আপাতত ৩০ হাজারই থাকছে ভাতা, তবে জুলাই মাস থেকে বেড়ে হবে…

স্বাস্থ্যসেবায় ৩০ হাজার টাকা ভাতা রেখেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করা পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে এই ভাতা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হবে। রোববার বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবীসহ আরও অনেকে।

এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল,

ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবসহ আরও অনেকে।

এর আগে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর ঘোষণা করা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন,

যার ফলে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। গত ২২ ডিসেম্বরেও একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন চিকিৎসকরা, তখন সরকার পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল।

‘কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে!’

গভর্নর ড. মুনসুর বলেন, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এখন আর কোনো ব্যাংক পতনের শঙ্কা নেই।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য ব্যাংক খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ঘাটতি ও রিজার্ভের পতনের মতো বড় সংকট ছিল। তবে এই সংকট থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ করেছি। আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করেনি, ফলে রিজার্ভ আর কমেনি।

বরং রিজার্ভ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, ব্যাংক খাতে অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতাও রয়েছে এবং এই ব্যর্থতার দায় কোনো একক গোষ্ঠীর নয়, বরং সবার।ব্যাংকিং খাতের বিকাশের জন্য আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এই খাত ঘুরে দাঁড়ালে দেশের অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে।

গভর্নর ড. মুনসুরের মতে, অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের অব্যবস্থাপনা ও সংকট মোকাবিলা করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। একক কোনো পক্ষ নয়, বরং সবাইকে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।

প্রবাসী ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য ‘সুসংবাদ’ দিলো কাস্টমস

বিদেশগামী ও হজ-ওমরাহ যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে কাস্টমস। তাদের ভোগান্তি কমাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে নতুন সেবা।

‘ফার্স্ট ট্র্যাক সার্ভিস’ নামে এ সেবা অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত শুল্কারোপযোগ্য পণ্য তাৎক্ষণিক শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে খালাস করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দরেই শুল্ক প্রদান করে পণ্য নিতে পারবেন।

শুল্ক পরিশোধে সাময়িক অসুবিধা হলে, যাত্রীরা ২১ দিনের মধ্যে শুল্ক প্রদান করে পণ্য ছাড়িয়ে নিতে পারবেন। আগে, এসব মালামাল আটক হলে কাস্টম হাউসে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা ছাড়ানোর ক্ষেত্রে ঝামেলা পোহাতে হতো।

ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আল আমীন বলেন, এখন যাত্রীরা দালালের খপ্পরে পড়বেন না। দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন। এটি প্রবাসী ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ।

ব্যবসায়ীরাও এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, নতুন নিয়মে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে কসমেটিকস, পারফিউম, বেবিফুড, এবং মোবাইলের মতো পণ্য আমদানি সহজ হবে।

ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোবারা খানম বলেন, আমাদের লক্ষ্য সেবার মান বাড়ানো। এ উদ্যোগে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত হবে। এই উদ্যোগ যাত্রীসেবা এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বড় পরিবর্তন নিয়ে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু

৪৭তম বিসিএসের আবেদন আজ (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।

আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।

গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।

গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়।

শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

হাসিনার লুটপাটের অনুসন্ধান করতেই আমলা-কামলাদের দেশ ছাড়ার হিড়িক

ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমলা,পদস্থ কর্মকর্তা,ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের ভূমিকা ও নাম। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)ও সাবেক পদস্থ কর্মকর্তা যেমন রয়েছেন, তেমনি

রয়েছে ডাকসাইটে আমলাদের নাম। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিমের সংগৃহিত প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের মধ্যেই প্রমাণ মিলছে তাদের সংশ্লিষ্টতা।র এ বিষয়ে টিম গঠনের পর পরই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এ আমলাদের অনেকে দৃশ্যপটের আড়ালে চলে গেছেন। কেউবা চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বাভাবিক অবসরের পূর্ণ সুবিধা নিয়ে দেশ ছাড়ার। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

সূত্রটি জানায়, শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধোঁয়া তুলে একেকটি মেগা প্রকল্প ফাদতেন। প্রকল্পগুলোর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিলো নিজে,পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ট আমলা, ব্যবসায়ী,ঠিকাদার ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় কর্মরত প্রকৌশলীদের অবাধ লুন্ঠনের

উছিলা তৈরি করা হয়। সাধারণ মানুষ এতে আদৌ কোনো উপকৃত হবেন কি না-সেই ভাবনা ছিলো সুদূর পরাহত। প্রকল্পের নামে ফসলি জমি কয়েকগুণ দামে অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগ,গ্যাস,পানি ও স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণে

ব্যয় করতেন হাজার হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কয়েকদফায় বাড়ানো হতো বাস্তবায়ন ব্যয়। তদুপরি প্রকল্প থেকে মানুষ তেমন কোনো উপকৃত হয়নি। কোনো কোনো প্রকল্প পরিবেশ দূষণ, ফসলি জমি বিনষ্ট ,মানুষকে ভিটেমাটি

ছাড়াকরণসহ নানামুখি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা না রাখলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আমলা-কামলা আর ঠিকাদাররা হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিক। তারা বিভিন্ন দেশে গড়ে

তুলেছেন সেকেন্ডহোম। এক সময় হাসিনা সরকারের অবসান হতে পারে-এমন আশঙ্কা তাদের মধ্যে সবসময়ই ছিলো। তাই ধূর্ত আমলা-কামলারা পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই স্যাটেল করেছেন আমেরিকা,কানাডা,বৃটেন,ফ্রান্স,অস্ট্রেলিয়া,সিঙ্গাপুর

কিংবা মালয়েশিয়ায়। ৫ আগস্ট হাসিনা উৎখাত হওয়ার পর এখন হাত পড়েছে তার দুর্নীতিতে। এসব দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত হলে ধরা খানে হাসিনার দুর্নীতির সহযোগী প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে তারা যে যেভাবে পারেন, ছাড়ছেন দেশ।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং দুদকসূত্রগুলো জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার বহুল প্রচারিত ৯টি প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে টিম গঠন করে দুদক। উপ-পরিচালক মো: সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত টিমের অপর সদস্যরা হলেন,

উপ-পরিচালক মো: সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান ও সহকারী পরিচালক একেএম মর্তুজা আলী সাগর। উক্ত টিম ইতিমধ্যেই প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতি সম্পর্কে প্রকাশিত

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে। অনুসন্ধান পর্যায়ে রেকর্ডপত্র চেয়ে গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, বেপজা

অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই ১ম পর্যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ২টি মডার্ণ ফায়ার স্টেশন স্থাপন প্রকল্প, মীরসরাইয়ের ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন,বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিব শিল্প নগর (বিএসএমএসএন) উন্নয়ন প্রকল্প এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। চিঠির মাধ্যমে যাচিত রেকর্ডপত্রের মধ্যে রয়েছে প্রকল্প প্রস্তাব, প্রাক্কলন,অনুমোদিত প্রস্তাব,প্রাক্কলন, বাজেট অনুমোদন, বরাদ্দ, অর্থ ছাড়করণ,

ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণ, এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র এবং প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতি বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে সেই প্রতিবেদন এবং প্রকল্প সময়ে পৃথক সারসংক্ষেপের কপি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এসব রেকর্ডপত্র হাতে পেলেই প্রকল্পের নামে অর্থ অপচয়,লুন্ঠনে কোন্ পর্যায়ে কার কি ভূমিকা সেটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

প্রাথমিকভাবে সংগৃহিত তথ্যে কোন্ কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে কোন্ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করা গেছে। চিহ্নিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ‘মীরসরাই বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’র প্রকল্প পরিচালক (তৎকালিন

যুগ্ম-সচিব) মোহাম্মদ এনামুল হক, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো: মাহবুব হোসেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক,চট্টগ্রামের তৎকালিন বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম,

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র নির্বাহী পরিচালক (সাবেক সিনিয়র সচিব) শেখ ইউসুফ হারুন, বেজা’র সাবেক চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, একই সংস্থার মহাপরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো: মনিরুজ্জামান, পিপিপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এনডিএ’র পরিচালক নির্ঝর এন.আনোয়ার,চট্টগ্রামের সাবেক এমপি মাহবুব উর

রহমান,এসএম আল মামুন,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কবির বিন আনোয়ার, মো: নজিবুর রহমান, হেলালুদ্দীন আহমদ, মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ড. আহমদ কায়কাউস, তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। এ ছাড়া এ ৯ প্রকল্পের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের নানা পর্যায়ে যুক্ত ছিলেন, আব্দুস সোবহান

সিকদারকে ইতালির রাষ্ট্রদূত করে আগেই দেশের বাইরে পাঠান হাসিনা। তবে শেখ মো: ওয়াহিদুজ্জামান, মো: আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ শফিউল আলম,সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্যাহ খন্দকার দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছ্ েমাস দুই আগে ইকবাল মাহমুদকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

এদের মধ্যে কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, হেলালুদ্দীন আহমদ, ড. জাহাঙ্গীর আলম, এবং নজিবুর রহমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর কৌশলে পালিয়েছে গেছেন কবির বিন আনোয়ার। ড. মুহাম্মদ

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালিন সরকার শপথ নেয়ার দিন ৮ আগস্ট বাতিল করা হয় হাসিনার অনুগত এবং বহু দুর্নীতির সাক্ষী তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি এবং শফিউল আলম আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। হাসিনার দুর্নীতির আরেক

দোসর দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ইকবাল মাহমুদ দেশে এলেও ৫ আগস্টের পর দেশত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ ফারুক, শহীদুল্যাহ খন্দকার, শেখ মো: ওয়াহিদ উজ্জামান, এম.আব্দুল আজিজ ও আব্দুস সোবহান সিকদার।

দুদকের অনুসন্ধানাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো: মাহবুব হোসেনকে ২০২১ সালে দুদকের সচিব করে পাঠান শেখ হাসিনা। এক বছরের বেশি দায়িত্ব পালন শেষে তাকে পূর্ণ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে। আজ (রোববার) তিনি পূর্ণ সচিব হিসেবে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ।

মো: মাহবুব হোসেনের পরিবার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনিও যেকোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানাধীন ৮ প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়।

আত্মসাৎকৃত অর্থ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং উপরোক্ত আমলা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হয়। শেষোক্ত রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ৫৯ হাজার কোটি টাকার অধিকাংশই পকেটস্থ হয় শেখ পরিবারের।

এদিকে হাসিনার এই মেগা দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমলা-কামলাদের জরুরিভিত্তিতে গ্রেফতার করার অভিমত ব্যক্ত করেন সংস্থাটির সাবেক আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

তিনি বলেন, অনেক দুর্নীতিবাজ আমলা এবং ব্যবসায়ী নামক দুর্নীতিবাজদের দেশত্যাগ ঠেকিয়ে দিয়েছে দুদক। কিন্তু এতেই আশ্বস্ত হওয়ার কিছু নেই। হাসিনার দুর্নীতির সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য।

ফিরেছে বিভাগ বিভাজন, এসএসসির নম্বর বণ্টন ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতে ফিরেছে বিভাগ বিভাজন। সেই অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মোট ৩২টি বিষয়ের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনে ব্যাবহারিক না থাকা বিষয়গুলোর রচনামূলক অংশে থাকবে ৭০ নম্বর এবং বহুনির্বাচনী অংশে থাকবে ৩০ নম্বর।

ব্যাবহারিকসহ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ৭৫ ও ব্যাবহারিক অংশে ২৫ নম্বর থাকবে। তত্ত্বীয় অংশে ৪০ নম্বর ও বহুনির্বাচনী অংশে থাকবে ২৫ নম্বর। এর আগে আওয়ামী সরকারের শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর পূর্বের প্রণীত ‘নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয়

শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে তখন বলেছিল, বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।

এতে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (পরীক্ষা ২০২৬ সালে) নিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

বর্তমানে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে এনে ২০১২ সালের পাঠ্যসূচির বইগুলো ২০২৫ সালের জন্য ফের ছাপানোর কাজ চলছে এবং সে অনুযায়ী পরিমার্জনা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালে এ বইগুলো থেকেই পাঠ্যক্রম পরিচালনা করা হবে এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ বইগুলো পড়েই এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এই সুযোগ হাতছাড়া হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

কিছু সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে বলে মনে করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি এখন কিছু সংস্কার করতে না পারি, তাহলে আর সম্ভব না। যদি আমরা কিছু সংস্কার না করি তাহলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় হবে।’

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে।’

রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে সংস্কার লাগবে। একটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কিছু উদ্যোগ নিচ্ছেন, কিন্ত তা পর্যাপ্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলো এখনও বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের টাকায় চলে।’

মাশরাফির বিপিএলে খেলা নিয়ে যা জানালেন ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স’

বিপিএলের ১১তম আসর শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টাও হাতে নেই। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সাত দলের অংশগ্রহণে খেলা হবে মোট ৪৬ ম্যাচ। আসরের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্টাইকার্স। ২০১৭ সাল থেকে বিপিএলে খেলছে সিলেট। এখন পর্যন্ত একবারও ফাইনাল খেলতে পারেনি।

২০২৪ সালের আসরে ১০ ম্যাচে সাতটিতেই হেরেছে দলটি। সবচেয়ে আলোচনা হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার ফর্ম নিয়ে। সমালোচনা মুখে পড়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দল থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এবারও মাশরাফি আছেন। স্কোয়াডে থাকলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি খেলবেন না বলেই এখন পর্যন্ত খবর। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের খেলা না খেলা, নতুন অধিনায়ক কে হবেন, স্কোয়াডসহ অন্য বিষয় নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সিলেটের কোচ মাহমুদ ইমন।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘স্থানীয় সবাই ছিল অনুশীলনে। নিলাম থেকে যাদের নিয়েছি তারা সবাই এভেইলেবল ছিল; শুধু মাশরাফি ছাড়া। আমাদের বিদেশি খেলোয়াড় আজকে দুজন ছিল। দুজন ইতোমধ্যে হোটেলে চলে এসেছে। বাকিরা অন দ্য ওয়ে।’

সিলেট এখনো অধিনায়ক নির্বাচিত করেনি। তবে আজকের মধ্যেই দলের নেতৃত্ব খুঁজে নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এ বিষয়ে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘অধিনায়ক আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আমাদের মালিকসহ কোচিং স্টাফদের মিটিং আছে। আজকেই ঘোষণা করবো।’

মাশরাফিকে সিলেট কোচ বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডে এখনও আছে। কারণ, এই দলের ওতপ্রোত অংশ হচ্ছে মাশরাফি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে- ও কী ফিল করছে, ফিটনেসের অবস্থা কী। ও যদি খেলার পর্যায়ে থাকে বা পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই খেলবে।’

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘কথাবার্তা চলছে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ফিটনেসের অবস্থা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ।’

মাশরাফি কতদিন স্কোয়াডে থাকবেন, এমন প্রশ্নে সিলেট অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত। যতক্ষণ পর্যন্ত ও (মাশরাফি) ফিট হবে না খেলার জন্য; আমরা মনে করি ততদিন পর্যন্ত আমরা বিবেচনায় আনবো না ওকে। আমরা ওর জন্য অপেক্ষা করবো। এটা ওর কল। ও যখনই বলবে খেলার জন্য তৈরি আছে। তারপরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।

যখন আর সময় থাকবে না। তখন ওই জায়গায় আমরা অন্য খেলোয়াড় ডাকবো।’

এসএসসির ২০২৬ সালের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ

নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শনিবার বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান,

ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মোট ৩২টি বিষয়ের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা এক বছর নতুন কারিকুলামে পড়েছে। আগামী বছর ২০১২ সালের কারিকুলামে পড়বে। প্রথম বছর বিভাগ বিভাজন না থাকলেও এবার তারা

বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় অন্তভুক্ত হয়েছে। কারিকুলাম বারবার পরিবর্তনের কারণে অনেক অভিভাবক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে গিনিপিগ না বানানোর আহবান জানিয়েছেন। এসব পরীক্ষার্থীদের নতুন বই ছাপার কাজ সেভাবে শুরু না হওয়ায়

ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জনকণ্ঠকে জানান, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নতুন সিলেবাস থেকেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। এরমধ্য থেকেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।

তবে এক বছরে এমন পরিবর্তন তাদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলবে বলেও তিনি মনে করেন। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনে দেখা গেছে, ব্যবহারিক না থাকা বিষয়গুলোতে ৭০ নম্বর রচনামূলক অংশে ও ৩০ নম্বর বহুনির্বাচনি অংশে

থাকবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ৭৫ ও ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর থাকবে। তত্ত্বীয় অংশে ৪০ নম্বর ও বহুনির্বাচনি অংশে ২৫ নম্বর থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের

সময়ে প্রণীত ‘নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তখন এক পরিপত্রে বলেছিল, বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম

চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

(পরীক্ষা ২০২৬ সালে) নিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয়

শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে। বিভাগ-বিভাজন ফিরিয়ে এনে ২০১২ সালের পাঠ্যসূচির বইগুলোই ২০২৫ সালে বিতরণের জন্য পরিমার্জন করে ছাপানোর কাজ চলছে। আগামী বছরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী যারা ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বসবেন, তারা এসব বই পাবেন।

ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু, ১৯ পাক সেনার নিহিত

পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত হয়েছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায়। অন্যদিকে, আফগানিস্তানের তিন বেসামরিক

নাগরিক নিহত হয়েছেন।চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাতে চায়না ডেইলি শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে। চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানের মূলভূখণ্ডে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই দেশের সীমান্তজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে,

পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত ও পাকতিয়া প্রদেশে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষ এখনও চলছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানে একটি সন্ত্রাসী হামলার পর গত মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় চারটি স্থানে বোমা হামলা চালায় পাক বাহিনী। ওই হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন

তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র। হতাহতদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়া এই হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন। আফগান সীমান্ত বাহিনী খোস্ত প্রদেশের আলি শির জেলায় বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক চৌকিতে আগুন দিয়েছে এবং পাকতিয়া প্রদেশের ডান্ড-ই-পাতান জেলায় দুটি পাকিস্তানি পোস্ট দখলে নিয়েছে।

প্রতিরক্ষা সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ডান্ড-ই-পাটান জেলায় পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে আফগানিস্তানের তিন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।