ভারতের সেই অবস্থান এবার দখল করে নিল ‘বাংলাদেশ’

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল দলে সবচেয়ে দামি তকমা এতদিন ধরে ছিল ভারতের। তবে এবার বাংলাদেশ সেই অবস্থান দখল করেছে। এর মূল কারণ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরীর জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, হামজার উপস্থিতি বাংলাদেশের ফুটবল বাজারমূল্যকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

অনলাইনে লাইভ খেলা দেখুনঅনলাইনে লাইভ ফুটবল দেখুন দীর্ঘ চেষ্টার পর লেস্টার সিটির খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী ফিফার অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। মার্চ মাসে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দামি ফুটবল দল হিসেবে স্থান করে দিয়েছে,

যা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ট্রান্সফারমার্কেটের মতে, বাংলাদেশের জাতীয় দলের পুরো খেলোয়াড়দের সম্মিলিত বাজারমূল্য ৩.০৫ মিলিয়ন ডলার। আর এককভাবে হামজা চৌধুরীর বর্তমান বাজারমূল্য ৪.৫০ মিলিয়ন ডলার। ফলে তার যোগদানের পর বাংলাদেশের সামগ্রিক বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭.৫৫ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ভারতের ফুটবলারদের সম্মিলিত বাজারমূল্য ৫.৮৬ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের বাজারমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ইসা ফয়সাল ও রাকিব হোসেন, যাদের প্রত্যেকের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। এরপর সোহেল রানার মূল্য দুই লাখ টাকা, রহমত মিয়া, আনিসুর রহমান জিকো এবং

মোহাম্মদ হৃদয়ের মূল্য ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। শেখ মোরসালিনের বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট বাজারমূল্যের বিচারে বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ায় ১৯তম অবস্থানে। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে জাপান, যাদের ফুটবল দলের বাজারমূল্য ২৮৭ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাদের বাজারমূল্য ১৫৯.১৫ মিলিয়ন ডলার।

বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি, বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’। এই গণজমায়েত থেকে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে না। তবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ তৈরির যে উদ্যোগ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে সেটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঘোষণাপত্রটি কেমন হবে তা জানাবে সংগঠনটি। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান রক্ত দিয়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আতিক গাজীর হাতের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমার ভাইদের চোখের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। এই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমার হাজারো ভাইয়ের শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান। আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছি। আমরা রাষ্ট্রকে বলেছি, আমাদের যেন এ ব্যাপারে সমর্থন দেওয়া হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বলেছি, এই ব্যাপারে যেন আমাদের সমর্থন জানায় এবং এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। কারণ ঘোষণাপত্র ঐতিহাসিক দলিল। এই ঐতিহাসিক দলিলকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

এই ঐতিহাসিক দলিলের মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক দলিল যাতে আমরা উপস্থাপন করতে না পারি, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের বাধার সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি। সরকার আমাদের এই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বলেছে। সরকার এই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা অবশ্যই শহীদ মিনারে একত্রিত হবো।

আমার পূর্ববর্তী যে কর্মসূচি দিয়েছি, সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা বিপ্লবীরা সেখানে একত্রিত হবো। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র আসবে, কিন্তু তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। আমাদের আহত থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং ঢাকা শহরের মা-বোনেরা যেভাবে গত ৫ আগস্ট রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেভাবে আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে শহীদ মিনারে অবস্থান নেবে। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সারা ঢাকা শহরের মানুষকে বলবো, এই ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরকার একটি পেরেক মেরে দিয়েছে। তারা আমাদের ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করেছে।

তারা বলেছে, সরকারের জায়গা থেকে তারা ঘোষণাপত্র দেবে। কিন্তু আমরা আগামীকালকে সারা দেশের মানুষকে রাজপথে নেমে এসে এই ঘোষণাপত্রের পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করতে বলবো। ৫ আগস্ট ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়ি ঘর থেকে মানুষ নেমে এসে, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে শপথ নিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। আগামীকাল সেই গণঅভ্যুত্থানে অংশীদারের জায়গা থেকে ঢাকা শহরের প্রতিটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে আমাদের সমর্থন জানাবে।

আমরা আগামীকাল ৫ আগস্টের মতো একটি গণজোয়ার দেখতে পাবো। সরকার ঘোষণাপত্রের পক্ষে যে অবস্থান নিয়েছে সেই অবস্থানকে সমর্থন জানাবো। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করে ঘোষণাপত্রের পথ বন্ধ করে দিতে না পারে। আব্দুল হান্নান মাসুদ আরও বলেন, আমাদের একাত্তরের ঘোষণাপত্র আছে, চব্বিশের ঘোষণাপত্রও হবে। সেটা সরকারের পক্ষ থেকে হবে এবং মানুষ আগামীকালই সেটার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে দেবে। আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঘোষণাপত্রের পক্ষে একটি মিছিল করবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের পক্ষে এদেশের মানুষ অবস্থান নেবে এবং এই ঘোষণাপত্র কিভাবে হবে সেটা আমরা মঙ্গলবার সেখানে (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) বলে দেবো। পরে আরেক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল জানান, বিকেল ৩টায় তারা শহীদ মিনারে জড়ো হবেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে।

এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। তার আগে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই দিন বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করে এ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা জানান তারা।

বাংলাদেশে হিন্দু রক্ষায় ভারতীয় সেনা পাঠানোর দাবি

ভারতের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিল্লির জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। রাষ্ট্রবাদী সনাতনী হিন্দু সংগঠনের সভাপতি অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়েছিল, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাঠানো উচিত।

এছাড়া, সংগঠনটি আরও দাবি করে যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন ও অত্যাচারের মাত্রা বর্তমানে অত্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং দেশটির পুলিশ ও প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ভারতকে “সামরিক পদক্ষেপ” গ্রহণ করাই একমাত্র সমাধান হতে পারে।

এর আগে, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন একই দাবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিকে পদযাত্রা করেছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে দিল্লি পুলিশ তাদের দূতাবাস ভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি।

এই ধরনের বিতর্কিত দাবি এবং ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর ওপর ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

হঠাৎ মধ্যরাতে ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

হঠাৎ করে মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি মিটিংয়ের পর

সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু দিনের মধ্যে

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। জবির অস্থিতিশীল অবস্থায় ছাত্রঅধিকার পরিষদের ৪ দাবি জবির অস্থিতিশীল অবস্থায় ছাত্রঅধিকার পরিষদের ৪ দাবি

প্রেস সচিবের এই ঘোষণার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি মিটিংয়ে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ওয়াজ মাহফিলে নিলামে উঠলো ১ কমলা, বিক্রি হলো ২ লাখ টাকায়!

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের গোঘারকুল ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে নিলামে এ কমলাটি বিক্রি হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন উপজেলার পৌর এলাকার গোঘারকুল ইসলামিয়া মতিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।

এই মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ভারত থেকে আগত ভারতের আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আছজাদ আল মাদানি (র.)। এদিকে মাহফিল চলাকালে

এক প্রবাসী আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আছজাদ আল মাদানীকে (র.) খাওয়ার জন্য কমলা দান করেন। এসময় তিনি ঐ কমলাটি ওয়াজ মাহফিলে নিলাম করেন।

কমলাটি নিয়ে নিলামের ডাক দিলে তখন ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত থাকা আমেরিকার নিউইয়র্কের জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা হাফিজ ইয়ামিন ২ লাখ টাকা দিয়ে কমলাটি কিনে নেন।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে স্কুল বন্ধ থাকবে ৭৬ দিন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মিরাজুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশিত তালিকায় থাকা দীর্ঘ ছুটির মধ্যে ২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজানের ছুটি শুরু হবে। ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে সেসময় টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ ছুটির পর ৮ এপ্রিল পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।

 

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও টানা ১৪ দিন স্কুল ছুটি থাকবে। এ ছুটি শুরু হবে ৩ জুন, চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। দুর্গাপূজায় এবার ৭ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে।

প্রতিবছরের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজন মনে করবেন তখন এ ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।

আগামীকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন পরিকল্পনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের!

কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ জানিয়েছেন,জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘিরে ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েত করার পরিকল্পনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।

এতে নিরাপত্তা ঘিরে থাকবে অন্তত ৫০০ পুলিশ সদস্য। সোমবার বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে

বৈঠক শেষে এসব কথা জানান কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ।

আগামী বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে । এসময় তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে অবসান হবে বস্তা পঁচা রাজনীতির। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সকল রাজনৈতিক দল নতুন এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশাবাদ তাদের।

মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, ‘জয় বাংলা’

খুলনা ও কমলাপুর রেলস্টেশনের পর এবার ফেনী বড় জামে মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আওয়ামী লীগ ফিরবে, জয় বাংলা’। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর হঠাৎ ফেনী বড় জামে মসজিদের সামনে লাগানো

এলইডি স্ক্রিনে লেখাটি দেখে হতবাক হন মুসল্লি ও পথচারীরা। বিকেল ৩টার পর এলইডি স্ক্রিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের অপারেটর জমির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এবার মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আওয়ামী লীগ ফিরবে, জয় বাংলা’ বড় জামে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি আবুল হোসেন জানান, মসজিদটি সংস্কারের পর থেকে এলইডি স্ক্রিনে নামাজের সময়সূচি ভেসে থাকে।

আজ জোহরের নামাজের পর মুসল্লিরা বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই মসজিদের দেওয়ালের সঙ্গে লাগানো বড় স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ ফিরবে; জয় বাংলা’ লেখাটি ভেসে ওঠে। বিষয়টি জানার পর মসজিদের সামনে অনেকে ভিড় করেন।

মাহমুদুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মসজিদের কমিটি এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। আগের স্বৈরাচার কমিটির অনেকেই পলাতক। আবার কেউ কেউ গণহত্যা মামলার আসামি। আগের কমিটির কিছু সদস্য

খোলস পাল্টিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে একাকার হয়ে রয়েছেন। তাদেরই কেউ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গন্ডগোল লাগাতে এ ধরনের কাজটি করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাদের জন্য মসজিদের অপারেটর জমির হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।

এবার মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আওয়ামী লীগ ফিরবে, জয় বাংলা’ এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে মূল ফটকের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ বলে একটি লেখা ভেসে ওঠে।

এর আগে ২৪ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বহির্গমন পথের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা প্রদর্শন হয়। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তা প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়।

পুলিশের মধ্যে যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পুলিশের মধ্যে যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, পুলিশের যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তাদের ’২৪ এর অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেই কাজ করতে হবে। সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় ঢাকাসহ সব বিভাগের কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে অংশ নেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনই আসল সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার সবার অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার রোমাঞ্চকর টেস্ট জয়, ভারতের তোপে বাংলাদেশি আম্পায়ার ‘সৈকত’

তখনো ২০ ওভারের মতো খেলা বাকি। টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট। ভারতের লক্ষ্যটা অবশ্য অনেকটা নাগালের বাইরে। ম্যাচ জিততে তখনো করতে হতো আরও ২০০ রান। জয়ের হিসাবটা বাদ দিলে বলা চলে ড্রয়ের জন্যই তখন খেলছিল সফরকারীরা।

সেই ড্র তারা করতে পারবে কি না, সেটিও অনেকটা নির্ভর করছিল ওপেনার জয়সওয়ালের ওপর। বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন তারকা এই ওপেনার। টিকে ছিলেন ব্যক্তিগত ৮৪ রান নিয়ে।

ম্যাচের এমন মুহূর্তে উইকেটের পেছনে বিতর্কিত ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন জয়সওয়াল। ভারতীয় ওপেনারের আউটের সঙ্গে জুড়ে গেছে বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের নামও।

জয়সওয়ালের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারতীয় টেলএন্ডার ব্যাটাররা। রোমাঞ্চকর মেলবোর্ন টেস্টে ১৮৪ রানের জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।