউটের সঙ্গে জুড়ে গেছে বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের নামও।

জয়সওয়ালের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারতীয় টেলএন্ডার ব্যাটাররা। রোমাঞ্চকর মেলবোর্ন টেস্টে ১৮৪ রানের জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।

চোখের দেখায় ভারতীয় ব্যাটার জয়সওয়ালকে আউট দিলেন ‘সৈকত’, আলোচনার ঝড়

স্নিকোগ্রাফে ধরা পড়েনি বড় কিছু। কিন্তু দিক বদল ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত ভরসা রাখলেন চোখের ওপর। প্রযুক্তির ছোঁয়া ক্রিকেটে এসেছে সিদ্ধান্তকে নির্ভুল করতে। কিন্তু জয়সওয়ালের আউটের বেলায় নিজের চোখকেই বিশ্বাস করেছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল হলো।

আউট হলেন ভারতীয় ব্যাটার। এই আউটের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। টুইটারে বেশ বড় রকমের সমালোচনা চলছে বাংলাদেশি আম্পায়ারকে নিয়ে।

ঘটনার সূত্রপাত প্যাট কামিন্সের ৭১তম ওভারে। টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট। ভারতের ২০০ রান। এমন সময় বাউন্সার বলে ফাইন লেগে খেলতে চেয়েছিলেন জয়সওয়াল। তবে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির কাছে। ক্যাচের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। মাঠের আম্পায়ার দেন আউট দেননি।

কামিন্স রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার কাছে। রিভিউ নেওয়ার রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাট ও গ্লাভস ছুঁয়েছে। শরফুদ্দৌলাও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জানান, তিনি স্পষ্ট করেই দেখতে পেয়েছেন বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি স্নিকোর সাহায্য চান। কিন্তু স্নিকোগ্রাফে পরিবর্তন আসেনি।

তাতে অবশ্য বাংলাদেশি আম্পায়ারের মন গলেনি। ঠিকই দিলেন আউটের সিদ্ধান্ত। মাঠেই আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন জয়সোয়াল। উইকেট ছাড়তে ছাড়তেও কিছু একটা বলেছেন তিনি। ধারাভাষ্যকারদের অবশ্য পাশে পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা। হার্শা ভোগলে ও মার্ক নিকোলাসরা এটাকে সাহসী ও ন্যায্য সিদ্ধান্তই বলেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনে আউটের সিদ্ধান্তের পক্ষেই মত দিয়েছেন অভিজ্ঞ আম্পায়ার সাইমন টোফেল।