‘মোদি’ কি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন?

রমজান এলেই ব্যবসায়িক চাঙা ভাব দেখা যায় বাংলাদেশ ও কলকাতার নিউ মার্কেটে। একসময় রমজান মাসে নিউ মার্কেটের দোকানগুলো থাকত সরগরম, পা ফেলার জায়গা মিলত না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলত বেচাকেনা।

কিন্তু এবার দৃশ্যপট পুরোপুরি ভিন্ন। নিউ মার্কেটের অলিগলিতে যেন নীরবতা নেমে এসেছে, কোথাও কোনো কোলাহল নেই। এর পেছনে বড় কারণ ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর ভিসানীতি। প্রতিবেশী বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মোদি প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়।

পর্যটন ও মেডিকেল ভিসাতেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ফলশ্রুতিতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। নিউ মার্কেট, ট্রেজার আইল্যান্ড, সিম্পার মল—সব জায়গায় বাংলাদেশি ক্রেতার অভাবে বেচাকেনা স্থবির।

ব্যবসায়ীদের মতে, নিউ মার্কেটের মোট ব্যবসার ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নির্ভর করত বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর, যা রমজানে আরও বেড়ে যেত। এবার সেই চিত্র উল্টো—হোটেল খালি, দোকান বন্ধ, পরিবহন ব্যবসাও ঝুঁকির মুখে।

কলকাতার প্রায় ১০০টির বেশি হোটেল এবং ৩,০০০ দোকান বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল। অনেকে দোকান ভাড়া চালাতে পারছেন না, কেউ কেউ দোকান বন্ধ করতেও বাধ্য হচ্ছেন। ক্ষোভ জমছে ব্যবসায়ীদের মনে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করায় মোদি প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ অনেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদি প্রশাসন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশায় এই কৌশল নিয়েছে, কিন্তু এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে বড় আঘাত এসেছে।

এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোদি সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত সমাধান চান, কিন্তু মোদি প্রশাসন তাদের অভিযোগ শুনবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

শিশু আছিয়ার মৃ’ত্যুতে কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে যা বললেন পিনাকী

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, জান্নাতে কোন ধর্ষক নাই। জান্নাতে আছিয়ার ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। শুনেছি নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে শহীদের মর্যাদা পায়। সেই হিসেবে আমাদের বোন আছিয়া শহীদ।

আর কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শহীদকে তোমরা মৃত বলো না। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।পিনাকী পোস্টে আরো লিখেছেন, আছিয়া মারা যায়নি। দুনিয়ার জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর জান্নাতে চলে গেছে।

মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভালো রাখুক। আর যারা এই দুনিয়াটা ওর জন্য জাহান্নাম বানাইয়া দিছিলো, তাদের দুনিয়াকে আর আখিরাত দুইটাই যেন জাহান্নাম হয়ে যায়। “আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।” (২:১৫৬)

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এবার পাল্টা হুমকি দিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যালকোহলজাত পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, যদি ইইউ মার্কিন হুইস্কির ওপর আরোপিত ৫০% শুল্ক অবিলম্বে না সরায়, তবে তিনি ফ্রান্সসহ ইইউভুক্ত দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেন এবং অন্যান্য অ্যালকোহলজাত পণ্যের ওপর এই কঠোর শুল্ক আরোপ করবেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “এটি আমেরিকার ওয়াইন ও শ্যাম্পেন ব্যবসার জন্য দারুণ হবে! তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “ইইউ যদি মার্কিন হুইস্কির ওপর আরোপিত ৫০% শুল্ক অবিলম্বে না সরায়,

তাহলে আমরাও ইইউ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন ও অ্যালকোহল পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বসাব। ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বাণিজ্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে,

এবং এই পদক্ষেপ তার নীতি অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই নতুন শুল্কের হুমকি বাস্তবায়িত হলে ফ্রান্সসহ ইউরোপের মদ রপ্তানিকারকদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে, অন্যদিকে মার্কিন মদ প্রস্তুতকারীরা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে।

সূত্রঃ https://www.bbc.com/news/live/cx2gprz84rlt?post=asset%3A521e079d-35ab-48c8-9d9e-faf4faf730ce#post

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে যা বললেন বৃটিশ হাইকমিশনার ‘সারাহ কুক’

বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সাহসিকতা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে সম্মান জানাই। এ ধারাবাহিকতায় নিশ্চয়ই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।’

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেটের বিমানবন্দর এলাকার পাঁচ তারকা গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে যুক্তরাজ্য হাইকমিশন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সারাহ কুক। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সারাহ কুক মন্তব্য করেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অবদান খুবই মূল্যবান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহযোগী। সিলেটের কারণে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করেন সারাহ কুক। তিনি জানান, সিলেটে গত প্রলয়ংকরী বন্যায় ব্রিটিশ সরকার সাড়ে সাত কোটি টাকা অনুদান এবং ৫০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ সরকারকে অর্থায়ন করেছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাজ্য ও সিলেট কীভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পারে, এর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ইফতার মাহফিলে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মুশফেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম,

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ জহিরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ও সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, আইনজীবী সৈয়দা শিরিন আক্তার,

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ প্রমুখ।

শেখ হাসিনা আবার ‘প্রধানমন্ত্রী’ হয়ে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে যা বললেন প্রেস সচিব

ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ওই ছবি ক্যাপশনে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের বরাতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশে ফিরবেন।

বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘পাগলের সুখ মনে মনে’।

শফিকুলের সেই পোস্টের কমেন্টে এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে দেখা গেছে অনেককেই। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাকে বরণ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রস্তুত রয়েছে বলেও মন্তব্য তাদের।

পোস্টের ক্যাপশনে টাইমস অব ইন্ডিয়া উল্লেখ করেছে, ‘হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বি আলম দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসবেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ স্থান দেওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণ অনুরোধ জানিয়েছে।

তবে সে অনুরোধের আনুষ্ঠানি কোনো জবাব আসেনি দিল্লি থেকে। ভারতের জবাব না আসলেও গণহত্যার বিচার কার্যক্রম থেমে নেই।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ, রোজা ২৯ নাকি ৩০টি?

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং আরব ইউনিয়ন ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সেসের (এইউএএসএস) সদস্য ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান, শাওয়াল মাসের চাঁদ শনিবার (২৯ মার্চ), সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জন্ম নেবে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, এটি সূর্যাস্তের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে তবে অত্যন্ত ক্ষীণ হবে। চাঁদের পৃষ্ঠের মাত্র ০.০১ শতাংশ অংশ দৃশ্যমান থাকবে, যা দিগন্তের সমান্তরাল অবস্থানে থাকবে এবং সূর্যাস্তের পাঁচ মিনিট পরই অস্ত যাবে, তখনো সূর্যের তীব্র আলো বিদ্যমান থাকবে।

ফলে চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে বলে ৩০ মার্চ (রোববার) রমজানের শেষ দিন হবে এবং সোমবার (৩১ মার্চ) শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ও ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য হবে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ। চলতি বছরের রমজান মাস ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে, সেই তথ্যও প্রকাশ করেছে তারা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ৩০ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ৩১ মার্চ পালিত হবে ঈদ।

সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র বলেছে, ‘যদি আপনারা চাঁদ দেখতে পান, তাহলে পর্যবেক্ষণের বিষয়টি স্থানীয় কমিটি অথবা অফিসিয়াল চাঁদ দেখা কমিটিকে জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর শুরু হতে পারে।’

আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোত যদি ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হয়, তাহলে এবার ওই অঞ্চলের মানুষ ৩০টি রোজা পূর্ণ করবেন। মধ্যপ্রাচ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। এরপর ১ মার্চ থেকে সেখানে শুরু হয় পবিত্র এ মাস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ অনুসন্ধান করবে। ওইদিন দেশটিতে রমজানের ২৯তম দিন থাকবে। এছাড়া যদি রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করে তাহলে এবার আমিরাতের মুসল্লিরা ঈদে পাঁচদিনের ছুটি পাবেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা!

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা ভারতে পলায়ন করেন। পরে তার ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় কয়েক শ’ মামলা দায়ের করা হয়। তাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি দেশের বিভিন্ন মহলের।

এমতাবস্থায় বুধবার (১২ মার্চ) ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই-তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডক্টর রাব্বি আলম এক সাক্ষাতকারে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও বাংলাদেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে নিরাপদে ভারতে আশ্রয় দেয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেন।

ডক্টর রাব্বি আলমের মতে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তরুণ প্রজন্মকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম একটি ভুল করেছে, কিন্তু এটি তাদের দোষ নয়, তাদের কারসাজি করা হয়েছে।

ডক্টর রাব্বি আলম বলেন, বাংলাদেশ এখন আক্রমণের মধ্যে রয়েছে, এবং এই সংকট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপে সমাধান হওয়া দরকার। একটি রাজনৈতিক অভ্যুত্থান গণতন্ত্রের অংশ হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা নয়। এটি একটি সন্ত্রাসী বিদ্রোহ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের বহু নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদ ভ্রমণের পথ সুগম করেছেন।

তিনি বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের ফিরে যেতে হবে, যেখান থেকে তারা এসেছে।

ডক্টর রাব্বি আলম জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন, কিন্তু এই সংকট তরুণদের ভুল নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

বিশ্ববাসী এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে! এই রমজানেই যে দিন দেখা যাবে ’ব্লাড মুন’

২০২৫ সালের ১৩ বা ১৪ মার্চ, রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে, বিশ্ববাসী এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে। এই দিনে আকাশে দেখা যাবে একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যা ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাঁদ নামে পরিচিত। এটি ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো একটি সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে, যেখানে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় সম্পূর্ণভাবে ঢেকে গিয়ে রক্তিম বর্ণ ধারণ করবে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কী?
যখন পৃথিবী সূর্যকে আংশিকভাবে ঢেকে দেয়, তখন পৃথিবী থেকে চাঁদ আংশিকভাবে দৃশ্যমান হয়, এবং একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। আর যখন পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে, তখন পৃথিবী থেকে চাঁদ সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়, এবং একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মহাজাগতিক দৃশ্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হবে।

উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলি থেকে সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করা যাবে।
ইউরোপ: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানির মতো কিছু দেশে চন্দ্রগ্রহণের আংশিক পর্যায় দেখা যাবে, তবে গ্রহণ চলাকালীন সময়েই চাঁদ অস্ত যাবে।

আফ্রিকা: মরক্কো, মিশর, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়া মতো দেশগুলোতে গ্রহণের প্রথম অংশ দৃশ্যমান হবে, তবে চাঁদ অস্ত যাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ গ্রহণ দেখা যাবে না।

অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর-পূর্ব এশিয়া: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পূর্ব চীনে চন্দ্রোদয়ের সময় গ্রহণের শেষ অংশ দেখা যাবে।

মধ্যপ্রাচ্য: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইরাকের মতো দেশগুলোতে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে না। এসব অঞ্চলে শুধুমাত্র গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় কিছুটা দৃশ্যমান হতে পারে।

এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যটি, বিশেষ করে রমজান মাসে, আকাশপ্রেমীদের জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।
এই ‘ব্লাড মুন’ চন্দ্রগ্রহণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে, চাঁদ যখন সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে প্রবেশ করে, তখন সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে ছেঁকে গিয়ে লালচে আভায় প্রতিফলিত হয়।

এই প্রক্রিয়াকে Rayleigh Scattering বলা হয়, যা সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় আকাশকে লালচে দেখানোর কারণের মতোই কাজ করে।রমজান মাস মুসলমানদের জন্য বিশেষ পবিত্র ও আত্মশুদ্ধির সময়। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এসময় ইসলামে সালাতুল খুসুফ বা চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ নামাজ আদায়ের বিশেষ এক গুরুত্ব রয়েছে।

এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করতে কোনো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। এটি খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যাবে। বিশেষ করে আমেরিকার দর্শকদের জন্য ০৬:২৬ থেকে ০৭:৩১ UTC সময়ের মধ্যে চাঁদের লালচে রঙ সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে।

যেসব অঞ্চলে এ গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না, তারা অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এটি উপভোগ করতে পারবেন। নাসা জানাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরবর্তী পূর্ণগ্রাহী চন্দ্রগ্রহণ ২০২৬ সালের মার্চে হবে, তাই এটি একটি বিশেষ দৃষ্টিনন্দন মুহূর্ত যা আকাশপ্রেমীদের জন্য এক অপরিহার্য অভিজ্ঞতা।

জাতিসংঘের নামে জরিপ- এখনো ৭৫% মানুষ আ.লীগকে সমর্থন করে, যা জানা গেল

সম্প্রতি ‘জাতিসংঘের এক জরিপ ২০২৫ তথ্যঅনুযায়ী বাংলাদেশে এখনো ৭৫% মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে৷ তবে জাতিসংঘের নামে ওই জরিপটি ভুয়া।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে- এমন তথ্য সম্বলিত কোনো জরিপ ২০২৫ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশ করা হয়নি বরং পুরোনো ও ভিন্ন প্রসঙ্গের ভিডিওর মাধ্যমে ভুয়া এই দাবি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আল জাজিরার ইংরেজি সংস্করণের ইউটিউব চ্যানেলে ২০০৭ সালের ২৮ এপ্রিল ‘Over The World – Sheikh Hasina Wazed -27 Apr 07’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে।

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, সে সময় স্যার ডেভিড ফ্রস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন৷ অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়৷

জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো জরিপ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি৷ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় বলা যায়, এ ধরণের কোনো জরিপ জাতিসংঘ কর্তৃক করা হলে তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হতো৷

সুতরাং, জাতিসংঘের ২০২৫ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন ট্রাম্প, কপাল পুড়ছে এশিয়ার যে দুই দেশের!

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না আফগানিস্তান, পাকিস্তান। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর থেকে এশিয়ান দেশগুলো নিয়ে কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি ভারতের নাগরিকদের অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। এই নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে৷ এবার এশিয়ার আরো দুই দেশের নাগরিকদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি জারি করা একটি নক্তুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী সপ্তাহ থেকেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা তৈরি করতে পারে৷

দেশগুলোর নিরাপত্তা ও যাচাই ঝুঁকির উপরে সরকারি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে বিষয়টি নিয়ে অবগত তিনটি সূত্র জানিয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য দেশও এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকতে পারে৷ তবে তারা সেগুলোর নাম জানেন না। এটি মূলত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি হবে।

২০১৮ সালে কয়েক দফা সংশোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই নীতি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এটিকে জাতীয় চেতনার একটি কলঙ্ক হিসেবে অভিহিত করেন।