বড় সুখবর দেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য, সামনে….

টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আগামী ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবসের ছুটি মিলিয়ে এই ছুটি ভোগ করবেন তারা।

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ অনুযায়ী, আগামী ১ মে ‘মে দিবস’-এর ছুটি। সরকারি তালিকায় এটি সাধারণ ছুটি।

এ বছর মে দিবস বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিত ছুটি। সুতরাং পয়লা মেসহ টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস- যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত।

প্রতিবছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো রাজপথে সংগঠিত হয়ে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন।

বড় সুখবর সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে মুনাফা হার গত অর্থবছরের মতই ১১ থেকে ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য এ হার নির্ধারণ করে আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে।

জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের মতো সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তারা নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।

বাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর দিলো চীন! তবে কি এবার ভারত…

ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমাগত ই তলানিতে পৌঁছাচ্ছে। যেখানে শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছিল চীন এবং পাকিস্তান। তবে এবার কোন ধরনের গোপনীয়তা নয়। সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য চীনের দরজা উন্মুক্ত, আমরা সরাসরি অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছি। এদিকে পাকিস্তানের সাথে সরাসরি বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ ভারতের সাথে সম্পর্কের দূরত্বের কারণে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, সেটা পূরণ করতে ইতিমধ্যেই চীন এবং পাকিস্তান তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।

চীনের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। এছাড়াও চীনের অস্ত্র উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি যার মূল্য তুলনামূলক কম। দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এটা অবশ্যই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে । সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি কেবল অস্ত্র সরবরাহ নয় বরং বৃহত্তর কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। চীনের চির প্রতিদ্বন্দী ভারতকে কোণঠাসা করে রাখার কোন সুযোগই হাতছাড়া করবে না তারা। তাই চীন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে চায়।

বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এমন যে এখানে সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের হত্যা, বাণিজ্য ভারসাম্যের অভাব এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারত বাংলাদেশকে নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে নতুন সমীকরণে ক্রমাগতই ভারত থেকে দূরে গিয়ে চীনের কাছাকাছি হচ্ছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ভারত কি করতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়।

বড় পরিবর্তন নিয়ে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু

৪৭তম বিসিএসের আবেদন আজ (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।

আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।

গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।

গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়।

শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।