চোখের দেখায় ভারতীয় ব্যাটার জয়সওয়ালকে আউট দিলেন ‘সৈকত’, আলোচনার ঝড়

স্নিকোগ্রাফে ধরা পড়েনি বড় কিছু। কিন্তু দিক বদল ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত ভরসা রাখলেন চোখের ওপর। প্রযুক্তির ছোঁয়া ক্রিকেটে এসেছে সিদ্ধান্তকে নির্ভুল করতে। কিন্তু জয়সওয়ালের আউটের বেলায় নিজের চোখকেই বিশ্বাস করেছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল হলো।

আউট হলেন ভারতীয় ব্যাটার। এই আউটের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। টুইটারে বেশ বড় রকমের সমালোচনা চলছে বাংলাদেশি আম্পায়ারকে নিয়ে।

ঘটনার সূত্রপাত প্যাট কামিন্সের ৭১তম ওভারে। টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট। ভারতের ২০০ রান। এমন সময় বাউন্সার বলে ফাইন লেগে খেলতে চেয়েছিলেন জয়সওয়াল। তবে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির কাছে। ক্যাচের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। মাঠের আম্পায়ার দেন আউট দেননি।

কামিন্স রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার কাছে। রিভিউ নেওয়ার রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাট ও গ্লাভস ছুঁয়েছে। শরফুদ্দৌলাও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জানান, তিনি স্পষ্ট করেই দেখতে পেয়েছেন বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি স্নিকোর সাহায্য চান। কিন্তু স্নিকোগ্রাফে পরিবর্তন আসেনি।

তাতে অবশ্য বাংলাদেশি আম্পায়ারের মন গলেনি। ঠিকই দিলেন আউটের সিদ্ধান্ত। মাঠেই আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন জয়সোয়াল। উইকেট ছাড়তে ছাড়তেও কিছু একটা বলেছেন তিনি। ধারাভাষ্যকারদের অবশ্য পাশে পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা। হার্শা ভোগলে ও মার্ক নিকোলাসরা এটাকে সাহসী ও ন্যায্য সিদ্ধান্তই বলেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনে আউটের সিদ্ধান্তের পক্ষেই মত দিয়েছেন অভিজ্ঞ আম্পায়ার সাইমন টোফেল।

৩ দাবির ঘোষণা হাসনাত আব্দুল্লাহর

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দেওয়াসহ তিনটি দাবির কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে

এ দাবি জানান। তার দাবিগুলো হলো আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দিতে হবে। আওয়ামী রাজনীতির প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে দিতে হবে।

ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসান ঘটাতে হবে। স্বাধীন, সার্বভৌম, আত্মনির্ভর মর্যাদার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে একটা সাম্য ও ইনসাফের সমাজ গড়তে হবে।

এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর নাৎসি বাহিনীর সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা ও মুজিববাদী ৭২-এর সংবিধানকে কবর দেওয়া হবে।

ইসলামী ব্যাংক দখল নয়, বরং তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে: ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এক

পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৫ আগস্টের পর নতুন ডাকাতরা ব্যাংক দখল করতে চেয়েছিল,

তবে তারা পালিয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।জামায়াত আমির বলেন, ক্ষমতায় গেলে কারও ওপর জোর করে পর্দা প্রথা চাপিয়ে দেবে না জামায়াতে ইসলামী।

এমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে যেখানে নারীরা আপন ইচ্ছায় পর্দা করবে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে।

সর্বক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না। জামায়াতের আমির বলেন, দেশকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

এজন্য সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়া দেশকে আবার সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। কৃষকরা ফসল ফলাবে দেশকে সহযোগিতা করতে

এবং দেশের মান উন্নত করতে। কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেওয়া হবে না। কাউকে জুলুমের মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হবে না। শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান্তরাল সমৃদ্ধ করে জাতিকে সাজানো বাগানের মতো দেশ উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।

শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করে দেশে না রেখে সব কিছু পাচার করে দিয়েছে। খোকলা করে ফেলেছে দেশের অর্থনীতিকে। বিকিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব। অথচ চোরের মায়ের ডাঙর গলার মত করে তারা

স্বাধীনতার ঠিকাদার সেজে চেতনার নামে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে সব লুটে পুটে নিজেদেরকে পুষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের চেতনাবাজি নতুন প্রজন্মের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের শুধু পতনই ঘটায়নি, দেশ থেকেই বিতাড়িত করেছে।

এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাঁচ আগস্টের পর ইসলামী ব্যাংকগুলো একটি রাজনৈতিক দল দখল করে নিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, উপদেষ্টাদের প্রায় অনেকেই সবক দেন, দু-একটি দলও সবক দেয় যে, চাঁদাবাজ বিদায় হয়েছে, আর কোনো চাঁদাবাজ আমরা দেখতে চাই না। চাঁদাবাজ না আসুক, এসব কাদের উদ্দেশ্য করে বলছেন?

রিজভী বলেন, আমরা তো প্রথমেই দেখলাম ৫ আগস্টের পরদিনই ইসলামী ব্যাংক দখল করেছে, এটি কি জনগণ দেখেনি? এটা তো দেখেছে জনগণ। আজকে বড় বড় কথা বলেন। কলঙ্ক লেপন করার চেষ্টা করেন বিএনপির নামে।

জেলায় জেলায় টার্মিনাল দখল, সিএনজি স্ট্যান্ড দখল, টেন্ডার ভাগাভাগির মধ্যে কি আপনাদের লোকরা জড়িত নয়? জামায়াতের নাম না নিয়ে রিজভী আরও বলেন,

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ৭১ এর অর্জন কী? আপনারা ৭১ এর বিরোধিতা করেছেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন, এই গৌরব বিএনপির। ৭১, ৯০ এর গৌরব বিএনপির।

সারদায় আরও ৮ এসআইকে শোকজ

রাজশাহীর চারঘাটের সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত পুলিশের ৮ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাঠে নির্দেশনা না মেনে তারা ‘উচ্চ স্বরে হইচই’ করেছেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আটজনের হাতে শোকজের চিঠি দেয়া হয়। তাদের আগামী তিন দিবসের মধ্যে শোকজের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার পক্ষে নোটিশে স্বাক্ষর করেন একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) মো. তানভীর সালেহীন ইমন। এ ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেননি।

সারদায় প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তলব পাওয়া পরিদর্শকরা শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শোকজ পাওয়া উপপরিদর্শকেরা বলছেন, ১২ মাসের জায়গায় তাঁরা ১৪ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এ সময়ে তাঁদের সঙ্গে এসব অন্যায় করা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী চলতি বছরের ৪ নভেম্বর তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ করে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল।

শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২৭ ডিসেম্বর বৈকালিক কার্যক্রমে নিয়মিত সাপ্তাহিক গেইম প্যারেড ছিল। গেইম প্যারেড শুরুর পূর্বে কোম্পানিভিত্তিক প্রশিক্ষণার্থীদের ফল-ইন করানোর জন্য কোম্পানির সিএএসআই থাকেন। ফল-ইনের সময় অ্যালাইনমেন্টে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক কোম্পানির কমান্ডার ও আরআই উপস্থিত হন।

প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে মাইকে বলা হয়, আজকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্যারেড মাঠ পরিদর্শনে আসবেন। মাইকে সকল কোম্পানির প্রশিক্ষণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে গেইম প্যারেড করার জন্য বলা হয়। এই নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি উচ্চ স্বরে হইচই করতে থাকেন এবং আপনার উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্যান্য ক্যাডেট উত্তেজিত হয়ে হইচই করেন। আরআই আপনাকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশনা দেন এবং ঘটনার

বিষয়টি এএসপি (পিটি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ফিল্ড) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার জন্য জানান। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এএসপি (পিটি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফিল্ড) প্যারেড মাঠে আসেন এবং আপনাকে শান্ত থেকে সুশৃঙ্খলভাবে প্যারেড অনুশীলন করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন।

গেইম প্যারেড চালু হওয়ার সময় আপনার উসকানিতে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে দৌড়ে না গিয়ে হেঁটে হেঁটে চলতে থাকে এবং শান্ত না হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মাঠে আপনার এই ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির নিয়মশৃঙ্খলার পরিপন্থী মর্মে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সিএএসআই একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি)

বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং তাঁর লিখিত প্রতিবেদনে সারদার সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্লাটুন কমান্ডার, কোম্পানি তদারকি অফিসার, আরআই, এএসপি (পিটি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফিল্ড), পুলিশ সুপার (ফিল্ড) ও অতিরিক্ত ডিআইজি (বেসিক ট্রেনিং) স্বাক্ষর করেন। আপনার শৃঙ্খলাভঙ্গ–সংক্রান্ত বিষয়টি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারদার ভাইস প্রিন্সিপাল (ট্রেনিং

উইং) অগ্রগামী করেন।’ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার এহেন কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে ১৯৪৩ সনের পিআরবি বিধি 741-iii উপবিধি b (iii) মোতাবেক আপনাকে কেন চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হবে না, তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা এ কৈফিয়ত তলবনামাপ্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন এসআই ছিলেন। তাঁরা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে সারদায় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে শোকজ করে একাডেমি। ইতিমধ্যে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন এবং সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার চতুর্থ ধাপে প্রায় একই ধরনের অভিযোগে আরও আটজনকে শোকজ করা হলো।

জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের বিষয়ে আসলো জরুরি নির্দেশনা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্মৃতি বিজড়িত দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এই অনুযায়ী, দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো কোনোভাবেই মুছে ফেলা বা এর কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোনো কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এই দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো নষ্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৬ দিন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গ্রাফিতি অঙ্কন ও দেয়াল লিখন করা হয়।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গণহ’ত্যার নিদর্শন, আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতি নিদর্শন স্বরূপ দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংরক্ষণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

রোমাঞ্চকর টেস্ট জয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ‘দ. আফ্রিকা’

সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার পাশপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। আব্বাস আফ্রিদির নাটকীয় স্পেলের পরেও নিজেদের স্বাভাবসুলভ ‘চোকার্স’ তকমা থেকে অনেকটা পরীক্ষিতভাবে পার পেয়েছে স্বাগতিকরা।

টেস্ট জিততে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ছিলো মাত্র ১৪৮ রান। ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ঘরের মাঠে খুব একটা বড় টার্গেট না নিশ্চিতভাবেই বলা চলে।

কিন্তু পাকিস্তান সেই মামুলি টার্গেটকেই করলো অনেকটা কঠিন। ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে টেম্বা বাভুমার দল। ৩৭ রান করে আউট হন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার এইডেন মার্করাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করে ক্যাচ আউটের ফাঁদে পড়েন বাভুমা।

দলীয় ৯৯ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারালে পরাজয়ের শঙ্কায় পরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তখনই দলের ত্রাতা হয়ে আসেন মার্কো ইয়ানসেন ও রাবাদা।

নবম উইকেটে দুজনের অপরাজিত ৫১ রানের জুটিতে জয় পায় প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের আটকে রাখতে যথেষ্ট হয়নি ১৪৮ রানের এই টার্গেট।

মোহাম্মদ আব্বাস ৬ উইকেট নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালেও রাবাদার ৩১ রানের ইনিংসই দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলে দেয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত অথবা অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছরের ১১ জুন লর্ডসে মাঠে গড়াবে দ্বি-বার্ষিক এই মেগা ইভেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।

নতুন সিদ্ধান্তের ঘোষণা, সড়ক ছাড়ল আন্দোলনকারীরা

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আন্দোলন স্থগিত করে ৩০ হাজার টাকা ভাতা রেখেই স্বাস্থ্যসেবায় ফিরছেন।

তবে আগামী জুলাই মাস থেকে এ ভাতা বৃদ্ধি করে ৩৫ হাজার টাকা করা হবে বলে জানা গেছে। আর এ সিদ্ধান্ত মেনেই চিকিৎসাসেবায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশ্বের ২১তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বাংলাদেশ

লন্ডনভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (CEBR) জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১.৬০ ডলার ট্রিলিয়ন আকারে পরিণত হয়ে বিশ্বের ২১তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।পোশাক খাতের পাশাপাশি ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে সফল বৈচিত্র্যকরণ, অবকাঠামো বিনিয়োগ

এবং ক্রমবর্ধমান জনমিতি সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এই অবস্থানে পৌঁছাবে।

CEBR-এর ১৬তম বার্ষিক বিশ্ব অর্থনৈতিক আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE), সুইডেন এবং বেলজিয়ামের মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে অর্থনীতির আকারে ছাড়িয়ে যাবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৩৪ ডলার বিলিয়ন, যা ১৮৯টি দেশের মধ্যে বিশ্বে ৩৭তম। তবে ২০৩৯ সালের মধ্যে দেশটি ১৬ ধাপ এগিয়ে ২১তম স্থানে পৌঁছাবে।Tourism guides

তবে, এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে একটি বিপরীত চিত্র রয়েছে: ২০৩৯ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৮,০৬১ ডলার হবে, যা ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১২৩তম স্থানে থাকবে।

সুইজারল্যান্ডের মাথাপিছু জিডিপি ১৫৬,৭৭৩ ডলার হবে, যা বাংলাদেশের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি।সংযুক্ত আরব আমিরাত এর মাথাপিছু জিডিপি ১০৫,২০৯ ডলার হবে, যা বাংলাদেশের তুলনায় ১২ গুণ বেশি। সুইডেন এবং বেলজিয়াম যথাক্রমে ১৮তম এবং ২২তম স্থানে থাকবে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মালদ্বীপ ২০৩৯ সালে মাথাপিছু জিডিপিতে শীর্ষে থাকবে, ৩৮,৮৫৯ ডলার নিয়ে বিশ্বে ৫৯তম স্থানে। এর পরে ভুটান (১০৬তম) এবং বাংলাদেশ (১২৩তম)।

মাথাপিছু জিডিপি হিসাবে বাংলাদেশ ভারতকে (১২৪তম) এক ধাপ পেছনে ফেলবে। তবে ভারত ২০৩৯ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। পাকিস্তান (১৬২তম), নেপাল (১৬০তম), এবং শ্রীলঙ্কা (১৩৪তম) এ অঞ্চলের নিচের দিকে থাকবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ২,৫২১ ডলার মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে ২০২৪ সালে ১৪৩তম স্থানে রয়েছে। CEBR জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্ব জিডিপি ১১০ ডলার ট্রিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৩৯ সালে ২২১ ডলার ট্রিলিয়নে পৌঁছাবে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মুকুট ধরে রাখবে। চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পিছিয়ে থাকবে। ভারত, ২০২৫ সালের মধ্যে জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। ২০২৮ সালে দেশটি ৫ ডলার ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং ২০২৯ সালের মধ্যে জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছাবে।

ছোট অর্থনীতিগুলোর মধ্যে তুভালু, নারু, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি এবং পালাউ পরবর্তী ১৫ বছরে তাদের বর্তমান অবস্থানেই থাকবে।

৫ আগস্টের মতো আবারও সবাইকে ৩১ ডিসেম্বর মাঠে নেমে আসার আহ্বান সমন্বয়কদের

আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ঐ দিন ৫ আগস্টের মতো সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বিগত দিনের সিস্টেমগুলোকে বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।

এরইমধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সংশোধনী ও পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে যেসব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিলো সবার কাছেই পরামর্শ নেয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পরপরই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না দেওয়ায় বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নানা সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আস্ফালন দেখাচ্ছে।

যেখান থেকে ১ দফার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকেই ৩১ ডিসেম্বর নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা হবে। তিনি জানান, পরবর্তী বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে।

তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠেছে, সেটাকে ধারণ করে মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করা হবে ৩১ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বিচার নিশ্চিতের ইশতেহারও থাকবে ঘোষণাপত্রে। এ সময় তিনি ৫ আগস্টের মতো ৩১ ডিসেম্বরও সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট বিভিন্ন বাঁধার কারণে যারা রাজধানীতে আসতে পারেন নি তারা সকলেই ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় চলে আসবেন।

সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে জাতীয় শহিদ মিনার থেকে নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হবে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরপর একই ধরনের দুটি পোস্ট দেওয়া হয়।

প্রথম পোস্টে লেখা হয়, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’ পরের পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’। একই ধরনের পোস্ট দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও।

‘মুজিব কোট’ পুড়িয়ে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশ্যে ‘মুজিব কোট’ পুড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম। তিনি জানান, আর কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকবে না।

রেজাউল করিম জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মামুদপুর ইউপি সদস্য।

আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী বাজারে সড়কে প্রকাশ্যে মুজিব কোট পুড়িয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

মুজিব কোট পোড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে রেজাউল করিম বলেন, ‘এই দলকে আমার আর ভালো লাগে না।

এদের চালচলন, কর্মকাণ্ড আর ভালো লাগে না। তাই মুজিব কোট পুড়িয়ে আমি এই দল থেকে পদত্যাগ করলাম।