আ’ত্মসমর্পণ করতে এসে কা’রাগারে তারেক রহমানের…

দুদকের দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আত্মসমর্পণের পর ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক ও প্রদীপ কুমার রায় জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি তুহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত ও পরোয়ানা ফেরতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কর ফাঁকির অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ সতেরো বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন।

পালানো আওয়ামী ৬২৬ জনের বিষয়ে যে তথ্য দিলেন ‘জুলকারনাইন’

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ১৯৭১ সালের গণহত্যার সময় আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন।

তার মতে, “যদি সেনাপ্রধান কারো পালিয়ে যেতে সহায়তা করে থাকেন, তাহলে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসা উচিত ছিল।” সায়ের দাবি করেন, “আমাদের হাতে ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি তালিকা আছে,

যেখানে বিভিন্ন এমপি, জজ ও পুলিশ অফিসারের নাম রয়েছে।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, “তৎকালীন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাদের যেতে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে তখন সরকার বলতে কিছু ছিল না,

এটি ছিল একটি উদ্ভট পরিস্থিতি। সায়ের তীক্ষ্ণ প্রশ্ন রাখেন, “বিমান বাহিনী কি সেনাপ্রধান চালান? যে বিমানগুলো উড়ে গেছে, সেগুলো বিমান বাহিনী কেন আটকায়নি?” তিনি আরো যোগ করেন, “সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির নির্দেশ উপেক্ষা করা কি সম্ভব ছিল? বিশেষ করে যখন দেশে কোনো সরকার প্রধানই ছিলেন না।সায়ের জোর দিয়ে বলেন, “এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কারা কীভাবে আশ্রয় নিয়েছিল,

কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো – এসব প্রশ্নের উত্তর জনগণ জানার অধিকার রাখে।” তিনি উল্লেখ করেন, “৬২৬ জন যদি নিজেদের জীবন রক্ষার্থে চলে যায়, তাহলে তাদের আটকানোর দায়িত্ব কার ছিল? এটি একটি অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক প্রশ্ন।”

সূত্র:https://youtu.be/nVYf4ZhnIKU?si=9jmJHkStppoHIB21

হুমকি দেয়ার পরে তারা নড়ে চড়েবসে এবং রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে: উপদেষ্টা আসিফ

আর্মি যেহেতু পুরোপুরি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো ডিল করে, সেখানে তাদের কথাটা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এক ভিডিও বার্তায় আসিফ বলেন, আমরা সবগুলো নামই প্রায় কেটে দিয়ে শুধু একটা নাম আমরা রেখেছিলাম। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে ওইটা সেনসেটিভ জায়গা এবং দেশে এরকম একটা ট্রানজিশন টাইম সিচুয়েশনে।

যেহেতু আর্মি পুরোপুরি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো ডিল করে, সেখানে তাদের কথাটা রাখা উচিত। সেই জায়গা থেকে ওনার নামটা আমরা রাখি। শুধু আর্মির প্রোপোজাল থেকে বাকিগুলো কেটে দেয়া হয়।

এবং এছাড়াও আরেকটা যে ছয় তারিখে আর্মির সাথে আমাদের একটা বৈঠক হয়, তিন বাহিনী প্রধান, তারপর রাষ্ট্রপতি। প্রায় চার ঘণ্টার একটা বৈঠক হয় যেটার মূল কথাটা ছিল যে, সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটো ছিল যে,

ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস কেন, হোয়াই নট এনি আদার পারসন? আমরা আমাদের অ্যাডামন ছিলাম, বিকজ আমরা তো পাঁচ তারিখ রাতেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি যে, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসউইল উইল বি দ্যা চীফ অ্যাডভাইজার অফ দ্য নেক্সট ইন্টার গভর্নমেন্ট।

এবং সেটা একধরনের বিপ্লবী কায়দায়, আমরা ভিডিও বার্তা দিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি। আমরা কোন নিয়মের কিংবা সংবিধানের তোয়াক্কা করি নাই সেই সময়টায় উল্লেখ করে আসিফ আরো বলেন,

ওনি বারবার বলার চেষ্টা করছিলেন যে ড. ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কমপ্লিকেটেড পারসন হলে কিভাবে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে?

উপদেষ্টা ভিডিওতে আরো বলেন, আমরা তখন বললাম, আওয়ামী লীগের সময়ের পলিটিক্যালি মোটিভেটেড মামলা এই মামলাতেও পাওয়া যাবে, আমাদের নামেও আছে।

এটা বলার পর আবার ওনারা আরেকটা কথা বললেন যে, সোসাইটির একটা বড় অংশ তো ওনাকে হেট করে এবং বড় অংশ বলতে ওনি সরাসরিই বলেছেন যে আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা তো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

এখন আওয়ামী লীগ তো ইউনুসকে দু’চক্ষে দেখতে পারে না, একদম অপছন্দ করে। এখন এই আওয়ামী লীগ একটা লোককে একেবারেই দেখতে পারছে না এবং বাংলাদেশের তো আলটিমেটলি থার্টি ফরটি পার্সেন্ট পিপল আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করে। এই মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত। আমরা তখন বললাম, আওয়ামী লীগ এমন কিছু না যেটা নিয়ে এখন আমাদের কনসার্ন হওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগকে আমরা পরাজিত করেই এই প্ল্যাটফরমে আসছি উল্লেখ করে আসিফ আরো বলেন, এখানে আমরা বসছি, আওয়ামী লীগকে কি চাইল না চাইল এটা এখন আর ম্যাটার করে না। কিন্তু ওনি বারবার এই কথাটা ঘুরে ফিরে বলছিলেন যে, এই সরকার তো একটা নির্বাচন আয়োজন করবে। এজন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগ সবার কাছে এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসকে একেবারেই দেখতে পারে না।

ওনাকে আওয়ামী লীগ মেনে নিবে না, ওনি আসলে। আমাদের কথা ছিল যে আওয়ামী লীগ তো এখন এই মুহূর্তে ডিসিশন মেকিং এ আওয়ামী লীগ ম্যাটার করে না। এই ঘটনার পরে সে কি ভাবলো বা তার কি পজিশন ম্যাটার?

এরপরও ওনারা নানা ধরনের যুক্তি দিতে পারে এবং শেষ চার ঘণ্টা এই বিষয়ের উপরে ডিসকাশন হয়। আধাঘন্টা হয়তো অন্যান্য ইস্যু নিয়ে ডিসকাশন ছিল। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা এই ইস্যু নিয়ে ডিসকাশন ছিলাম আমি, নাহিদ ভাই, মাহফুজ ভাই আর নাসির ভাই। আর বাকি যারা ছিল তারা বাইরে অপেক্ষা করছিল। আসিফ স্যারও ছিল।

তারপরে তাজউদ্দিন স্যারও ছিল। আরও সমন্বয়কারী ছিলেন আরও দশ বারোজন। সবাই বাইরে অপেক্ষা করছিল। এই চার ঘণ্টা দুইবার বিরতি দিয়ে আমাদেরকে আবার ভাবতে বলে আবার চলে যেত। আবার এসে আবারও একই জায়গা থেকে কথা শুরু করত। বুঝতে পারছিলাম যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে এখানে কোনোভাবেই চাচ্ছে না।

আমরা ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছি এবং আমরা এক ধরনের হুমকির সুরে সেখানে বলি যে, যদি এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে না হয়, যদি রাষ্ট্রপতি ঘোষণা না দেয় ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাহলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ আমরা অলরেডি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি, আমরা আমাদের তৈরি করা উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নিব।

হুমকি দেয়ার পরে তারা একটু নড়ে চড়ে বসে এবং তারা গিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে ডিসকাস করে আসে। এবং সেনাপ্রধান লাস্ট আমার মনে পড়ে আমাদেরকে বলেছিল যে আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি। এবং। জায়গাটা ছিল খুবই রিজিড যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে এখানে একটা শক্ত সরকার গঠন করা পসিবল হবে না। এবং আর্মি যেই মোটিভেশন ছিল এটা এক এগারোর মতো একটা সরকার গঠন করার তাদের মোটিভেশন ছিল।
যখন তারা নামগুলো দেয়, ছয়টা সাতটা উপদেষ্টার নাম দেয়, তখন এটা বোঝা যায় এবং ডিক্টেটর করার এক ধরনের তামাশা। যদি এখানে অন্য কাউকে নেই, যার পার্সোনালিটি এত স্ট্রং না, তাহলে আলটিমেটলি আমরা আসলে অন্য কারও দ্বারাই পরিচালিত হব, ড্রিভেন হব। এই সরকারটা আত্মনির্ভরশীল একটা স্বতন্ত্র সরকার হতে পারবে না।
তারপর এ ঘোষণা দেয়, রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয় ডক্টর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে। এবং তারিখ হচ্ছে পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানটা হয় স্যার যখন সার্জারি শেষ করে দেশে আসেন। তারপর ওইদিন সন্ধ্যায় সরকারটা গঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষে নিহত ২ অনেকেই হতাহত

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে দুইজন নিহতের ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)। তারা দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়ার সমর্থক।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান।

এতে বাধা দেন সামসু মেম্বার ও তার লোকজন। পরে দুপক্ষই টেঁটা, বল্লম, দা, ছুরি ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন ও ছুরিকাঘাতে আরও একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।

রায়পুরা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে পুলিশ।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামসু মেম্বার ও সালাম মিয়া এবং তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অফিশিয়ালি দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা, অন্য দেশে পাঠাচ্ছে ভারত?

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর তিনি আশ্রয় নেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে,

দিল্লি সরকার শেখ হাসিনাকে সেখানে রেখে স্বস্তি পাচ্ছে না। কূটনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে তার নতুন অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কোনো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমও বেশ সংযত। কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট না থাকলেও ভারত সরকার সাময়িকভাবে তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত তাকে স্থায়ী রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চাইছে না এবং তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন, তবে সে সময় লন্ডন সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ২৪ এর গণহত্যা,

বিগত ১৭ বছরে ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সহিংসতা।

২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে একটি চিঠি পাঠিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=2DVbZ91X9vo

ইফতার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০, ১৪৪ ধারা জারি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার নান্দাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ আদেশ জারি করেন। নান্দাইল উপজেলা সদর শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খানের নেতৃত্বাধীন কমিটির নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে, একই স্থানে একই সময়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করে বিএনপির পদবঞ্চিত আজিজুল হক পিকুল সমর্থকরা। ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় উভয় পক্ষ অবস্থান নেয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে আগেভাগেই নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রাসহ উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হন।

এছাড়া লাদেন মিয়া নামে এক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুল হক পিকুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছিল, অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে ইফতার আয়োজন করতে চাওয়ায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, “বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”

রি’মা’ন্ডে দেয় দিক, কিছু বলবি না: দীপু মনি

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রিমান্ড শুনানির সময় তার আইনজীবীকে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, “যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই।” তার আইনজীবী তখন জানান, “আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি। কোনো শুনানি করব না।”

এদিন সকালে দীপু মনিসহ অন্যান্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ প্রহরায় তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় দীপু মনির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে ১০টা ২৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে দীপু মনিকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত ১৯ আগস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আলোচিত সেই নৃ’শংস হ’ত্যা’কাণ্ডের পেছনে যে সত্য জানা গেল!

কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যাকাণ্ড, একটি মর্মস্পর্শী কল রেকর্ড। যা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল পুরো দেশকে। বাবার আর্তনাদ সন্তানের মোবাইল ফোনে ধরা পড়ে, সেই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। সন্তানরা শুনতে পাচ্ছিল,

তাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে! এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক। টানা ১৩ বছর টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থাকা এই নেতা ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ইয়াবা ব্যবসার জন্য সারাদেশে সমালোচিত তৎকালীন এমপি আব্দুর রহমান বদি একরামকে পথের কাঁটা হিসেবে দেখতে শুরু করেন।

এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে র‍্যাবের কথিত ক্রসফায়ারের নামে তাকে হত্যা করা হয়। ছয় বছর পর নতুন অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—একরামের হত্যার পেছনে মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল না, বরং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা বদির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।

তৎকালীন র‍্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধ চলছিল, যেখানে ক্রসফায়ারের নামে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একাধিকবার র‍্যাবের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানালেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

একরামুল হকের হত্যাকাণ্ডের পর, ছয় শীর্ষ র‍্যাব কর্মকর্তাসহ পুরো বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও একে একপেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়। তার অন্যতম মদদদাতা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সেসময় গুঞ্জন ছিল, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন অজুহাতে টেকনাফ সফরে যেতেন কাদের। বদির ডেরায় অবস্থান করতেন, আর ফেরার সময় তার বহরে চার-পাঁচটি গাড়ি যোগ হতো, যেগুলোর মাধ্যমে বদির ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে যেত।

একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হননি, বরং এটি ছিল একটি রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র।

হত্যাকাণ্ডের পর তিনি মামলা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু আদালত ও থানার বারান্দায় ঘুরেও মামলা রেকর্ড করাতে পারেননি। কোনো আইনজীবীও তার পক্ষে দাঁড়াতে সাহস পাননি, কারণ র‍্যাবের হুমকি ছিল চরম।

মসজিদ-অফিসে এসি চালানোতে সরকারি নির্দেশনা, না মানলেই লোডশেডিং!

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলার জন্য মসজিদ, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং বাসাবাড়িতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ফাওজুল কবির খান জানান, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম এসির ব্যবহারে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ লোডশেডিং কার্যকর করবে। এসময় রমজান মাসে ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

‘আমার জামাই বীরের মতো ফিরবে’

চট্টগ্রামে নগরবাসীর আলোচনায় শুধু ছোট সাজ্জাদ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে সাজ্জাদকে নিয়ে আলোচনা।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পর আজ রোববার (১৬ মার্চ) ফেসবুক লাইভে নিজের স্বামীকে বীর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। তার ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

লাইভে তামান্না বলেন, আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে (স্বামী) নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।

ভিডিওতে ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়িয়ে আনবেন বলে জানান স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমার জামাই গতকাল (শনিবার) রাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেপ্তার হবেই। আপনারা যারা ভাবতেছেন, আর কোনো দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’ প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন’।

‘আমার জামাই বীরের মতো ফিরবে’
ওসিকে পেটানোর হুমকি দেওয়া সেই সাজ্জাদ গ্রেপ্তার
গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।