নেতাকর্মীদের জন্য নতুন যে নির্দেশনা দিলো বিএনপি

নেতাকর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায় এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত কোনো স্তরেরই কমিটিতে অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে যোগদান করানো যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন কৌশলে বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে পদ বাগিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে জিয়া সাইবার ফোর্স নামে একটি সংগঠন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকে পদ দিয়ে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে প্রতারণামূলক। এভাবে স্বৈরাচারের দোসররা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে দলের সব পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

এতে বলা হয়, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুঁইফোড় সংগঠন বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এরা বিএনপির কেউ নয় মর্মে ইতোপূর্বে দলের সিদ্ধান্ত জানানোর পরেও প্রতারক চক্রের লোকরা উল্লিখিত নেতাদের ও দলের নাম ব্যবহার করে ভুয়া সংগঠন খুলে বসেছে। আমরা পুনরায় বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওই ভুয়া সংগঠনগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি দলের এই নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

চাঁদাবাজের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে ,চাঁদাবাজি পরিবর্তন হয়নি: ফয়জুল করিম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন ‘পাঁচ আগষ্টে ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর ভেবেছিলাম দেশে অত্যাচার, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, মিথ্যা মামলা, ডাকাতি থাকবেনা।

কিন্তু কি দেখলাম? চাঁদাবাজের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে, দলের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি আদর্শ পরিবর্তন হয়নি। তাই নেতা নয় নীতির পরিবর্তন চাই।’

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে নরসিংদীর রায়পুরায় ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে আয়োজিত গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে এখনও ব্যাপক ডাকাতি, চাঁদাবাজি হচ্ছে। চোর ডাকাতে গোটা দেশটা ভরে গেছে। এরজন্য জীবন দেয়নি মানুষ। এর জন্য আন্দোলন করেনি, সংগ্রাম করেনি মানুষ।

আদর্শবান নীতিবান মানুষ ক্ষমতায় না আসলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাজেদুল্লাহ সায়েম এর সঞ্চালনায় গনসমাবেশে প্রধান বক্তা

হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী ৫ (রায়পুরা) আসন থেকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী কলরব শিল্পী গোষ্ঠীর নির্বাহী পরিচালক হাফেজ মাওলানা বদরুজ্জামান, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিন মেহের উদ্দীন, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আশরাফ হোসেন ভ‚ইয়া, জেলা সেক্রেটারি ম‚সা বিন কাসিম সহ দলটির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশকে ভারতের গোলাম করে রাখার সেই চুক্তিতে কি ছিল?

১৯৭১ সালের অক্টোবর ভারতের একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পক্ষে অস্থায়ী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ৭ দফা এক গোপনীয় চুক্তি সই করেন। জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি এ চুক্তি। মুজিবনগর সরকারের অনেকেই জানতেন না এ চুক্তির বিষয়। গোপন চুক্তির ৭ দফা হলো।

১. মুক্তিযুদ্ধ করেনি এমন কর্মকর্তাদেরকে চাকুরী থেকে অবসর দেয়া হবে। অভিজ্ঞ কর্মচারীর শূন্যতা পূরণ করবে ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। লক্ষ করে দেখবেন, স্বাধীনতার পর বেশ কিছু সিভিল সার্ভিস অফিসার ঢাকায় ও বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন।

২. বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না।

৩. অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা রার জন্য একটি প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী থাকবে, যা পরে রক্ষী বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়েছিল। প্রশিক্ষণে ছিলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাগণ।৪. ভারতের সেনাবাহিনী থাকবে বাংলাদেশে। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ হবে। ৭২ সনের নভেম্বর থেকে এর কাজ শুরু হবে।

৫. বাণিজ্যিক সমঝোতা ছিল খোলা বাজার প্রতিষ্ঠা করা। সীমান্তের তিন মাইল জুড়ে চালু হবে খোলা বাজার। কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। শুধু বছর শেষে হিসাব নিকাশ হবে। প্রাপ্য মেটানো হবে পাউন্ড, ষ্টার্লিং এর মাধ্যমে।

৬. বিদেশ বিষয়ে ভারত যা বলবে, তাই মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, সাউথ ব্লকের এনেক্স হবে সেগুন বাগিচা। এক কথায় বলা চলে উল্লেখিত চুক্তি বলে ভারত বাংলাদেশের সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ের কর্তৃত্ব পেয়ে যায়।

৭. পাকিস্তানের সাথে চুড়ান্ত লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক সহপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পাবেন না। এ কারণেই জেনারেল ওসমানী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের দর্শকের ভূমিকা পালন করতে রাজী হননি।

মেজর ডালিম কি দেশে ফিরছেন?

শরিফুল হক ডালিম। যিনি মেজর ডালিম নামেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৫০ বছর আড়ালে থাকা মেজর ডালিম অবশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের লাইভে আসেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ‘লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীরবিক্রম)’ শিরোনামে প্রবাসে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে লাইভে যুক্ত হন সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা।

শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত থাকার কারণে দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন মেজর ডালিম। এই সাক্ষাৎকারের পর বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনায় এই মেজর ডালিম ইস্যু। অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন, মেজর ডালিম কি দেশে ফিরছেন?

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ইউটিউবে এক ভিডিওতে প্রবাসী লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য মেজর ডালিমের দেশে ফেরার বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে সুইডেনের বড় ভাই যিনি মেজর ডালিমের শিষ্য, তিনি বলেন মেজর ডালিমকে তো দেশে আনা দরকার।’

পিনাকী বলেন, ‘উনি (মেজর ডালিম) অবশ্যই দেশে আসবেন। আমাদের দেশে নতুন সংবিধান লিখলে ১৫ আগস্টকে বিপ্লবী অভ্যুত্থানের মর্যাদা দেব। আগের রায়, বিচার… সবকিছু ইনভ্যালিড হয়ে যাবে। তিনি তখনই বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। ২৪ এর বিপ্লব যারা রচনা করেছে তাদের অনেকের আইডল ছিলেন মেজর ডালিম। অন্তত আমার তো ছিলেনই। উনার নাম আমরা আকাশে তুলে রাখবো ঈশা খান, তিতুমীর, হাজী শরিয়তউল্লার কাছে।’

পিনাকী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যতবার জালিম আসবে ততবার মেজর ডালিমেরা জন্মাবে। কখনো তাদের নাম হবে আবু সাঈদ, কখনো তাদের নাম হবে মীর মুগ্ধ, কখনো তাদের নাম হবে ওয়াসিম। আমরা একেকটা তারার নাম দেব এই বীরদের নামে। ২৪ এর বিপ্লব একটা প্রকৃত বিপ্লব হয়ে উঠবে, যদি আমরা নতুন সংবিধান লিখে মেজর ডালিমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। সেইদিন হবে বিপ্লবের প্রকৃত বিজয়।’

কলকাতা বিমানবন্দরে ২২০ বাংলাদেশি আটকা

কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ জন বাংলাদেশি। তারা সবাই মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা ফিরছিলেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা আসার পথে মালোন্দ এয়ারে (ফ্লাইট নম্বর ওডি-১৬২) একটি বিমান ঘন-কুয়াশার কারণে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।

যাত্রীদের অভিযোগ, ১৫ ঘণ্টা পার হলেও কলকাতা থেকে বাংলাদেশে তাদের ফেরানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও তাদের পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এছাড়া কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এখনো পর্যন্ত তাদের ফেরত যাওয়ার সময় সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি রাত ৩টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন-কুয়াশার কারণে ২২০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ করে। এরপর থেকে যাত্রীরা ট্রানজিট পয়েন্টেই আছেন। প্রত্যেক যাত্রীকে খাদ্য পানি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, বিমানবন্দরে কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ যাত্রী রয়েছেন। বিমানে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিমান সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলো তাদের ভারতীয় আঞ্চলিক অফিস কিংবা কুয়ালালামপুরের সদরদপ্তরেও তারা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি।

আসিফ নজরুলকে শেখ হাসিনার বিষয়ে যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লন্ডন যাচ্ছেন। তার সুস্থতা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

সোমবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ফেসবুক পোস্টটি দেন আসিফ নজরুল। পোস্টে তিনি লেখেন, বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন লন্ডনে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আবার যেনো ভূমিকা রাখতে পারেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মাণে।

চিকিৎসার জন্য নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেরকম একটা সময়ে আমি উনার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে যাই। একান্তে কথা হয় কিছুক্ষণ উনার বাসভবনে। বেগম জিয়া গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং অন্তবর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করেন। জানান সবসময় তিনি খবর রাখেন দেশের।

আমি উনার স্বাস্থ্যর কথা, হাসিনা শাসনামলের দুঃসহ সময়ের কথা জানতে চাই। লক্ষ্য করি তিনি একবারো শেখ হাসিনার নাম নিচ্ছেন না। অবশেষে সরাসরি জানতে চাই: এতো সাফার করলেন আপনি,

শেখ হাসিনার উপর রাগ লাগে না আপনার? তিনি একটু নিরব থাকেন। তারপর ম্লানকণ্ঠে বলেন, রাগ করে কি করবো বলেন! আল্লাহর কাছে বলি। আমি অবাকই হই। পনেরটা বছর শেখ হাসিনা কি জঘন্য ও অশ্লীল মিথ্যেচার আর নির্মম নির্যাতন করেছেন বেগম জিয়ার প্রতি (এবং একইসঙ্গে উনার দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে)!

অথচ একটা খারাপ শব্দও তিনি উচ্চারণ করলেন না শেখ হাসিনাকে নিয়ে। আগামীকাল বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন লন্ডনে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আবার যেনো ভূমিকা রাখতে পারেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মানে।

ইলিয়াসের টকশোতে ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে যা বললেন মেজর ডালিম বীর বিক্রম

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে কথা বলেছেন দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুনে জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত নয়টার দিকে ইলিয়াসের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। বাংলাদেশে লাইভ টকশোর ইতিহাসে সকল রেকর্ড ভেঙে এক সাথে প্রায় সাত লাখ দর্শক টকশোটি উপভোগ করেন।

টকশোতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরেন বিদেশে নির্বাসিত আলোচিত এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা।

টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম বলেন, দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতাকে, যারা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের লাল শুভেচ্ছা জানাই। বিপ্লব একটি সমাজ যেকোনো রাষ্ট্রে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই অর্থে তাদের বিজয় এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা গল্প তুলে ধরেন তিনি।

৭৫’ এর ১৫ই আগস্টে ঠিক কি হয়েছিল জানতে চাইলে মেজর ডালিম বলেন, খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। নিজের ঢোল নিজে বাজানো যায় না। প্রথম কথা, ১৫ই আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটার সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা কাদের ইন্টারেস্টে হচ্ছে? এটা কি আমাদের ইন্টারেস্টের জন্য হচ্ছে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করবো। নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করবো।

এই বীর বিক্রম বলেন, যখন সাত দফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব।

‘শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যাননি’

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যাননি। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে ইতিহাসের নায়ক করতে গিয়ে অনেক জাতীয় নেতার অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেছে।’

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এফডিসিতে ‘জুলাই হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয়ের চেয়ে সামাজিক পরাজয় বেশি হয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘শেখ মুজিবের সঙ্গে ইয়াহিয়া খানের টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল। তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ, ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমিরুল

ইসলাম বারবার বললেও তিনি বাসা ছেড়ে কোথাও যেতে সম্মত হননি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ হয়েছে। সে সময় প্রতিদিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনেক ক্ষুধার্ত মানুষকে মারা যেতে দেখা গেছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজন সংস্থা ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন

অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

হাসিনাকে ফেরাতে ঢাকার অনুরোধ পেয়েছে নয়াদিল্লি, নিশ্চিত করে যা বললো ভারত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেয়েছে ভারত। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে দেশটির

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ পেয়েছি। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।’

নোবেল বিজয়ী প্রোফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠানোর পর আজ ভারত এ প্রতিক্রিয়া জানালো।

এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি বলছে, ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। নিজের দীর্ঘ শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগসহ প্রাণহানির একাধিক মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বাংলাদেশে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু বিচারের নিয়েও কথা বলেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, বাংলাদেশে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সুষ্ঠু বিচার হোক এবং এটাই আমাদের আবেদন।

সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার অঙ্গীকার: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তিনি জানান, “সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের মেয়াদকালে আমি রাজনীতিতে নাক গলাব না। আমি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না।”

অতীতে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে খারাপ ফল এসেছে, তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতির বিকল্প রাজনীতিবিদরাই, সেনাবাহিনী নয়।”

তিনি বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করছি এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত।” সেনাবাহিনী বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে কাজ করছে, এবং প্রয়োজনে সেনানিবাসে ফিরে যাবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর মাঠে উপস্থিতির বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার বলেন, সেনাসদস্যদের দীর্ঘদিন মাঠে থাকার ফলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের ঝুঁকি থাকে, তবে তিনি নিশ্চিত করেন যে, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে আশাবাদী এবং বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব রয়েছে।

নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশবাসী সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন চায়।” ভারত সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন, “ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।

আমরা তাদের থেকে অনেক সুবিধা পাই এবং তারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য কেনে। তবে সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে বজায় রাখতে হবে, যাতে জনগণ মনে না করে যে, ভারত বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করছে।”