ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল‍্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এ ছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ডিআইজি মোল‍্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।

বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।

আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।

জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত‍্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সমন্বয়কদের শশুর বাড়িরও খোঁজ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা!

সম্প্রতি বিশিষ্ট আলোচক ডা. জায়েদ উর রহমান একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন,তাকে (শেখ হাসিনাকে) তো আমাদের হাতে দেওয়ার কথা ছিল। তার বিচার করব।

হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সে হুমকি দিচ্ছে খুব ফান করে, উনি এত সব ফান করেন ওই গ্রুপের সাথে বসেছে , সমন্বয়দেরতো দেখে নিবেন, ওরা এখন কেউ কেউ বিয়ে করছে, তাদের শ্বশুরবাড়ির খবর নিতে হবে।

খুব অবাক হয়েছি মাসুদ ভাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আশা করছেন শেখ হাসিনা মাফ চাইতে পারেন আকারে ইঙ্গিতে। শেখ হাসিনা ২০১৪ পর রাজনীতি করেছে।তার একটা মাফিয়া বা ক্রিমিনাল গ্যাং পাওয়ারে ছিল। আমি ওনাকে থেকে ফ্যাস্টিট বলি না।ফ্যাসিস্টদের একটা রাজনীতি থাকে। তিনি আউট অ্যান্ড আউট ক্রিমিনাল গ্যাং।

ওনি ওনার বক্তৃতা বলেছেন, যারা এ সব করছে তারা ফ্যাসিস্ট। আমি ফ্যাসিস্ট না । আমি বলছি আপনি ফ্যাসিস্ট না, আপনি আসলে ফ্যাসিস্ট না আপনি মাফিয়া। ওনি ক্ষমতায় থাকতে থাকতে এমন একটা ইল্যুশনে ভোগছেন যে, তিনি মনে করেন তিনি গড এর কাছাকাছি কিছু একটা হয়ে গেছেন।

ওনি যতগুলো স্পিচ দিচ্ছেন আমি কিন্তু খুব আনন্দ নিয়ে আমার এই পুরোটা এই কয়েকদিন আগে আবার একটা সো কলড অনলাইন গ্রুপের সাথে বসে কথা বলেছেন৷ তাঁর আগে যেখানে যেখানে বলেছেন, আমাদের দুর্দান্ত বিনোদন মনে হয়৷ আমি খুব উপভোগ করি৷ আরেকটা কারণ উপভোগ করি,একজন এই বীভৎস স্বৈরাচারকে এবং তার অসহায়ত্ব মানে আমরা উভয়েই খুঁজে পাই।

এটা এক ধরনের আদিম আনন্দ। আমাদের রক্তের মধ্যে কোথাও প্রতিশোধপরায়ণতা আছে। আমি তাঁকে এই পরিস্থিতিতে দেখছি যে মানুষটা আমাদের দেশকে, আমাদের দেশের ইনস্টিটিউটকে সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আজকে তিনি একটা তৃতীয় শ্রেণির কিছু লোকজনের সাথে বসে একটা গ্রুপ করে বসে কনভারসেশন পার্টিসিপেট করে অত্যন্ত নোংরা ধরণের মানুষজন। যাঁদের এই ধরনের পরিচিতি আছে।সো আমি খুব আনন্দ নিয়ে শুনি ।

ভিডিও:https://youtu.be/szNlvNdBL4w?si=FvmYs-W-5HoWblZJ

৩২ নম্বরের ঝুঁকি নিয়ে ওনি যা বলেছেন আগেও বলেছেন, নতুন করে আর কিছু যোগ করেন নাই। ওনার কাছ থেকে কিছু আশা করার কিছু নেই। বরং ওনি নতুন আরেকটা এক সময় যে সব ব্যবহার করতেন এখন নতুন করে আর একটা অজুহাত করেন।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে ফেসবুক পোস্টে যা জানান সারজিস

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিড হান্ট’। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সারজিস আলম কিছুক্ষণ আগে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই অভিযানের বিষয়ে জানান। তবে এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

‘অপারেশন ডেভিড হান্ট’ সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বিবৃতির জন্য।

গোপন আয়নাঘর? ধানমন্ডি ৩২-এ আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ে বাড়ছে ‘রহস্য’

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির নিচে বহুতলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র-জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাটির নিচে একাধিক তলা রহস্যজনকভাবে পানিতে পরিপূর্ণ! ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে ‘আয়নাঘর’ রয়েছে— এমন চাঞ্চল্যকর খবর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

দাবি করা হচ্ছে, সেখানে মানুষের মাথার চুলও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এ বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন, কেউ কেউ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিষয়টি যখন তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করে, তখন ইত্তেফাক ডিজিটাল প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে সত্যতা যাচাই করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে দুইতলা পর্যন্ত কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হয়েছে। ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ডে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।

তিনতলা পর্যন্ত নিচে নামার পর এটি মূলত একটি পার্কিং এরিয়া বলে মনে হয়েছে। তবে এর নিচে আরও একাধিক তলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনতলার নিচের ফ্লোর পানিতে পূর্ণ থাকায় কেউ সেখানে নামার সাহস করেনি।

স্বচ্ছ পানির কারণে নিচে যাওয়ার সিঁড়িগুলো স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, যা ভবনের আরও গভীরে তলার অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও সেখানে মানুষের ভিড় ছিল।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাড়ির নিচে আমরা কয়েকটি কক্ষের সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ পুরো জায়গাটি পানিতে ভরা। এটি খুবই সন্দেহজনক।’ অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘এই বাড়ির নিচতলার পাঁচতলা কাঠামোতে আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে আরেকটি আয়নাঘর তৈরি করেছে।’

ছাত্র-জনতার দাবি, ‘এ গোপন কাঠামো সম্ভবত আয়নাঘর হতে পারে, যেখানে গোপনে নির্যাতন চালাত শেখ হাসিনার বাহিনী। ডিজিএফআই এবং ডিবি, আয়নাঘরের আড়ালে হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ আরেকটি নতুন আয়নাঘর তৈরি করেছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা মতামত দিচ্ছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।

আজকেই হবে গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন- সারজিস আলম

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুর মহানগরীর বাড়িতে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে কমপক্ষে ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে

তিনি লেখেন, ‘গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি…।’ এর আগে শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দক্ষিণখানে

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬-১৭ জনকে আটক করে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে হবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এবার দেশের জন্য যে ‘আহ্বান’ জানিয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহ

দেশের কোন জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতের উপর যেভাবে বছরের পর বছর অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে,

তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়িটি এখন ঘৃণা স্তম্ভে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের নতুন বাংলাদেশ করার আহ্বান জানিয়ে গণঅভ্যুত্থানের এই নেতা বলেন,

দেশ গঠনে প্রশাসনকেও সহযোগী ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে তারাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভকে পুঁজি করে কেউ যেন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে,

সেদিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ এই পরবর্তী ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। আর নির্যাতিত যারা রয়েছে,

এখানে প্রত্যেকটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, আমরা এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতভেদ থাকলেও, আমাদের পলিসি, ডিসকাশন এর মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক ইভেন্টের মধ্য দিয়ে,

আমরা সেগুলোকে সমাধান করব। ভারত বিরোধী আগ্রাসনের আমরা আর কোনভাবে বাংলাদেশে একটা সেফ হাউস হইতে দিব না এবং আওয়ামী ফিকেশনের বাংলাদেশ,

এর কোন ধরনের আর সুযোগ থাকবে না। এই যে আওয়ামী লীগের তীর্থস্থানকে মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে ভেঙে ঘুরিয়ে দিয়েছে, আপনি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কাউকে যে এটাকে আটকানোর জন্য! কাউকে পান নাই।

বরিশাল বিপিএল জেতায় নাহিদ-হাসনাতকে নিয়ে যা বললেন ‘সারজিস’

টানা দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে আজ বরিশাল ৩ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম কিংসকে। বিপিএল জেতায় বরিশাল নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘নাহিদ-হাসনাত আগে থেকেই বরিশালের জালে ‘জামাই’ হিসেবে আটকা!

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটাও গেলো বরিশালের ঘরে! নিজের কথা আর নাই বা বলি! সময় এখন বরিশালের! কি কও মনু?’ তার এই স্ট্যাটাস নিয়ে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন।

তার মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘তু‌মি তো এখন ব‌রিশাইল্লা জামাই। তাই এ বিজ‌য়ের অংশীদার তু‌মিও।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তোমরা বরিশালের ৩ জামাই বরিশালকে জেতানোর জন্য স্বজনপ্রীতি করছো।’ জামিল নামের একজন লিখেছেন, ‘সারজিস ভাইয়ের আইডি ভাবীর দখলে; উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা হতাশ হইয়েন না!’

আরও যে মন্তব্য এসেছে সেগুলো হলো- ‘দুলাভাই, সব দিকে থেকে জিতেছেন’; ‘হাসনাত ভাই বরিশাল সারজিস ভাই বরিশাল, অবশেষে বিপিএল ট্রফিও বরিশাল।’

প্রসঙ্গত, গত রাতে ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে চট্টগ্রাম কিংস। জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে টানা দ্বিতীয় বারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। গেল বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বরিশাল।

ফের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা!

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য রাখাকে কেন্দ্র করে ফের কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। হাসিনার বক্তব্যকে বানোয়াট ও উস্কানিমূলক অভিহিত করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যেন বক্তব্য না দেন,

সেজন্য ঢাকার ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে প্রতিবাদ নোট দেওয়ার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আবারও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে তিনি বক্তব্য দেন।

আর এটিকে কেন্দ্র করে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পবন বাধের কাছে দেওয়া প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তি’ প্রকাশ করেছে।

হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য-বিবৃতিগুলো ঢাকা-দিল্লির মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহায়ক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে। এছাড়া ভারতে থাকাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে হাসিনাকে মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মনোভাব নিয়ে অবিলম্বে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ দ্বারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে ?

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একটি ঐকমত্য তৈরি হয়েছে,

বিশেষ করে দলের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হওয়া যায়, যার ফলে সরকারের জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

আসিফ মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন যে, সরকার নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চারটি আইন আছে। তিনি জানান, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও, জুলাই এবং আগস্টে গণহত্যায় আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং নিষিদ্ধ করার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সরকার প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে তারা এটি বিবেচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো সরকারের প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাদের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সরকার এসব সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছে।

শেখ মুজিবক ও ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে পাকিস্তানের মন্তব্যে যা জানা গেল

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার ব্যাপক গণ আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে তার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ডিফেন্স পাকিস্তান’ নামে ভেরিফায়েড একটি এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্টের স্ক্রিনশট প্রচার করা হয়। দাবি করা হয়, ওই পোস্টটি পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় করেছে।

প্রচারিত পোস্টে লেখা ছিল, ‘এক বিশ্বাসঘাতকের উত্তরাধিকার সমাপ্তি, ঢাকায় মুজিবুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশি বিপ্লবীদের হাতে ধ্বংস। বাংলাদেশি বিপ্লবীরা ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ধ্বংস করেছে, যেখানে তিনি পাকিস্তান ভাঙার জন্য ভারতের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মুজিবুর রহমানের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট থাকল না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিপ্লবীরা এই পদক্ষেপ নেয় শেখ হাসিনার ভারতের মাটি থেকে বাংলাদেশিদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর, যা বলা হচ্ছে, দেশকে অস্থির করার ও ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়েছিল।

তবে এই এক্স পেজ বা পোস্ট সঠিক নয় বলে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘প্রচারিত পোস্টের এক্স অ্যাকাউন্টটি পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট নয়।

বরং অ্যাকাউন্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল, যা একজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও সাংবাদিক পরিচালনা করেন। প্রকৃতপক্ষে, ধানমন্ডি ৩২-এ ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।’

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, তাতে ‘ডিফেন্স পাকিস্তান’ নামে একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্টের স্ক্রিনশট প্রচার করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, উল্লিখিত অ্যাকাউন্টটি পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ওই এক্স অ্যাকাউন্টটির বায়োতে লেখা পরিচিতি থেকে জানা যাচ্ছে,

এটি অফিসিয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট নয়। এটি একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল, যা একজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও সাংবাদিক পরিচালনা করেন। অ্যাকাউন্টটি প্রতিরক্ষা, ভূরাজনীতি, বৈশ্বিক সংঘাত এবং আফগানিস্তান সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে পোস্ট করে।