শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে পোস্ট ট্রাম্পের! যা জানা গেল

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরত আসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে,

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন— “Sheikh Hasina is coming back as Bangladesh PM soon.” তবে, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কোনো পোস্ট করেননি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করে তৈরি একটি ফ্যান অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৩ মার্চ পোস্টটি করা হয়। অ্যাকাউন্টটির নাম “Donald Junior Trump Update” হওয়ায় স্পষ্ট হয় যে এটি ট্রাম্পের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নয়,

বরং তার সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট প্রদানকারী একটি পেজ। এক্স প্ল্যাটফর্মের নিয়ম অনুসারে, কেউ প্যারোডি, ধারাভাষ্য বা ফ্যান অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেও বিভ্রান্তি এড়াতে অ্যাকাউন্টের নাম ও বায়োতে ‘প্যারোডি,’ ‘ফেক,’ ‘ফ্যান’ ইত্যাদি শব্দ সংযুক্ত করতে হয়।

তবে, অনেক সময় এসব অ্যাকাউন্ট নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্লু টিক ভেরিফিকেশনও নিয়ে থাকে, যা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও ইলন মাস্ক,

ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির নামে এক্স-এ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আবরার হ’ত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান ‘বাবা’ বরকত উল্লাহ

হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’ রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখা হয়। দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন ও নূর মোহাম্মদ আজমী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোপনে আদালতে হাজির, মাগুরার সেই শিশু ধ’র্ষণের দায় স্বীকার অভিযুক্ত হিটু শেখের

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণের অভিযুক্ত হিটু শেখকে শনিবার ছুটির দিনে গোপনে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। এ সময় নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পাশবিক নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হিটু।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে গোপনে পুলিশের একটি জিপ গাড়িতে তুলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে আসামি হিটু শেখকে উপস্থিত করা হয়। এ সময় ১৬৪ ধারায় ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালতের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মাগুরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো অফিসিয়ালি জানানো হয়নি। তবে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর হিটু শেখের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষক ও খুনি হিটু শেখ ও তার পরিবারের প্রকাশ্যে বিচারের দাবিতে সারা দেশসহ মাগুরার ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা মাগুরা সদর থানা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও মহাসড়ক অবরোধ করে। গত ১০ মার্চ প্রথা ভেঙে রাত ২টায় ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখ ও তার দুই ছেলেকে মাগুরা আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ড শুনানি করা হয়।

রিমান্ডে হিটু শেখকে ৭ দিন এবং ছেলে সজিব শেখ, রাতুল শেখ ও স্ত্রী জায়েদা খাতুনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ বোনের বাড়িতে ৮ বছরের আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিশু আছিয়া।

এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে কিছু জটিলতার কথা জানায়। কিন্তু বড় বোন মনে করে শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি বোনকে আবার শরীর খারাপের কথা বলে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়।

শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের মানুষ এমন নৃশংস পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। অভিযুক্তদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এদিকে মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া আছিয়ার পরিবারকে আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। শনিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া শিশুটির বিষয়ে সব ধরনের আইনি সহায়তা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। এ ছাড়া তার পরিবার ও বড় বোনের মানসিক স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য পুনর্বাসনের দায়িত্ব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের সেই আলোচিত স’ন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ গ্রে’ফতার!

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতারের কথা জানায় রাজধানীর তেজগাঁও থানা। গ্রেফতারের পর এই সন্ত্রাসী এখন রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রয়েছেন।

এখান থেকে রাতে তাকে চট্টগ্রাম নেয়া হতে পারে। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ধরতে গত কয়েকদিন ধরে সিএমপির একটি বিশেষ টিমও ঢাকায় অবস্থান করছিল।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন, চান্দগাঁও এলাকায় পরিচিত ছোট সাজ্জাদ হিসেবে পরিচিত।

তিনি বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। ছোট সাজ্জাদ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। চাঁদার জন্য বিভিন্ন ভবনে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেফতার করেছিল। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

চব্বিশের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরীর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় দোকানে বসে চা পানের সময় কালো রঙের একটি গাড়িতে করে গিয়ে তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় তাহসিনের বাবার করা মামলায় ছোট সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরীর অক্সিজেন এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। গত জানুয়ারিতে ফেসবুক লাইভে এসে প্রকাশ্যে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে পেটানোর হুমকি দেন ছোট সাজ্জাদ। এরপর তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

১৪ জনের ষ’ড়যন্ত্রে বিপদে বাংলাদেশ: আলজাজিরার সাংবাদিক

আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু ইনসাইডার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সায়েরের মতে, এই ইনসাইডাররা মূলত সরকারের ভেতরে এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

সায়ের তার পোস্টে জানান, কিছু উপদেষ্টা যারা সরকারের কেন্দ্রীয় অবস্থানে কাজ করছেন, তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আসা আটকানো। তারা চায় শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে।

এই ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু সরকারের মধ্যে নয়, সেনাবাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনাও করছে। সায়ের বলেছেন, যদি অবিলম্বে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং শান্তির জন্য বড় বিপদ সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরো দাবি করেছেন, এই চক্রের সদস্যরা একে অপরকে সমর্থন দিচ্ছে এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ করছে।

সায়েরের পোস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল, বাংলাদেশে সম্প্রতি ভারতীয় মিডিয়া কিছু গোপন বৈঠক সম্পর্কিত খবর প্রকাশ করেছে। যদিও অনেকেই এই খবরকে গুজব মনে করছেন, সায়ের বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই বৈঠকে গৃহীত হয়েছে, যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এদিকে, ভারতীয় মিডিয়াতেও বাংলাদেশ নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও অনেকে এটিকে গুজব মনে করছেন, তবে ভারতীয় মিডিয়া দাবি করছে, ঢাকায় কয়েকজন গোপন বৈঠক করছে। এই বৈঠকগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠিন বার্তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।

জুলকার নাইন সায়েদ তার ফেসবুক পোস্টে আরো দাবি করেছেন, যেহেতু ষড়যন্ত্রের তথ্য এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, তাই তিনি পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম এবং বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন নানা দিক থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যদি সত্যিই এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠবে।

সেই লাকি আক্তারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘চূড়ান্ত’

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় মঞ্চের প্রতিনিধিরা লাকি আক্তারকে

ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও গ্রেপ্তার দাবি ঘোষণা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানান। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শান্ত চত্বরে এসে শেষ হয়।

এ সময় সংগঠনটির সদস্য সচিব শান্তা আক্তার বলেন, তারা বরাবরই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

দ্রুত লাকির শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, ২০১৩ সালে একদল দেশদ্রোহী বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করে ভিন্ন মতের মানুষদের হত্যা করার বৈধতা দিয়েছিল

। সেই উগ্রপন্থি রাষ্ট্রবিরোধীরা আবারও রাজপথে নেমে জুলাই আন্দোলনের শহিদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাচ্ছে। তবে তারা মনে রাখুক এটি ২০১৩ নয়, এটি ২০২৫, নতুন বাংলাদেশের সময়।

এখানে তাদের কিংবা তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনো ঠাঁই নেই। জবি ইনকিলাব মঞ্চের মিডিয়া সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ২০১৩ সালে তারা যেভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, ২০২৪ সালের বিপ্লবোত্তর সময়েও সেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ফ্যাসিবাদের মদদদাতা এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধারা মরে যায়নি। দ্বিতীয়বার শাহবাগ উত্থান আমরা যেকোনো মূল্যে ঠেকাব। এছাড়া পুলিশের উপর হামলা ও লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, গণজাগরণ মঞ্চের লাকি আক্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। ছাত্র ইউনিয়নের ২০১৫-১৭ সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতিও ছিলেন লাকি।

চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে এলো মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে

মাগুরায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার আট বছরের এক শিশুর মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তিন আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে মাগুরা কারাগার থেকে আসামিদের

ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের নমুনা সংগ্রহের পর বিকেলে পুনরায় মাগুরায় ফিরিয়ে আনা হয়। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘ভুক্তভোগী শিশুটির ডিএনএ নমুনা ৬ মার্চ মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে একজন নারী,

তবে বাকি তিনজন পুরুষের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়।  নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা বর্তমানে মাগুরা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে ধর্ষক ২ জন নয় বরং ৩ জন প্রায় সারারাত ধরে ধর্ষন করে। প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়।

প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

এরপর ৭ মার্চ রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। ৮ মার্চ চিকিৎসকরা শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান। উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

পরদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিশুটির পরিবার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যে ‘মন্তব্য’ করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পৃথিবীতে নজির সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে এ আশাবাদ বক্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

এ সময় রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের তিনি বলেন, আপনারা কতটা রিফর্ম (সংস্কার) করবেন সেটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পৃথিবীতে নজির সৃষ্টি করবে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বৈঠকে জাতিসংঘের তরফ থেকে আমাদের বলেছে, আপনারা রিফর্ম (সংস্কার) কী নেবেন সেটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সংস্কার কে করবে- তা দেশের জনগণ ঠিক করবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার,

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

৮ মিনিটের উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ নুর-হান্নান!

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর এবং সমন্বয়ক হান্নান মাসউদের আট মিনিটের টকশোর একটি ক্লিপ। আলোচনায় একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন, যা মুহূর্তেই টকশোকে উত্তপ্ত করে তোলে। নুর এবং হান্নান মাসউদ একে অপরকে অভিযোগ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন।

নুর দাবি করেছেন, হান্নান মাসউদ এবং তার দল পুরনো রাজনীতির পথে চলে গেছে, যেখানে দুর্নীতি ও নৈতিকতার অবক্ষয় রয়েছে। তিনি বলেন, যারা নতুন রাজনীতির কথা বলে, তারা কিন্তু পুরনো পথে হাঁটছে। তাদের নেতাদের আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে, তারা নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাব বজায় রাখতে চায়।”

এদিকে, হান্নান মাসউদও নুরের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, “নুর ভাই, আপনি যে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলেন, সেখানে কিছু না কিছু প্রশ্ন উঠে থাকে। আপনার দল, আপনার কার্যক্রম নিয়ে সবসময় বিতর্ক উঠছে।

নতুন রাজনীতির নাম করে আমরা কখনোই পুরনো রাজনৈতিক প্রথাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে চাই না।” এছাড়া, তাদের আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী আন্দোলন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

নুর এবং হান্নান মাসউদ উভয়েই নিজেদের দলের কাজকর্ম এবং জনগণের জন্য তাদের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন। এই টকশোর মধ্যে দুই নেতার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ছড়িয়ে পড়লেও, তাদের সমালোচনার ভিত্তি ছিল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের প্রতি গভীর উদ্বেগ এবং পরিবর্তনের জন্য তাদের প্রতি তীব্র আগ্রহ।

ভারতের কেন এত বেশি ভয় বাংলাদেশ নিয়ে? কেনই বা তারা হাসিনাকেই বারবার চায়?

কোন প্রতিবেশির কাছেই ওরা ভালো নয়, প্রতিবেশিদের চাপে রাখা আর সেদেশে দ্বন্দ্ব তৈরি করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বলছিলাম আমাদের প্রতিবেশি দেশ ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরম মিত্র ভারতের কথা। তবে ইদানিং বাংলাদেশ নিয়ে খুব বেশি চুলকানি ধরেছে দাদাবাবুদের। বাংলাদেশ নিয়ে কেন এত বেশি ভাবনা ভারতের? কেনই বা তারা হাসিনাকেই চায় বারবার?

ভারত সবসময়ই তার প্রতিবেশি দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা এমনকি মিয়ানমারের ভিতরেও রয়েছে ভারতের হস্তক্ষেপ। এক্ষেত্রে মূলত তারা ব্যবহার করে থাকে তাদের দেশের বিশেষ বাহিনী ‘র’ কে।

প্রতিটি দেশেই ‘র’ এর এজেন্ট রয়েছে যারা কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো গোপনীয়তার সাথে অবস্থান করে দেশগুলোতে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রতিবেশি দেশগুলোর ভিতরে দ্বন্দ সৃষ্টি করা। যাতে তারা এসবেই ব্যস্ত থাকে। আর বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বেশি লাফালাফি করার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম চায়না ও পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক।

ভারতের ঘোর শত্রু এই দুই দেশ বর্তমান বাংলাদেশের পরম মিত্রে পরিণত হয়েছে। এছাড়া আর একটি কারণ সেভেন সিস্টর্স। মনে পড়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস হাসিনা পালানোর পর প্রথমেই ভারতের এই অংশটি নিয়ে কথা বলেছিলেন?

ভারত ভালো করেই জানে ওরা একটু বারাবারি করলেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে পুরো দেশ। সম্প্রতি ভারতের চিকেন নেকের কাছেই লালমনিরহাটে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানঘাটি নির্মাণের গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছিলো তা নিয়েও রাতের ঘুম হারাম মোদি সরকারের।

ভারত বাংলাদেশের সাথে সরাসরি দ্বন্দে জড়ানো মানে চীন ও পাকিস্তানের সাথেও দ্বন্দ সৃষ্টি করা। একটু খানি কিছু হলেই চিকেন নেক থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে দাদাবাবুরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাজই ছিলো ভারতের দালালি করা। ভারতকে শুধু দিয়েই যাওয়া, হাসিনা এমনভাবে ভারতের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতো মনে হতো দেশটা বোধহয় ইন্ডিয়ারই কোন প্রদেশ।

বিশ্বের কোন দেশ হাসিনাকে আশ্রয় না দিলেও দাদারা ঠাঁই দিয়েছে, শুধু এতটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি ওরা হাসিনাকে আবার দেশে ফেরানোর পায়তারা করছে। ভারত সবকিছুই করছে নিজেদের স্বার্থে নিজেদের দেশ রক্ষা করতে।