এবার ৯ বছরের শিশু ধ’র্ষ’ণের ঘটনায় থানা ঘেরাও

মেহেরপুরে ৯ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এর প্রতিকার চেয়ে বাদী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) অভিযুক্ত ধর্ষককে বাঁচাতে পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্র-জনতা।

জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারী ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে মদনাডাঙ্গা গ্রামের বায়েজিদ নামের যুবক। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে বায়েজিদের সঙ্গী আলামিন হোসন।

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ, আলামিন ও বরকত আলী নামের তিন জনের নামে আদালতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন।

ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে আসামিরা। ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছে তারা। এরপর এক পর্যায়ে এ ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার বাদী প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মীমাংসা জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই সুজয় কুমার উভয়পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। এ সময় এসআই সুজয় কুমার ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীকে চাপ দিতে থাকেন।

ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানায় থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী তুষার ও সিয়াম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সুজয় কুমার থানার মধ্যেই তুষার ও সিয়ামকে মারধর করেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। এসআই সুজয় কুমার ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে থানা ও থানার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র জনতা।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর একটি দল থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকছুদা খানম বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাখান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা তিনটি শর্তের মধ্যে এক ঘণ্টা সময় বেধে দেয়।

রাত সাড়ে ১২টার সময় পুলিশ সুপার এসআই সুজয়কে ক্লোজ করার ঘোষণা দিলে ছাত্ররা থানা চত্বর ত্যাগ করে। পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম বলেন, ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী উপরিদর্শক (এসআই) সুজয় কুমার মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজনকে আটক করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

যা জানা গেল জামায়াত আমির ও নাহিদ ইসলামের সেই ‘ভাইরাল ছবি’ সম্পর্কে

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের চুম্বনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ছবির এ দৃশ্য এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বলে ‘রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ গ্রুপ’ থেকে দাবি করা হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে ওই দৃশ্যের মতো কোনো কিছু ঘটেনি। এছাড়াও, নাহিদ ইসলামের হাতে ওই অনুষ্ঠানে ঘড়ি না থাকলেও এই ছবিতে ঘড়ি দেখা যায়, তার পাঞ্জাবির কাফ-এ এমব্রয়ডারি করা থাকলেও ওই ছবিতে সেটি নেই।

রিউমর স্ক্যানার টিমের দাবি
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এনসিপির ইফতার মাহফিলে নাহিদ ইসলাম ও শফিকুর রহমানের চুম্বনের ভাইরাল দৃশ্যটি বাস্তব নয়। বরং, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দৃশ্যতে এআই-জনিত একাধিক অসংগতি পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া, সেদিনের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি পর্যালোচনায়ও এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ মেলেনি।

বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে রিউমর স্ক্যানার টিম এনসিপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও প্রতিবেদন ছাড়াও, মাহফিলে উপস্থিত ব্যক্তিদের ফেসবুকে শেয়ার করা ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করা হয়। তবে কোথাও এমন কোনো দৃশ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে এমন দৃশ্যের প্রমাণ না পাওয়ায় রিউমর স্ক্যানার টিম ভাইরাল ছবিটি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতি ধরা পড়ে, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি ছবির ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রথমত, ছবিতে নাহিদ ইসলাম ও শফিকুর রহমান—দুজনের হাতেই ঘড়ি দেখা যায়। তবে সেদিনের একাধিক ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নাহিদ ইসলামের হাতে কোনো ঘড়ি ছিল না। দ্বিতীয়ত, ছবিতে শফিকুর রহমানের বাম হাতে একটি আংটি দেখা গেলেও ইফতার মাহফিলের ছবি পর্যবেক্ষণে তার হাতে কোনো আংটির অস্তিত্ব মেলেনি।

এছাড়া, ছবিতে থাকা দুই ব্যক্তির হাতের গঠনে লক্ষণীয় অসংগতি রয়েছে। তুলনা করে দেখা গেছে, হাতের কিছু বৈশিষ্ট্য নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আংশিক মিলে গেলেও ৬৬ বছর বয়সী শফিকুর রহমানের হাতের সঙ্গে ছবির হাতের কোনো মিল নেই। বরং, ছবিতে থাকা হাত তুলনামূলকভাবে মসৃণ, বলিরেখাহীন এবং তরুণদের হাতের মতো দেখাচ্ছে। সাধারণত ৬৬ বছর বয়সে হাতের চামড়ায় ভাঁজ ও বলিরেখা দেখা যায়, যা সেদিনের ছবি পর্যালোচনায় শফিকুর রহমানের হাতেও প্রতীয়মান হয়েছে।

এসব অসংগতি দেখে রিউমর স্ক্যানার নিশ্চিত হয় যে ছবিটি আলোচিত ইফতার মাহফিলের কোনো ভিডিওর ওপর এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তৈরি করা হয়েছে। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে, ‘Chemical Ali’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একই চুম্বনরত দৃশ্যের একটি ভিডিও পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, ‘Muhammad Ferdous Pramanik’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত মূল ভিডিওটি পাওয়া যায়। মূল ভিডিওটিতে দেখা যায়, নাহিদ ইসলাম ও শফিকুর রহমান কেবল চেয়ার বদল করছিলেন। একই ভিডিও সেদিন দৈনিক ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজ থেকেও প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়া, সেদিন নাহিদ ইসলাম ও শফিকুর রহমানের চেয়ার বদলের পুরো ঘটনার ভিডিও পর্যালোচনা করেও তাদের চুম্বনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, ওই ইফতার মাহফিলের একটি ভিডিও সংগ্রহ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদনা করা হয়েছে এবং সেটিই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুতরাং, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ছবি এনসিপির ইফতার মাহফিলে নাহিদ ইসলাম ও শফিকুর রহমানের চুম্বনরত বাস্তব দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

‘মোদি’ কি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন?

রমজান এলেই ব্যবসায়িক চাঙা ভাব দেখা যায় বাংলাদেশ ও কলকাতার নিউ মার্কেটে। একসময় রমজান মাসে নিউ মার্কেটের দোকানগুলো থাকত সরগরম, পা ফেলার জায়গা মিলত না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলত বেচাকেনা।

কিন্তু এবার দৃশ্যপট পুরোপুরি ভিন্ন। নিউ মার্কেটের অলিগলিতে যেন নীরবতা নেমে এসেছে, কোথাও কোনো কোলাহল নেই। এর পেছনে বড় কারণ ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর ভিসানীতি। প্রতিবেশী বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মোদি প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়।

পর্যটন ও মেডিকেল ভিসাতেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ফলশ্রুতিতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। নিউ মার্কেট, ট্রেজার আইল্যান্ড, সিম্পার মল—সব জায়গায় বাংলাদেশি ক্রেতার অভাবে বেচাকেনা স্থবির।

ব্যবসায়ীদের মতে, নিউ মার্কেটের মোট ব্যবসার ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নির্ভর করত বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর, যা রমজানে আরও বেড়ে যেত। এবার সেই চিত্র উল্টো—হোটেল খালি, দোকান বন্ধ, পরিবহন ব্যবসাও ঝুঁকির মুখে।

কলকাতার প্রায় ১০০টির বেশি হোটেল এবং ৩,০০০ দোকান বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল। অনেকে দোকান ভাড়া চালাতে পারছেন না, কেউ কেউ দোকান বন্ধ করতেও বাধ্য হচ্ছেন। ক্ষোভ জমছে ব্যবসায়ীদের মনে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করায় মোদি প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ অনেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদি প্রশাসন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশায় এই কৌশল নিয়েছে, কিন্তু এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে বড় আঘাত এসেছে।

এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোদি সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত সমাধান চান, কিন্তু মোদি প্রশাসন তাদের অভিযোগ শুনবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে অ’গ্নিকাণ্ড নিয়ে যা জানা গেলো

রাজধানীর বারিধারায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাসভবনের একটি ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভবনের ৫ম তলায় আগুন লাগে। ইউনিটটি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভাড়া দেওয়া ছিল।

প্রতিবেশীরা হঠাৎ ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন এবং দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে ঘটতে পারে।

কী ঘটেছিল সেই রাতে? কান্নাজড়িত কণ্ঠে লো’মহর্ষক বর্ণনা দিলেন আছিয়ার ‘মা’

মাগুরায় আলোচিত ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। শিশুটির মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশবাসী। বুকের মানিককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার মা। বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিশুটির। এরপর দুপুরে তৃতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর আর হৃদস্পন্দন ফেরেনি অভিমানী হৃদয়ে। ঘৃণা, লজ্জা, অভিমানে জমে থাকা শ্বাস চিরমুক্তি নিয়ে অসীমে মিলিয়ে গেছে।

মায়ের অবুঝ মন যেন মানে না। গত কয়েক দিন ধরেই নাড়ি ছেঁড়া ধনের জীবন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ছোট মেয়েকে হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা তিনি। শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালের মেঝেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিলাপ করছিলেন তার মা।

তিনি বলেন, ‘আমার মণি যেভাবে মরছে, আমার মণি যেভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে মরছে, আমি তারও (অপরাধীর) ফাঁস দিয়ে বিচার চাই। (তার) এ রকম মৃত্যু চাই আমি, আমার মণির যেমন বেলেড দিয়ে কাটছে, গলায় ফাঁস দেসে, ঠিক সেরকম বিচার চাই আমি আপনাদের কাছে। ওরে যেন ওইরকম ফাঁসি দিয়ে মারে। ও রকম যেন ওরে বেলেড দিয়ে কাটে। আমার মেয়েটারে যে কষ্ট দিছে না? আমি তারেও এরকম দেখতে চাই।’

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে শিশুটির মা বলেন, ওর আপার বাড়িতে যাওয়ার পর, ওর আপাকে ধরে মেরেছিল। তখন আছিয়া বলেছিল, সে বাড়িতে গিয়ে সব বলে দেবে। এরপরই সেই রাতে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। বড় মাইয়াটারে ইচ্ছা মতো মেরে আলাদা ঘরে থুইয়া দিছিল। পরে রাত ১১টার দিকে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলসে আমার মণি অসুস্থ। আমি গিয়ে দেখি সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইছে। তারে রাইখে পলাইছে ওই মহিলা।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এরপর ৭ মার্চ রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়।

গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজীব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার চার আসামির মধ্যে তিনজন পুরুষের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এরইমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে তিন আসামিকে মাগুরা থেকে ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে আনা হয়। একই সঙ্গে শিশুটির ডিএনএ নমুনাও জমা দেয়া হয়।

শিশু আছিয়ার মৃ’ত্যুতে কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে যা বললেন পিনাকী

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, জান্নাতে কোন ধর্ষক নাই। জান্নাতে আছিয়ার ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। শুনেছি নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে শহীদের মর্যাদা পায়। সেই হিসেবে আমাদের বোন আছিয়া শহীদ।

আর কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শহীদকে তোমরা মৃত বলো না। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।পিনাকী পোস্টে আরো লিখেছেন, আছিয়া মারা যায়নি। দুনিয়ার জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর জান্নাতে চলে গেছে।

মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভালো রাখুক। আর যারা এই দুনিয়াটা ওর জন্য জাহান্নাম বানাইয়া দিছিলো, তাদের দুনিয়াকে আর আখিরাত দুইটাই যেন জাহান্নাম হয়ে যায়। “আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।” (২:১৫৬)

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ধ’র্ষণ ও নিপীড়কদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, জোর দাবি জানিয়েছে এনসিপি

মাগুরায় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার শিশু আছিয়া আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি শিশু আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।

নিপীড়িত আছিয়ার ওপর চলা নির্যাতন এবং তাঁর মৃত্যু আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার জন্য চরম লজ্জাজনক। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনের এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে এই নির্মম ঘটনা হতাশাজনকও বটে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি এই ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে।

ফ্যাসিবাদী আমলে প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বাংলাদেশে অবাধে ঘটেছে। জুলাই অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগকে

সক্রিয় ভূমিকা রাখার জোর দাবি জানাই আমরা। শিশু আছিয়া ধর্ষণসহ নারী নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অতিদ্রুত তদন্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করে বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এবার পাল্টা হুমকি দিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যালকোহলজাত পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, যদি ইইউ মার্কিন হুইস্কির ওপর আরোপিত ৫০% শুল্ক অবিলম্বে না সরায়, তবে তিনি ফ্রান্সসহ ইইউভুক্ত দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেন এবং অন্যান্য অ্যালকোহলজাত পণ্যের ওপর এই কঠোর শুল্ক আরোপ করবেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “এটি আমেরিকার ওয়াইন ও শ্যাম্পেন ব্যবসার জন্য দারুণ হবে! তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “ইইউ যদি মার্কিন হুইস্কির ওপর আরোপিত ৫০% শুল্ক অবিলম্বে না সরায়,

তাহলে আমরাও ইইউ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন ও অ্যালকোহল পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বসাব। ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বাণিজ্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে,

এবং এই পদক্ষেপ তার নীতি অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই নতুন শুল্কের হুমকি বাস্তবায়িত হলে ফ্রান্সসহ ইউরোপের মদ রপ্তানিকারকদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে, অন্যদিকে মার্কিন মদ প্রস্তুতকারীরা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে।

সূত্রঃ https://www.bbc.com/news/live/cx2gprz84rlt?post=asset%3A521e079d-35ab-48c8-9d9e-faf4faf730ce#post

শিশু আছিয়ার মৃ’ত্যু: ধ’র্ষণ ও হ’ত্যার বিচার কয়দিনের মধ্যে শুরু হবে জানালেন আসিফ নজরুল

মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশুর ধর্ষণের ঘটনায় বিচার কাজ ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির ময়নাতদন্ত আজকেই সম্পন্ন হবে। এরইমধ্যে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এ ঘটনায় ১২ থেকে ১৩ জন ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ ও বলাৎকারের মামলাগুলো দ্রুত বিচার করতে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। আগামী রোববারের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারির চেষ্টা করা হবে। এসময় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ার করেন আসিফ নজরুল।

প্রসঙ্গত, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

এ ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আইএসপিআর জানায়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ আট বছরের শিশু আছিয়াবোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

২ উপদেষ্টার অনুরোধের পর সেই মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দিলো পুলিশ!

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের পর বাবা-মার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেই মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বুধবার ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত।

তিনি লিখেন, ‘ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে কিছুক্ষণ আগে ধানমন্ডি থানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মাহবুব আলম মাহির ও মুশফিকুর রহমান জোহান ভাই এবং আমি রাত ১০টায় তার জামিনের ব্যাপারে কথা বলতে ধানমন্ডি থানায় যাই।

কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আটক হওয়ায় পুলিশ প্রথমে নিজেদের পক্ষ থেকে মুক্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।’ সিফাত আরো লিখেছেন, ‘পরবর্তীতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি ছেলেটির মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনার পর মুচলেকা নিয়ে মহিউদ্দিনকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেন।’

বুধবার ধানমন্ডিতে ফুটপাতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় মহিউদ্দিনের একটি ফুডকার্ট উচ্ছেদ করা হয়।

তখন মহিউদ্দিন এই উচ্ছেদ বন্ধে প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, এই বাজারের সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন পরিবারকে সহযোগিতা করতে তিনি এই দোকান পরিচালনা করছেন। তিনি তো চুরি ডাকাতি করছেন না।

কাউকে অসুবিধা না করে এমন সৎ কাজও কেন তিনি এই বাংলাদেশে করতে পারবেন না? উপস্থিত গণমাধ্যমের সামনে এমন বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়। মহিউদ্দিনের এই বক্তব্য এবং পুলিশের মারধরের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।