ইফতার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০, ১৪৪ ধারা জারি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার নান্দাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ আদেশ জারি করেন। নান্দাইল উপজেলা সদর শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খানের নেতৃত্বাধীন কমিটির নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে, একই স্থানে একই সময়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করে বিএনপির পদবঞ্চিত আজিজুল হক পিকুল সমর্থকরা। ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় উভয় পক্ষ অবস্থান নেয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে আগেভাগেই নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রাসহ উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হন।

এছাড়া লাদেন মিয়া নামে এক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুল হক পিকুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছিল, অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে ইফতার আয়োজন করতে চাওয়ায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, “বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”

রি’মা’ন্ডে দেয় দিক, কিছু বলবি না: দীপু মনি

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রিমান্ড শুনানির সময় তার আইনজীবীকে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, “যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই।” তার আইনজীবী তখন জানান, “আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি। কোনো শুনানি করব না।”

এদিন সকালে দীপু মনিসহ অন্যান্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ প্রহরায় তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় দীপু মনির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে ১০টা ২৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে দীপু মনিকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত ১৯ আগস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আলোচিত সেই নৃ’শংস হ’ত্যা’কাণ্ডের পেছনে যে সত্য জানা গেল!

কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যাকাণ্ড, একটি মর্মস্পর্শী কল রেকর্ড। যা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল পুরো দেশকে। বাবার আর্তনাদ সন্তানের মোবাইল ফোনে ধরা পড়ে, সেই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। সন্তানরা শুনতে পাচ্ছিল,

তাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে! এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক। টানা ১৩ বছর টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থাকা এই নেতা ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ইয়াবা ব্যবসার জন্য সারাদেশে সমালোচিত তৎকালীন এমপি আব্দুর রহমান বদি একরামকে পথের কাঁটা হিসেবে দেখতে শুরু করেন।

এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে র‍্যাবের কথিত ক্রসফায়ারের নামে তাকে হত্যা করা হয়। ছয় বছর পর নতুন অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—একরামের হত্যার পেছনে মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল না, বরং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা বদির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।

তৎকালীন র‍্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধ চলছিল, যেখানে ক্রসফায়ারের নামে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একাধিকবার র‍্যাবের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানালেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

একরামুল হকের হত্যাকাণ্ডের পর, ছয় শীর্ষ র‍্যাব কর্মকর্তাসহ পুরো বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও একে একপেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়। তার অন্যতম মদদদাতা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সেসময় গুঞ্জন ছিল, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন অজুহাতে টেকনাফ সফরে যেতেন কাদের। বদির ডেরায় অবস্থান করতেন, আর ফেরার সময় তার বহরে চার-পাঁচটি গাড়ি যোগ হতো, যেগুলোর মাধ্যমে বদির ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে যেত।

একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হননি, বরং এটি ছিল একটি রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র।

হত্যাকাণ্ডের পর তিনি মামলা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু আদালত ও থানার বারান্দায় ঘুরেও মামলা রেকর্ড করাতে পারেননি। কোনো আইনজীবীও তার পক্ষে দাঁড়াতে সাহস পাননি, কারণ র‍্যাবের হুমকি ছিল চরম।

মসজিদ-অফিসে এসি চালানোতে সরকারি নির্দেশনা, না মানলেই লোডশেডিং!

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলার জন্য মসজিদ, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং বাসাবাড়িতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ফাওজুল কবির খান জানান, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম এসির ব্যবহারে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ লোডশেডিং কার্যকর করবে। এসময় রমজান মাসে ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ!

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তালিকায় কেন্দ্রের কোড নম্বর, কেন্দ্রের আওতাধীন কলেজের নাম, কলেজের কোড নম্বর, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র অনুযায়ী কলেজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি’র টাকা গ্রহণ করে গোপনীয় কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে, অলিখিত উত্তরপত্রসহ অন্য কাগজপত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন।

প্রতিদিন পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডাকযোগে ওএমআরের প্রথম অংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কম্পিউটার কেন্দ্রে এবং উত্তরপত্রগুলো পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পাঠাবেন।

এতে আরও বলা হয়, ভেন্যু কেন্দ্রগুলো মূল কেন্দ্র থেকে টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রহণ করে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন এবং পরীক্ষা শেষে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র মূল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন।

জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত কলেজের অধ্যক্ষ-ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হবেন অধ্যক্ষ-ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা কলেজের সিনিয়র কোনো অধ্যাপক।

দেশের ৬ অঞ্চলে রাতের মধ্যেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ঢাকাসহ দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে

ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

‘আমার জামাই বীরের মতো ফিরবে’

চট্টগ্রামে নগরবাসীর আলোচনায় শুধু ছোট সাজ্জাদ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে সাজ্জাদকে নিয়ে আলোচনা।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পর আজ রোববার (১৬ মার্চ) ফেসবুক লাইভে নিজের স্বামীকে বীর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। তার ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

লাইভে তামান্না বলেন, আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে (স্বামী) নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।

ভিডিওতে ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়িয়ে আনবেন বলে জানান স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমার জামাই গতকাল (শনিবার) রাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেপ্তার হবেই। আপনারা যারা ভাবতেছেন, আর কোনো দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’ প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন’।

‘আমার জামাই বীরের মতো ফিরবে’
ওসিকে পেটানোর হুমকি দেওয়া সেই সাজ্জাদ গ্রেপ্তার
গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।

শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে পোস্ট ট্রাম্পের! যা জানা গেল

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরত আসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে,

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন— “Sheikh Hasina is coming back as Bangladesh PM soon.” তবে, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কোনো পোস্ট করেননি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করে তৈরি একটি ফ্যান অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৩ মার্চ পোস্টটি করা হয়। অ্যাকাউন্টটির নাম “Donald Junior Trump Update” হওয়ায় স্পষ্ট হয় যে এটি ট্রাম্পের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নয়,

বরং তার সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট প্রদানকারী একটি পেজ। এক্স প্ল্যাটফর্মের নিয়ম অনুসারে, কেউ প্যারোডি, ধারাভাষ্য বা ফ্যান অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেও বিভ্রান্তি এড়াতে অ্যাকাউন্টের নাম ও বায়োতে ‘প্যারোডি,’ ‘ফেক,’ ‘ফ্যান’ ইত্যাদি শব্দ সংযুক্ত করতে হয়।

তবে, অনেক সময় এসব অ্যাকাউন্ট নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্লু টিক ভেরিফিকেশনও নিয়ে থাকে, যা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও ইলন মাস্ক,

ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির নামে এক্স-এ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আবরার হ’ত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান ‘বাবা’ বরকত উল্লাহ

হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’ রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখা হয়। দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন ও নূর মোহাম্মদ আজমী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোপনে আদালতে হাজির, মাগুরার সেই শিশু ধ’র্ষণের দায় স্বীকার অভিযুক্ত হিটু শেখের

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণের অভিযুক্ত হিটু শেখকে শনিবার ছুটির দিনে গোপনে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। এ সময় নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পাশবিক নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হিটু।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে গোপনে পুলিশের একটি জিপ গাড়িতে তুলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে আসামি হিটু শেখকে উপস্থিত করা হয়। এ সময় ১৬৪ ধারায় ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালতের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মাগুরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো অফিসিয়ালি জানানো হয়নি। তবে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর হিটু শেখের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষক ও খুনি হিটু শেখ ও তার পরিবারের প্রকাশ্যে বিচারের দাবিতে সারা দেশসহ মাগুরার ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা মাগুরা সদর থানা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও মহাসড়ক অবরোধ করে। গত ১০ মার্চ প্রথা ভেঙে রাত ২টায় ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখ ও তার দুই ছেলেকে মাগুরা আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ড শুনানি করা হয়।

রিমান্ডে হিটু শেখকে ৭ দিন এবং ছেলে সজিব শেখ, রাতুল শেখ ও স্ত্রী জায়েদা খাতুনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ বোনের বাড়িতে ৮ বছরের আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিশু আছিয়া।

এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে কিছু জটিলতার কথা জানায়। কিন্তু বড় বোন মনে করে শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি বোনকে আবার শরীর খারাপের কথা বলে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়।

শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের মানুষ এমন নৃশংস পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। অভিযুক্তদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এদিকে মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া আছিয়ার পরিবারকে আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। শনিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনে মারা যাওয়া শিশুটির বিষয়ে সব ধরনের আইনি সহায়তা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। এ ছাড়া তার পরিবার ও বড় বোনের মানসিক স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য পুনর্বাসনের দায়িত্ব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।