কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন ট্রাম্প, কপাল পুড়ছে এশিয়ার যে দুই দেশের!

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না আফগানিস্তান, পাকিস্তান। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর থেকে এশিয়ান দেশগুলো নিয়ে কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি ভারতের নাগরিকদের অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। এই নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে৷ এবার এশিয়ার আরো দুই দেশের নাগরিকদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি জারি করা একটি নক্তুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী সপ্তাহ থেকেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা তৈরি করতে পারে৷

দেশগুলোর নিরাপত্তা ও যাচাই ঝুঁকির উপরে সরকারি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে বিষয়টি নিয়ে অবগত তিনটি সূত্র জানিয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য দেশও এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকতে পারে৷ তবে তারা সেগুলোর নাম জানেন না। এটি মূলত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি হবে।

২০১৮ সালে কয়েক দফা সংশোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই নীতি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এটিকে জাতীয় চেতনার একটি কলঙ্ক হিসেবে অভিহিত করেন।

সুখবর: এবার অগ্রিম বেতন পাচ্ছেন সকল চাকরিজীবীরা

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসের ২৩ তারিখেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার৷

রবিবার (৯ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল গফুরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি বর্ষপঞ্জি-২০২৫ অনুযায়ী ৩১ মার্চ তারিখে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, সেজন্য সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী (গেজেটেড-নন-গেজেটেড),

সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড/নন-কমিশন্ড অফিসারদের মার্চ- ২০২৫ মাসের বেতন ভাতাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারদেরর মার্চ-২০২৫ মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়া হবে।

ঢাকার বিকল্প হিসাবে নতুন রাজধানীর তালিকায় এগিয়ে আছে যেসব শহর!

ঢাকার অতিরিক্ত জনসংখ্যা, যানজট, বায়ু দূষণ এবং বাসস্থানের সংকটের কারণে রাজধানী হিসেবে শহরটির উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞরা এবং নীতি নির্ধারকরা প্রশ্ন তুলছেন—ঢাকার বিকল্প কোথায় হতে পারে?

বিশ্লেষণে উঠে এসেছে পাঁচটি সম্ভাব্য শহরের নাম, যেখানে ঢাকার তুলনায় সুবিধাজনক পরিবেশ এবং উন্নয়ন সম্ভাবনা রয়েছে।

১. চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান বাণিজ্যিক শহর, যেখানে উন্নত বন্দর এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকার বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারে, বিশেষত এর সমুদ্রপথ এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব।

২. রাজশাহী: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি সহ রাজশাহী কৃষি এবং শিল্পের ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা রাখে।

৩. সিলেট: পাহাড় এবং হাওরের সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের পরিবেশ ঢাকার তুলনায় অনেক ভালো। এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারণে সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে।

৪. খুলনা: বন্দর নগরী খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন এবং শিল্প খাতের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, যেখানে পরিবেশগত মানও তুলনামূলকভাবে ভালো।

৫. বরিশাল: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৃষি খাতে গুরুত্ব থাকা বরিশাল তার জলবায়ু এবং শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে বিকল্প রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

বিশ্লেষণ থেকে এসব শহরের বিভিন্ন শক্তি উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যতে ঢাকার চাপ কমানোর জন্য কার্যকরী হতে পারে।

আগের বছরের তুলনায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যে ‘মন্তব্য’ করলেন অর্থ উপদেষ্টা

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগের বছরের তুলনায় বাড়েনি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে উচ্চমূল্যের কারণে কিছু মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।

সরকার নিত্যপণ্যের দাম আরও কমানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান করে এ পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে সরকার।

বেকারত্ব কমানোকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া, আগের সরকারের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেগুলোর বন্ধ হওয়ার কারণ উদ্যোক্তাদের নিজস্ব বিষয়।

তবে সেখানকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করা হবে। তবে সরকার সবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেন।

এইচএসসির ফরম পূরণ: ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীকে ‘জিম্মি’ করে ৬ মাসের অগ্রিম বেতন আদায়!

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জুন। পরীক্ষায় অংশ নিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন ফরম পূরণে ব্যস্ত। কিন্তু শিক্ষাবোর্ডের ‘দায়সারা’ বিজ্ঞপ্তিকে ঢাল বানিয়ে তাদের কাছ থেকে সাত মাসের বেতনের টাকা একসঙ্গে আদায় করা হচ্ছে। অল্প সময়ে অনেকে একসঙ্গে এত টাকা জোগাড় করতেও চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো সন্তানের ফরম পূরণের সঙ্গে অগ্রিম বেতন পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আবদারে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

তারা বলছেন, এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পরও কলেজ থেকে কেন মাসিক বেতন চাওয়া হচ্ছে, তার কারণ বুঝতে পারছেন না তারা। সেটাও একমাসের নয়, তিন মাসের বাড়তি বেতন নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাত মাসের বেতনের টাকা একসঙ্গে অগ্রিম আদায় করা হচ্ছে। অগ্রিম বেতন পরিশোধ না করলে আটকে দেওয়া হচ্ছে ফরম পূরণ। এতে চরম আর্থিক চাপে পড়েছেন তারা। ফরম পূরণে বাড়তি ও অগ্রিম বেতনের টাকা নেওয়া বন্ধে সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সব শিক্ষাবর্ষে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। সেসব বাদ দিয়ে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। ফলে ১৫ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণের সময় আদায় করা হচ্ছে অগ্রিম বেতন।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। ২০২৩ সালের জুন মাসে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভর্তি করা হয়েছিল ওই বছরের সেপ্টেম্বরে। আর ক্লাস শুরু হয়েছিল অক্টোবরে। সেসময় তাদের অক্টোবর মাস (২০২৩) থেকে বেতন নেওয়া হয়। একাদশ থেকে দ্বাদশ, সবশেষ নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা এখন এইচএসসির চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ৯টি শিক্ষ বোর্ড এইচএসসির ভর্তি ফরম পূরণের নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়, ২ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি দিতে হবে ২ হাজার ৭৮৫ টাকা। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থীদের ফি দিতে হবে ২ হাজার ২২৫ টাকা।

তবে ফরম পূরণের ফির সঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অগ্রিম বেতন আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মেনেই তারা মোট ২৪ মাসের (একাদশ-দ্বাদশ) বেতন নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীসহ সারা দেশের প্রায় সব কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অগ্রিম বেতন আদায় করছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হামদর্দ কলেজসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কলেজের বিজ্ঞপ্তি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। সেখানে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর হতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৭ মাস বেতন আদায় করা হয়েছে। বাকি সাত মাসের (মার্চ-সেপ্টেম্বর) বেতনের টাকা ফরম পূরণের সময় একসঙ্গে দিতে হবে। সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ না করা পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না।

ভিকারুননিসার মূল শাখায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মা তাহেরা আক্তার রূপা জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষ দেরিতে শুরু করার পেছনে তো আমাদের দায় নেই। তারা দেরিতে একাদশে ভর্তি করিয়েছেন। এখন ১৫-১৬ মাস ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিন্তু ২৪ মাসেরই বেতন দিতে হবে। তার মধ্যে ৬-৭ মাসের বেতন অগ্রিম নেওয়া হচ্ছে। ভিকারুননিসায় ৭ মাসের বেতন বাবদ আমাদের একসঙ্গে ১৪ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। তার সঙ্গে ফরম পূরণ ফি ২ হাজার ৭৮৫ টাকা। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা লাগবে। এটা দুই-তিনদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এটা তো এখন বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য।’

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক সাব্বিন হায়দার বলেন, ‘মেয়ের ফরম পূরণ করতে গিয়ে দেখি সাত মাসের বেতন আগাম চাইছে। বললাম হঠাৎ এত টাকা আমরা দেবো কীভাবে? শিক্ষকরা উল্টো রাগ দেখিয়ে বলেছেন, তাহলে এ কলেজে ভর্তি করছেন কেন?’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমাদের মতো যাদের আয়, তাদের পক্ষে মাসে মাসে দুই হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়তো সম্ভব। কিন্তু একসঙ্গে ৭ মাসের বেতনের ১৪ হাজার টাকা এবং ফরম ফিলআপের ফি পরিশোধ করতে গেলে তো ধারদেনা করা ছাড়া উপায় নেই। রমজান মাস, সামনে ঈদ। আবার ফরম পূরণ না করলে তো মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না। বাধ্য হয়ে সব টাকা দিয়েছি। এটা তো একরকম জিম্মি করা। এত আন্দোলন, বৈষম্য নিয়ে কথা; তারপরও দেশে সেই শিক্ষার বাণিজ্য তো চলছেই।’

ফরম পূরণে অগ্রিম ৭ মাসের বেতন আদায়কে শিক্ষার নীতিহীন ব্যবসা বলে মনে করেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কলেজের শিক্ষাবর্ষ শেষ হয় ৩০ জুন। এবার পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুনে। তাহলে পরীক্ষার পর কলেজে কি ক্লাস চলবে? যদি ক্লাস না চলে তাহলে শিক্ষার্থীরা বেতন কেন দেবে? স্কুল-কলেজের এ ব্যবসা আর কতদিন এ দেশে চলবে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরও এমন শিক্ষার বাণিজ্য কেন? আমরা পরীক্ষা শুরুর পর বেতন আদায়ের অন্যায় আবদারের প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাপ্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি।’

‘কলেজেরও তো আয় দরকার’
ভর্তি নির্দেশিকায় থাকা নির্দেশনা মেনে বেতন আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষরা। আর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, একাদম-দ্বাদশ দুই বছরের। সেই হিসাবে ২৪ মাসে শিক্ষাবর্ষ। ২৪ মাসের বেতনের টাকা না পেলে কলেজগুলো বিপদে পড়বে। তাদের ভাষ্য, ‘কলেজগুলোরও তো আয়ের দরকার আছে।’ জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা বোর্ড যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে ২৪ মাসের বেতন নিতে বলা হয়েছে। আমরা নিয়মের বাইরে কিছু করছি না।’

একসঙ্গে অগ্রিম ৭ মাসের বেতন আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফরম পূরণের পর শিক্ষার্থীরা আর কলেজে আসে না। এখন বেতন না নিয়ে নিলে সেটা তোলা কষ্টকর। সেজন্য ফরম পূরণের সঙ্গে সব নিয়ে রাখা হচ্ছে।’ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জাগো নিউজকে বলেন, ‘একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি দুই বছরের। সেজন্য ২৪ মাসের বেতন নিতে বলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব জায়গায়ই তো এমন হয়।’

শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেছে এবং পরীক্ষা দিয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন আদায়ের যৌক্তিকতা কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো আগের নিয়ম। বরাবরই ২৪ মাসের বেতন নেওয়া হয়। কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায় চলে। তাদেরও আয়ের প্রয়োজন আছে। তাদের তো বছরের ১২ মাসই শিক্ষকদের বেতন দিতে হয়। সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও পুরো দুই বছরের (১২+১২ মাস) বেতনের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছি আমরা।’ ক্লাস বন্ধ এবং পরীক্ষার পরও বেতন আদায়ে শিক্ষা বোর্ডের এমন অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ড যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে কিছুটা কনসিডার (ছাড়) দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, তা কথা বলে দেখবো। সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে।’

বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার প্রদান, ট্রাম্পের বলা তথ্য নিয়ে যা বললেন ‘প্রেস সচিব’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের “স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রকল্প নিয়ে কিছু তথ্য প্রদান করেন, যা জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে। অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করে। প্রকল্প প্রস্তাবনার আহ্বানের পর অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে।

২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে এবং পরবর্তীতে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়, যার অর্থ ধাপে ধাপে এসেছে। শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ৫ বছর এবং বাজেট ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)।

ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার। এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করা, শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন করা। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরীপ কার্যক্রমও পরিচালনা করেছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ইউএসএআইডি প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক, এবং আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও প্রয়োজন হলে নথিপত্র পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে।

সুতরাং, ট্রাম্পের অভিযোগ যে এটি বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন সংস্থাকে প্রদান করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির (DOAG) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়, যেখানে ব্যক্তির কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না।

বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিয়ে ট্রাম্প মিথ‍্যাচার করেছেন: ড. ইফতেখারুজ্জামান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একে মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়, মাত্র দুই সদস্যের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে কাজ করেছে এবং তারা ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পেয়েছে। তবে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

মুর্শেদ হাসিবের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে বিভিন্ন সূত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্ট্রেন্থেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (SPL Bangladesh) নামের একটি প্রকল্পের খোঁজ পাওয়া গেছে। এটি ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (DI) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করছে।

২০১৭ সাল থেকে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সাথে সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও ১০ মাস বাড়ানো হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের উল্লেখ করা সংস্থাটি ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাংলাদেশে কাজ করা ৭৬টি এনজিওর গত সাত বছরের আর্থিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ইউএসএআইডির (USAID) মাধ্যমে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২৯ মিলিয়ন ডলার) অনুদান ছাড়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এনজিও ব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো সংস্থা বা প্রকল্পের তথ্য নেই, যেখানে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা অর্থ কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে ব্যয় করা হয়,

এবং এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধিত কোনো সংস্থার মাধ্যমে এই অর্থের লেনদেন হয়নি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার, অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। বাংলাদেশে বিদেশি অর্থায়নের প্রতিটি লেনদেন কঠোরভাবে তদারকি করা হয়। মাত্র দুইজন কর্মী থাকা একটি সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার দাবি অবাস্তব এবং অগ্রহণযোগ্য।”

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষতা বিষয়ক বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে এবং এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

এবার দেশের জন্য যে ‘আহ্বান’ জানিয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহ

দেশের কোন জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতের উপর যেভাবে বছরের পর বছর অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে,

তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়িটি এখন ঘৃণা স্তম্ভে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের নতুন বাংলাদেশ করার আহ্বান জানিয়ে গণঅভ্যুত্থানের এই নেতা বলেন,

দেশ গঠনে প্রশাসনকেও সহযোগী ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে তারাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভকে পুঁজি করে কেউ যেন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে,

সেদিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ এই পরবর্তী ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। আর নির্যাতিত যারা রয়েছে,

এখানে প্রত্যেকটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, আমরা এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতভেদ থাকলেও, আমাদের পলিসি, ডিসকাশন এর মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক ইভেন্টের মধ্য দিয়ে,

আমরা সেগুলোকে সমাধান করব। ভারত বিরোধী আগ্রাসনের আমরা আর কোনভাবে বাংলাদেশে একটা সেফ হাউস হইতে দিব না এবং আওয়ামী ফিকেশনের বাংলাদেশ,

এর কোন ধরনের আর সুযোগ থাকবে না। এই যে আওয়ামী লীগের তীর্থস্থানকে মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে ভেঙে ঘুরিয়ে দিয়েছে, আপনি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কাউকে যে এটাকে আটকানোর জন্য! কাউকে পান নাই।

সুপারিশ এবার ঢাকা থেকে রাজধানী সরানোর, কোন শহর হচ্ছে নতুন রাজধানী?

বৈষ্যমহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুননির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর টাস্ক ফোর্স গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেই প্রতিবেদনে নানাবিধ সুপারিশের পাশাপাশি একটি সুপারিশ হচ্ছে রাজধানী ঢাকার স্থানান্তর।

প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো ঢাকা, যা বাংলার রাজধানী হিসেবে পরিচিত, এখন এক গুরুতর সংকটে পড়েছে। দুই কোটি মানুষের চাপ, ভয়াবহ বায়ুদূষণ, যানজট, এবং পরিবেশগত অবনতি ঢাকা শহরকে অবাসযোগ্য করে তুলছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনঃনির্ধারণ টাস্ক ফোর্স রাজধানী স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মতে, ঢাকার বর্তমান অবস্থা দেশের উন্নতির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩০ জানুয়ারি টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। প্রতিবেদনে রাজধানী স্থানান্তরের পাশাপাশি,

গাড়ি কেনার সহজ শর্তে সুবিধা প্রদান এবং গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া কঠিন করার সুপারিশও করা হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

নতুন বছরে বদলে গেল ব্যাংক খোলা ও বন্ধের সময়সীমা

ভারতে ব্যাঙ্কার্স কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ব্যাংক খোলা বন্ধের নিয়ম চালু করা হয়েছে।

নিয়ামনুযায়ী ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধানুযায়ী ব্যাঙ্কিং পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে এখন থেকে ভারতের সরকারি ব্যাংক একই সময়ে খুলবে এবং বন্ধ হবে।

অর্থাৎ নতুন বছরের ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়ে এখন চলমান রয়েছে। । সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমস্ত ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে। এবং বিকাল ৪ টায় বন্ধ হবে।

স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়া হয়েছে। কমিটির বিশ্বাস, এর ফলে গ্রাহকদের সুবিধা হবে। আগের থেকে সুসংহত হবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও।