শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক, আ. লীগ কর্মীর হাতে বিএনপি কর্মী গু’লিবিদ্ধ

শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে চায়ের দোকানে বিতর্কে আওয়ামী লীগ কর্মী ইমরানের গুলিতে বিএনপি কর্মী আজগর হোসেন (২৫) আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহত আজগর ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে।

আহতের ফুফাতো ভাই বিপুল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে বিএনপি কর্মী ওলিয়ার রহমান এবং গুলিবিদ্ধ আজগরের বাবা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর বিতর্ক হয়।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের পণ্ডিত মোড়ে ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের চাচাতো ভাই (আলতাফের ভাতিজা) শিপন আমাকেকে হুমকি দেয় ও আব্বাস-ওলিয়ারদের খুঁজতে থাকে। তখন আমি পণ্ডিত মোড় থেকে চলে যাই।’

তিনি বলেন, ‘পরে তারাবির নামাজের আগ দিয়ে গ্রামের মুদি দোকানের সামনে মামাতো ভাই আজগরসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় আলতাফ হোসেনের আরেক ভাতিজা ইমরান পিস্তল উঁচিয়ে আমার (বিপুল) দিকে গুলি ছোড়ে। আমি সরে গেলে গুলি পাশে থাকা আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা ইমরানকে আটক করে মারপিট করে এবং পুলিশে খবর দেয়।

তবে এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে ইমরানকে নিয়ে সরে পড়ে। পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসাসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।’

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে তার বাবা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তিনি ফিরে এজাহার দায়ের করবেন। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা!

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা ভারতে পলায়ন করেন। পরে তার ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় কয়েক শ’ মামলা দায়ের করা হয়। তাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি দেশের বিভিন্ন মহলের।

এমতাবস্থায় বুধবার (১২ মার্চ) ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই-তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডক্টর রাব্বি আলম এক সাক্ষাতকারে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও বাংলাদেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে নিরাপদে ভারতে আশ্রয় দেয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেন।

ডক্টর রাব্বি আলমের মতে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তরুণ প্রজন্মকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম একটি ভুল করেছে, কিন্তু এটি তাদের দোষ নয়, তাদের কারসাজি করা হয়েছে।

ডক্টর রাব্বি আলম বলেন, বাংলাদেশ এখন আক্রমণের মধ্যে রয়েছে, এবং এই সংকট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপে সমাধান হওয়া দরকার। একটি রাজনৈতিক অভ্যুত্থান গণতন্ত্রের অংশ হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা নয়। এটি একটি সন্ত্রাসী বিদ্রোহ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের বহু নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদ ভ্রমণের পথ সুগম করেছেন।

তিনি বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের ফিরে যেতে হবে, যেখান থেকে তারা এসেছে।

ডক্টর রাব্বি আলম জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন, কিন্তু এই সংকট তরুণদের ভুল নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

ফেসবুকে এবার যে ‘সতর্ক’ পোস্ট করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

২০২৫-এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না বলে সাবধান করে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে এ পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০২৫ এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না। সাবধান!’

এর পর ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে আরেকটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেন, শাহবাগ একদিনে গড়ে উঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তুলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশী এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।

জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এ সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সকল অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমরা আশা রাখি, সকলের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত। পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সকল অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

সারজিসের ওপর হামলার ইস্যুতে প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম!

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় আহত হওয়ার অভিযোগ নিয়ে থানায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের অনুসারীরা। বুধবার মধ্যরাতে ভাটারা থানায় গিয়ে তাদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন তারা।

এ ঘটনায় সারজিস আলম হামলাকারীদের ছাত্রদলের নেতাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। হামলায় অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই অছাত্র বলে তার ভাষ্য। একই ঘটনায় পালটা অভিযোগ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীও। আহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মুশতাক তাহমিদ হামলায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজারুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় হামলার ঘটনায় থানায় দুই পক্ষ বুধবার রাতে দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি। তবে দুটি অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওসি জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলমের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাহমুদুল রাইয়ান মইন। তিনি চার-পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০/৩৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের অভিযোগ পেশ করেছেন মোহাম্মদ সাকিন আহমেদ। অভিযোগে তিনি সারজিস আলমসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। হামলার ব্যাপারে ওসি জানান, ঠেলা ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। আহত হওয়ার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সড়কের মধ্যে রাত ১০টার দিকে এ দুই অংশের মধ্যে হাতাহাতি বিষয়ক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সারজিস আলম তার অনুসারীদের নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি সড়কে কথা বলার সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কা-পালটা ধাক্কা ও হাতাহাতি শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে তারা যেখানে বিতণ্ডায় জড়ান তা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুজন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ ঘটনা নিয়ে রাত ২টার দিকে সারজিস আলম তার ফেসবুক প্রোফাইলে এ হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে পোস্ট দেন।

সেখানে তিনি লেখেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয়। এনএসইউ, আইইউবি, এআইইউবি, ইউআইইউ-এই চার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এনএসইউর সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল।

এর আগে বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে একজন লেখেন, ‘এনসিপিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করার পর সারজিস আলম আজ আসছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার অনুসারীদের নিয়ে এই এলাকায় শোডাউন দিতে। এ খবর শুনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবি (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে), আইইউবির (ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সারজিসের অনুসারীদের ওপর চড়াও হন। পরে সবার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সারজিস তার গাড়িতে উঠে বসুন্ধরা এলাকা থেকে চলে যান। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারজিসকে বসুন্ধরা এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।’

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে ঘিরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হট্টগোল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও পুরো ছাত্রদলের ওপর দায় দিতে চান না হামলায় আহত শিক্ষার্থী মো. মুশতাক তাহমিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশতাক তাহমিদ বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বুধবারের ঘটনায় ছাত্রদলের কয়েক জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে আমি কয়েক জনকে চিনি। এদের মধ্যে আহমেদ শাকিল ও মাসরুর হামলা করে। আহমেদ শাকিল আমাকে ছুরিকাঘাত করে এবং মাসরুর মাথায় কামড় দেয়। বুধবারের ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেউ সেখানে ছিল না।

মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্ট, নিজের ওপর হামলার বিষয়ে যা জানালেন ‘সারজিস’

রাজধানীর বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় নাগরিক কমিটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ওপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছেন বলে বুধবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয়।

তিনি লেখেন, NSU, IUB, AIUB, UIU এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল। পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিল ছিল।

আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল। বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।

সারজিস আলম আরও লেখেন, পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সাথে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷ ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও লেখেন, ১৬ বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজ যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিণতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না। হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে সারজিস লেখেন, শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।

সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন! কি হয়েছিলো সার্জিসের সাথে ছাত্রদল নেতার?

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সার্জিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেইজবুকে বলেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সাথে চায়ের আড্ডা দিতে এবং

তাদের কথা শুনতে যাই ৷ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সাথে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয় , চায়ের আড্ডা হয় ৷

NSU, IUB, AIUB, UIU এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সাথে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম ৷ আমার সাথে ১৫-২০জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল ৷

পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ৷ এর মধ্যে ছাত্রদলের সেন্ট্রাল নেতা আহমেদ শাকিল ছিল ৷

আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে ৷ কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সাথে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে ৷

ওদের ১০-১২জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতিকারী মনে হচ্ছিলো৷ বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।

পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সাথে থাকা টোকাই দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷

ছাত্রদলের শাকিল সহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

১৬বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজকে যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিনতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না ৷

শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।

ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ট্র্যাকিং: সর্বশেষ লোকেশন সম্পর্কে জানা গেল

গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।সেসময় দলটির সভানেত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই গ্রেপ্তার বা পলাতক রয়েছেন।তবে আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে যার নাম,

তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কাদেরের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা সময় নানা তথ্য জানা যায়।কখনো সিলেটে অবস্থান কিংবা হংকং বা

ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনা গেলেও কার্যত এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ওবায়দুল কাদের।

সর্বশেষ বেসরকারি টিভির নাজমুস সাকিবের উপস্থাপনায় জানানো হয়, নবাগত নায়িকা মেঘলার মৃত্যু রহস্য নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের লালসার শিকার হয়েছিলেন প্রয়াত এই নায়িকা।যেখানে আরো জানানো হয়,

ওবায়দুল কাদেরের কল লিস্ট ট্র্যাকিং এ জানা গেছে ৫ আগস্ট সর্বশেষ ওবায়দুল কাদেরের ব্যাবহৃত ফোন নাম্বারটির লোকেশন দেখায় মোহাম্মদপুরে ।তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কাদেরের ফোন।

আওয়ামী লীগের বিচারে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র দেখছি: হাসনাত আবদুল্লাহ

“এই সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারটা নিশ্চিত করুক, আওয়ামী লীগের বিচার যদি নিশ্চিত না করতে পারেন আপনাদের পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এই যে আওয়ামী লীগের বিচার যেন দীর্ঘমেয়াদী হয়, বিচারটা যেন কোনভাবে কালক্ষেপন করা যায় সেটার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখছি।” কথাগুলো বলছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, “শহীদ পরিবারের যেই আকুতি, শহীদ পরিবারের যেই আকাঙ্ক্ষা আমরা সেইটাই সরকারের কাছে বারবার ব্যক্ত করছি যে এই শহীদ পরিবারের এই যে কান্না এটা ক্রোধে পরিণত হবে খুব শীঘ্রই যদি এই আহতদের এবং শহীদদের পরিবারের বিচার নিশ্চিত না করা হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে।”

এছাড়া তিনি বলেন, “কোন দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না যেটি আমাদেরকে আশাহত করছে। আমরা চাই যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই বিচারটি নিশ্চিত করতে পারুক।”

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ও হাসিনার বৈঠক, যা জানা গেল

সম্প্রতি ‘এই মুহূর্তে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বৈঠক করবেন আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গাবার্ডের সাথে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে৷ তবে এর মধ্যেই ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

এদিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা উঠে এসেছে।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কলকাতায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বৈঠকের দাবিটির কোনো সত্যতা নেই বরং, ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতায় একটি সরকারি সফরের ভিডিও উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Sting Newz নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর ‘কলকাতায় পা রেখে কি বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শুনুন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে৷

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মূল ভিডিওটির ০০:১৫ থেকে ০০:৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ ভিডিওর উক্ত অংশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য প্রধান করতে দেখা যায়৷

পরবর্তীতে, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম Ekattor TV এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ‘একান্ত বৈঠকে বসছে শেখ হাসিনা ও মমতা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়৷

প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওতে শেখ হাসিনার পরনে থাকা শাড়ির সাথে আলোচিত ভিডিওটি ডিডিওতে তার পরনে থাকা শাড়ির মিল রয়েছে৷ প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ-ভারতের ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টের উদ্বোধনীতে অংশ নিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বছর ২২ নভেম্বর সরকারির সফরে কলকাতা পৌঁছায়৷

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাথে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের নয়৷

সুতরাং, কলকাতায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাথে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক দাবিতে পুরোনো সরকারি সফরের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

ফের মন্তব্য মাসুদ কামালের ‘শিশুশিল্পী দিয়ে কখনও রাজনৈতিক দল হয় না’

রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা দল নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, “শিশুশিল্পী দিয়ে কখনও রাজনৈতিক দল হয় না।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শুধুমাত্র তরুণদের নিয়ে দল গঠন করলেই তা সফল রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে না, বরং অভিজ্ঞ নেতৃত্বের সংযোজন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “কোনো বড় রাজনৈতিক শক্তি গঠনে শুধু নতুনদের দিয়ে হবে না, কিছু অভিজ্ঞ নেতারও দরকার। বড় কোনো সিনেমা যদি হিট হয়, সেখানে শিশু শিল্পী থাকে, কিন্তু বাবা-মায়ের চরিত্রে বয়স্ক অভিনেতাও লাগে। রাজনৈতিক দলেও তাই— অভিজ্ঞদের সংযুক্ত করা জরুরি।”

তবে তিনি স্বীকার করেন, নতুন এই রাজনৈতিক শক্তির কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। “এরা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছে, যা আগে খুব বেশি কেউ বলেনি। সাধারণ মানুষ রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে, কারণ তারা দেখে রাজনৈতিক দলে বড়জোর কর্মী হওয়া যায়, কিন্তু নেতা হওয়ার সুযোগ মেলে শুধু পরিবারের সদস্যদের। নতুন এই দলটি বলছে যে এখানে যে কেউ বড় নেতা হতে পারে, মন্ত্রী হতে পারে। এটা একটা ইতিবাচক দিক।”

তিনি আরও বলেন, “এই দলের মধ্যে নেতৃত্বের জায়গায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যেমন, ছাত্রশক্তি সংগঠন থেকে আসা নাহিদ এখন নেতা হলেও তার গুরু আক্তার হোসেন তার সচিব হয়ে গেছেন। অর্থাৎ, এখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব গঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে, নাগরিক কমিটির নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ক্রমান্বয়ে নেতৃত্বের পেছনে চলে গেছেন, কিন্তু এতে কোনো বিদ্রোহ বা ভাঙন হয়নি।”

তবে মাসুদ কামাল মনে করেন, নতুন দলটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর। তিনি বলেন, “এখনও দলটি শীর্ষ পর্যায়ের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব পায়নি। তাই তাদের উচিত উপদেষ্টা মণ্ডলী গঠন করা, যেখানে অভিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতাদের জায়গা দেওয়া হবে।”

তরুণ নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “এদের মধ্যে প্রবল সম্ভাবনা আছে, তবে সব খারাপ নয়, আবার সব ভালোও নয়। তাদের উচিত হবে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে।”

এখন দেখার বিষয়, নতুন এই রাজনৈতিক দল কতটা সংগঠিত হতে পারে এবং তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=pICu21uioK4