সুখবর: এবার অগ্রিম বেতন পাচ্ছেন সকল চাকরিজীবীরা

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসের ২৩ তারিখেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার৷

রবিবার (৯ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল গফুরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি বর্ষপঞ্জি-২০২৫ অনুযায়ী ৩১ মার্চ তারিখে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, সেজন্য সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী (গেজেটেড-নন-গেজেটেড),

সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড/নন-কমিশন্ড অফিসারদের মার্চ- ২০২৫ মাসের বেতন ভাতাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারদেরর মার্চ-২০২৫ মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়া হবে।

‘ভাত দে, নইলে বিষ দে’ স্লোগানে থালা হাতে শিক্ষকদের ‌‌ভূখা মিছিল!

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে থালা হাতে ভূখা মিছিল করেছেন শিক্ষকরা। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ মিছিল বের করেন তারা। মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় ঘুরে আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ নিয়ে টানা ১৫ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। মিছিলে শিক্ষকরা ‘ভাত দে, নইলে বিষ দে’, ‘দাবি মোদের একটাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও চাই’, ‘এক দেশে দুই নীতি, মানি না মানবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এ কর্মসূচি করছেন। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষরা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা ন্যায্য দাবি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি নিয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রমজানে রোজা রেখেও তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষকরা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের মহাসচিব ও নওগাঁ শফিউদ্দিন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটাই দাবি সব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত করা।

আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভৌত কাঠামোসহ সব কিছু যাচাই করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি যে বেতন-ভাতার সুবিধা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৫৩ কর্মকর্তাকে বদলি!

আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল করা হয়েছে। একযোগে ৫৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

বদলিদের মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৩৩ জন পুলিশ সুপার এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।

উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের বর্ণিত এসব কর্মকর্তাদের বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল কালাম আযাদকে এপিবিএন-১ ঢাকায়, ৮ এপিবিএন হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রোকনউজ্জামানকে সিআইডিতে, ডিএমপির খো. ফরিদুল ইসলামকে র‍্যাবে, ডিএমপির মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে র‍্যাবেসহ ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খানকে সিআইডিতে, বিএমপিতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আহমেদুল কবীরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, আব্দুল্লাহ আল জহিরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডিতেসহ ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বাহিনীর সদস্যের সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর চারটি থানা (মিরপুর, দারুসসালাম, আদাবর ও মোহাম্মদপুর) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পুলিশের চাকরি হারিয়ে হয়েছেন ছি’নতাইকারী, ছি’নতাই করতে গিয়ে হলেন গ্রে’ফতার

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার রাতে হাতিরঝিলের চৌধুরী পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ইউনিফর্মের ১টি শার্ট, একটি প্যান্ট, একটি জোড়া অক্সফোর্ড স্যু, একটি পুলিশের ট্র্যাকসুট, একটি পুলিশের রিফ্লেকটিং ভেস্ট, ইউনিফর্মের বিভিন্ন উপকরণ, একটি পিস্তল কভার ও সাতটি মোবাইল ফোনসহ ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মো.হাকিম উদ্দিন (৩০), মো. শহিদ (৩৫) ও আল আমিন মাতুব্বর (২২)।

উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তিনজন লোক হাতিরঝিলের চৌধুরী পাড়ার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই এমন খবর পাওয়া যায়।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হাকিম জানায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সদস্য। ২০২২ সালে চাকুরিচ্যুত হন তিনি।

চাকরি চলে যাওয়ার পর গ্রেপ্তারদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতেন। গ্রেপ্তার হাকিমের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

এক ওসি পালালেন আর ‘প্রত্যাহার’ হলেন আরেক ওসি!

পুলিশ হেফাজত থেকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বর্তমান ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে প্রত্যাহার করে সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম, যাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আগের দিন বুধবার কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় দায়িত্বে ‘অবহেলার’ অভিযোগে এএসআই সাজ্জাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উত্তরা পূর্ব থানা থেকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে শাহ আলম পালিয়ে যান বলে জানিয়েছিলেন ওসি মহিবুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শাহ আলম। আন্দোলনের সময়কার ভূমিকা নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া হ’ত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়।

জুনের মধ্যেই বাস্তবায়ন, সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বড় ‘সুখবর’

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে মূল বেতনের সঙ্গে নির্দিষ্ট শতকরা হারে অতিরিক্ত অর্থ তথা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিগগিরই বাস্তবায়ন করবে সরকার।

আগামী ৩০ জুনের আগেই এটা বাস্তবায়ন হবে। এবার পেনশনভোগীরাও মহার্ঘ ভাতার আওতায় আসছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা ইস্যুটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে আমিও একজন মেম্বর। ইতিমধ্যেই দুইটা মিটিং হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা খুব শিগগিরিই হবে। তবে এবার ব্যতিক্রম হবে। আগে পেনশনভোগীরা মহার্ঘ ভাতা পেত না, এবার পাবে। একটা রিজেনেবল পাবে। পরের বছর ইনক্রিমেন্টের সময় এই মহার্ঘ ভাতাটা তার বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে।

এই বাজেটেই মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বাজেটে মানে ৩০ জুনের মধ্যে, আমি বলব অবশ্যই এর মধ্যে হবে।

তার আগে হবে ইনশাআল্লাহ। মহার্ঘ ভাতায় মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতকরা অংশ বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত দেওয়া হয়ে থাকে। এবার সেই শতকরা হার কতটুকু হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা বা অর্থসচিব ভালো বলতে পারবেস।

কোন মাস থেকে ধরা হবে সে বিষয়ে সচিব বলেন, অনুমান করে বলা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব পরিষ্কার করে বলতে পারবেন।

সিনিয়র সচিব আরও জানান, ‘৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২৬৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। তাদের পুনর্বিবেচনার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত শেষ। দ্রুত সময়ে এটা করা হবে।

আপাতত ৩০ হাজারই থাকছে ভাতা, তবে জুলাই মাস থেকে বেড়ে হবে…

স্বাস্থ্যসেবায় ৩০ হাজার টাকা ভাতা রেখেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করা পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে এই ভাতা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হবে। রোববার বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবীসহ আরও অনেকে।

এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল,

ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবসহ আরও অনেকে।

এর আগে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর ঘোষণা করা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন,

যার ফলে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। গত ২২ ডিসেম্বরেও একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন চিকিৎসকরা, তখন সরকার পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল।

বড় পরিবর্তন নিয়ে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু

৪৭তম বিসিএসের আবেদন আজ (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।

আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।

গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।

গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়।

শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।